পাঁচ বিচারপতির তিন মত।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের মতোই বিচারপতি এ কে সিক্রি ও বিচারপতি এ এম খানউইলকর মনে করেছেন, আধার বিল ‘অর্থ বিল’। কিন্তু বিচারপতি অশোক ভূষণের মতে, স্পিকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ঠিক আছে। কিন্তু তার বিচারবিভাগীয় পর্যালোচনা হতে পারে। আর বিচারপতি ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড় সরাসরি বলছেন, আধারকে ‘অর্থ বিল’ বলে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত সংবিধানের সঙ্গে ধোঁকা।
এই খণ্ডিত রায় আসার পরেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কপিল সিব্বল বললেন, ‘‘সরকার আইন সংশোধন করতে গিয়ে যদি ফের ‘অর্থ বিল’ বলে, তা হলে আমরা আবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হব।’’ অরুণ জেটলির পাল্টা জবাব, ‘‘অর্থ বিলকে ‘অর্থ বিল’ ছাড়া আর কী ভাবেই বা আনা যায়?’’
কেন এত বিতর্ক অর্থ বিল নিয়ে?
আসলে লোকসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি। কিন্তু রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু। বিরোধীদের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরেই সরকার রাজ্যসভাকে এড়াতে অনেক বিলকেই ‘অর্থ বিল’ করে আনছে। সেই বিল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাজ্যসভায় পাশ না হলেও তাকে পাশ বলেই ধরে নেওয়া হয়। সিব্বল আজ বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, স্পিকারের সিদ্ধান্তেরও পর্যালোচনা হতে পারে। সরকার ঔদ্ধত্য না দেখিয়ে রাজ্যসভায় বিলটি আনলে আদালতে যাওয়ার দরকার হত না।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আজ অধিকাংশ বিচারপতি অর্থ বিলে সায় না দিলে বিলটিই অসাংবিধানিক হয়ে যেত। গরিবদের প্রকল্পে বাধা আসত। সেটা ভেবেই তাঁরা বোধহয় সায় দিয়েছেন।’’
উত্তরে অরুণ জেটলির বক্তব্য, ‘‘ঝুঁকি না নিয়ে আধার বিল সাধারণ বিল হিসেবেই পেশ করতে পারত সরকার। কিন্তু সেটিই সংবিধানের জন্য ধোঁকা হত!’’
অর্থ বিল কী?
• আর্থিক মঞ্জুরি সংক্রান্ত বিল। সংবিধানের ১১০ ধারায় বলা আছে, কোনটি অর্থ বিল হিসেবে গণ্য হবে
• প্রথমে পেশ হয় লোকসভায়। কোন বিল অর্থ বিল, বাছার অধিকারী স্পিকার
• লোকসভায় অর্থ বিল পাশ না হলে সরকারের পতন
• রাজ্যসভা অর্থ বিলে কোনও সংশোধনী আনতে পারে না
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy