গুলির জবাবে পাল্টা গুলি বন্ধ করতে ভারতের কাছে কাকুতিমিনতি করে পাকিস্তান। দাবি প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের।
মোদী সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তিতে এবিপি নিউজ-এর ‘শীর্ষ সম্মেলন’-এ এসে মনোহরের দাবি, গত বছর পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করার পরে বিএসএফ এমন কড়া জবাব দেয় যে পাকিস্তান কাতর আবেদন করে, ‘এদের থামতে বলো।’ লোকসভা ভোটের আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব নেওয়ার দাবি করতো বিজেপি। তবে ক্ষমতায় এসে মোদী সরকারই পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যে জোর দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, সে সব কি নির্বাচনী বক্তৃতা ছিল? প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, পাক সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি নরম মনোভাব নেওয়া হবে না। অনুপ্রবেশকারীদের ‘খতম’ করাই একমাত্র নীতি। তার পরেই মনোহর বলেন, ‘‘পাকিস্তানের যে কোনও রকম অপচেষ্টার আমরা কড়া জবাব দিয়েছি। তার জন্যই বিএসএফের গুলি বন্ধ করার জন্য পাকিস্তানকে কাকুতিমিনতি করতে হয়েছিল।’’ ওই মন্তব্যে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মন্ত্রীকে। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদের প্রশ্ন, ‘‘এ কেমন প্রতিরক্ষামন্ত্রী যিনি শত্রুর সঙ্গে আলোচনা করে গুলি চালান।’’
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরাবরই সেনাবাহিনীকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মোদী সরকারের নীতি যে পাকিস্তানকে আলোচনার টেবিলে রাখা, ব্যবসার উন্নতির চেষ্টা, তা স্পষ্ট। প্রশ্ন, পাকিস্তান কতটা আলোচনায় আগ্রহী। আজ দিল্লির সম্মেলনে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ বলেন, ‘‘পাকিস্তান আগ্রহী না হলে গত বছরের ২৬ মে নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আসতেন না। আসলে দু’দিকেই কিছু শক্তি রয়েছে, যারা শান্তি চায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy