আলিয়া ভট্ট (বাঁদিকে)। তাঁর মতো দেখতে এই কিশোরী (ডানদিকে) ‘টিকটক’ অ্যাপের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়েছিলেন।
চেনা গান হোক বা জনপ্রিয় কোনও সিনেমার ডায়লগ— ক্যামেরার সামনে কয়েক সেকেন্ডের ভঙ্গিমার মাধ্যমে সেই গান বা ডায়লগই পারফর্ম করছেন আম জনতা। মুহূর্তে তা শেয়ার হয়ে যাচ্ছে সোশ্যাল ওয়ালে। আর গোটা ব্যাপারটা যার মাধ্যমে হচ্ছে তা ‘টিকটক’ নামের বাজার চলতি একটি অ্যাপ।
এ হেন ভিডিয়ো বহুবার হয়তো আপনি দেখেছেন ওয়েব মিডিয়ায়। কিন্তু ‘টিকটক’ নামের এই জনপ্রিয় চিনা অ্যাপ এ বার বাতিল করার নির্দেশ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
তথ্য বলছে, এই মুহর্তে ভারতে প্রতি মাসে গড়ে পাঁচ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ ‘টিকটক’ অ্যাপ ব্যবহার করে ভিডিয়ো শেয়ার করেন। বুধবার এই অ্যাপের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি হয় মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই অ্যাপ ব্যাবহার করে শিশুরা বিভিন্ন ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো তৈরি করছে। কখনও কখনও তা যৌন ইঙ্গিতও বহন করছে। উত্সাহ দিচ্ছে পর্নোগ্রাফিকেও!
আরও পড়ুন, ‘বামন জঙ্গি’-র ভাই, ২০১৭-র পুলওয়ামা হামলার চক্রী ভারতের হাতে
এই অ্যাপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মাদুরাইয়ের বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী তথা সমাজকর্মী মুথু কুমার। সামাজিক অবক্ষয়, শিশু নির্যাতন, আত্মহত্যার মতো ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে আদালতের কাছে এই অ্যাপ বন্ধের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। সেই মর্মে এই অ্যাপ বন্ধের বিষয়ে আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন, মুরগিছানাতে বাঁচাতে সঞ্চয়ের ১০ টাকা নিয়েই হাসপাতালে ছুটল এই শিশু
‘টিকটক’ অ্যাপের জনৈক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সমস্ত আইন মেনে চলতে প্রস্তুত সংস্থা। সদর্থক এবং সুরক্ষিত অ্যাপের পরিবেশ বজায় রাখাই তাঁদের কর্তব্য। আদালতের লিখিত নির্দেশ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে তামিলনাড়ু বিধানসভায় এআইএডিএমকে-র বিধায়ক থামিমাম আনসারি সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ দেখিয়ে ‘টিকটক’ অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। ২০১৯-এ বেজিংয়ের একটি কোম্পানি এই অ্যাপ বাজারে নিয়ে আসে। তার পর থেকেই এটি চূড়ান্ত জনপ্রিয় হয়।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy