ডাকঘরে যাবতীয় সঞ্চয় প্রকল্প, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, কিষাণ বিকাশ পত্রের জন্য এ বার আধার বাধ্যতামূলক করে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। যাদের অ্যাকাউন্টে আধার নম্বর দেওয়া নেই, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই তাদের আধার নথিভুক্ত করাতে হবে।
অর্থ মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ডাকঘরে সেভিংস অ্যাকাউন্ট, রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জমা, মাসিক আয় প্রকল্প, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, প্রবীণদের সঞ্চয় প্রকল্প— সব ক্ষেত্রেই এখন থেকে আধার-ই পরিচয়ের একমাত্র প্রমাণপত্র হিসেবে গণ্য হবে। যারা এখনও আধার নম্বর পাননি, তাদের আধারে অন্তর্ভুক্তির প্রমাণ দিতে হবে। নতুন সঞ্চয় প্রকল্প চালুর জন্য যেমন আধার প্রয়োজন, তেমনই বর্তমানে চালু অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে আধার নথিবদ্ধ করাতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর চারটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে আর্থিক বিষয়ক দফতর। এতেই ডাকঘরে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট ও কিষাণ বিকাশ পত্রেও আধার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আধার নথিবদ্ধ না করালে কী হবে, তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কোনও উল্লেখ নেই। এর আগেই মোদী সরকার রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি, বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ, কেরোসিন-সারে ভর্তুকি, রেশন, একশো দিনের কাজ, তফসিলি জাতি-উপজাতির ভাতা, সরকারি স্কলারশিপ, কৃষি ঋণে সুদে ভর্তুকির মতো প্রায় ১৩৫টি প্রকল্প যেখানে সরকারি ভর্তুকি বা ভাতা দেওয়া হয়, সেখানে আধার বাধ্যতামূলক করেছে। ওই সব ক্ষেত্রেও আধার নথিবদ্ধ করানোর জন্য সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
পাশাপাশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ফোনের সংযোগের মতো বেশ কিছু ক্ষেত্রেও আধার নথিবদ্ধ করানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে সরকার। অথচ আধারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েই সুপ্রিম কোর্টেএখনও ফয়সালা হয়নি। বরং যে প্রশ্নের
ফয়সালা করতে গিয়ে ব্যক্তি পরিসরের অধিকারকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিরোধী নেতারা অভিযোগ করছেন, সুপ্রিম কোর্টের ফয়সালার আগেই কার্যত সব ক্ষেত্রে আধার বাধ্যতামূলক করেছে মোদী সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy