জোট গড়লেন শিবসেনা এবং বিজেপি। ছবি: পিটিআই।
বিহারের পরে মহারাষ্ট্রে জোট পাকা করে ফেললেন অমিত শাহ। লোকসভা ভোটে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা লড়বে ২৩টি আসনে। আর বিজেপি ২৫টিতে। আর একই সঙ্গে হবে বিধানসভা ভোট। তাতে ১৪৪টি করে আসনে লড়বে দুই দল। রফা পাকা করতে বিজেপি সভাপতি এ দিন উদ্ধবের বাসভবনে গিয়ে বৈঠক করেন। ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসও। বৈঠকের পরে দেবেন্দ্রই রফার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটি করেন। আর অমিত শাহকে নিয়ে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে উদ্ধব জানিয়ে দেন, ‘‘রাম মন্দির হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব— রফা হয়েছে এই শর্তেই।’’
সেনা দাবি করে আসছিল মুখ্যমন্ত্রীর আসনটি তাদের ছাড়তে হবে। কিন্তু রাজ্যে কংগ্রেস-এনসিপি জোট পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে খানিকটা। আপাতত কিছুটা নরম সুর সেনার। মুখ্যমন্ত্রী পদের বিষয়টি এ দিন অন্তত সামনে আনেনি তারা।
সেনা-বিজেপির সম্পর্ক ৩০ বছরের। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বারবার তাঁর সরকার ও বিজেপির কড়া সমালোচনা করে এসেছে শিবসেনা। একা লড়াইয়ের হুমকি দিয়েছে। এখন যখন মোদীকে হটাতে দেশ জুড়ে বিরোধীরা এককাট্টা হচ্ছে, তার মধ্যে পুরনো সঙ্গী শিবসেনার সঙ্গে আসনরফা পাকা হওয়ায়, স্বাভাবিক ভাবেই স্বস্তিতে মোদী। উচ্ছ্বসিত হয়ে পরপর দু’টি টুইটও করেছেন এ নিয়ে। লিখেছেন, ‘‘শিবসেনার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রাজনীতির ঊর্ধ্বে। উভয়েরই লক্ষ্য, শক্তিশালী ও উন্নত ভারত। একসঙ্গে লড়ার সিদ্ধান্ত এনডিএকে অনেকটাই মজবুত করল। আমি নিশ্চিত মহারাষ্ট্রবাসীর কাছে এই জোটই হবে প্রথম ও একমাত্র পছন্দ।’’ এর পরের মিনিটে মোদী টুইট করেন অটলবিহারী বাজেপয়ী ও বালসাহেব ঠাকরের দূরদৃষ্টি নিয়ে। জোট পাকা হতেই রাতে একটি অর্থবহ টুইট করেন উদ্ধবের ছেলে আদিত্য, ‘‘রাম মন্দির ও মহারাষ্ট্রের গ্রামাঞ্চলের, বিশেষ করে কৃষকদের বিষয়গুলি দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য’ অমিতজি ও দেবেন্দ্রজিকে ধন্যবাদ। এর ঠিক পাঁচ-ছয় মিনিটের মধ্যেই মোদীর জোড়া টুইট। কোনও শরিককে নিয়ে মোদীর এমন টুইট-উচ্ছ্বাস প্রায় বেনজির।
বিজেপি সভাপতি আগামিকাল যাবেন তামিলনাড়ুতে। এডিএমকের ও ছোট কয়েকটি দলের সঙ্গে আসনরফা পাকা করতে। বিজেপির এই জোট তৎপরতা নিয়ে বিঁধেছেন কংগ্রেসের আহমেদ পটেল। মোদী, শাহ, অরুণ জেটলি বিরোধীদের মাহজোটকে নাম দিয়েছেন মহাভেজাল জোট, মহাঝুট বন্ধন। আহমেদের প্রশ্ন, এটা কি মোদী-শাহদের ‘মহাভয় বন্ধন’! মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী নেতা, কংগ্রেসের রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাটিলের দাবি, ইডি-র জুজু দেখিয়েই শিবসেনাকে জোটে আসতে বাধ্য করেছে বিজেপি।
আজই শিবসেনা ও স্থানীয়দের আপত্তি মেনে ১৫ হাজার একরের বিশাল তেল শোধনাগার প্রকল্প নাণর থেকে কোঙ্কণে সরানোর দাবি মেনে নিয়েছেন দেবেন্দ্র। মনে করা হচ্ছে জোটের পথ খুলেছে এতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy