ছবি পিটিআই।
দু’দিন কর্মবিরতির পরে মঙ্গলবার শেষ পর্যন্ত তাতে দাঁড়ি টানলেন এমসের নার্সেরা। তবে তার আগে বিতর্ক শুরু হল তাঁদের একাংশের উপরে দিল্লি পুলিশের লাঠি চালানোর অভিযোগকে ঘিরে।
ডাক্তার, নার্সের মতো কোভিড যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে থালা-বাসন বাজানো, মোমবাতি জ্বালানোর কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি করা হয়েছিল বিভিন্ন হাসপাতালে। বিরোধীদের অভিযোগ, এখন সেই ‘কোভিড যোদ্ধা’ নার্সদের উপরে লাঠি চালাতেও পিছপা হয়নি অমিত শাহের পুলিশ! এমসের রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি হরজিৎ সিংহ ভাট্টির টুইট, ‘‘সমস্ত মন্ত্রী, এমনকি অমিত শাহ ভর্তি হলেও এই নার্সেরা শুশ্রূষা করেন। কিন্তু আজ এঁরাই উপেক্ষিত। সরকারের অত্যাচারের শিকার।’’
দফায় দফায় বৈঠক, ফৌজদারি মামলার হুমকি, হাইকোর্টের তিরস্কার সত্ত্বেও মঙ্গলবারও দিনভর কর্মবিরতি পালন করেন নার্সেরা। এ দিন সকালে বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নার্সদের একাংশ। পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত হন একাধিক নার্স। মূলত ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন, চুক্তিভিক্তিক নিয়োগে বৈষম্য-সহ ২৩ দফা দাবিতে সোমবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন এমসের নার্সেরা। এই আন্দোলনকে নীতিবিরুদ্ধ তকমা দিয়ে তা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তা সত্ত্বেও পুলিশি হামলা ও কর্তৃপক্ষের অনড় মনোভাবের কারণে আন্দোলন থেকে সরতে রাজি হননি ৫ হাজার নার্স।
শেষে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠক করেন এমস কর্তৃপক্ষ। তাতে বরফ গলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy