শনিবার শিলচর আসছেন পূর্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। সঙ্গে উপত্যকার সব ক’জন বিজেপি বিধায়ক। শুধু প্রোটোকলের দরুন আসতে পারবেন না শিলচরের বিধায়ক দিলীপকুমার পাল। কালই বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব নেবেন তিনি। আজ মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
পূর্তমন্ত্রী হিসেবে পরিমলবাবুর এই প্রথম বরাকে আসা। অন্য বারের মতোই তিনি সড়কপথে এখানে আসবেন। আকাশে উড়ে যে অফিসাররা এতদিন বরাকের রাস্তা দেখতে আসতেন, তাঁদেরও তিনি এ বার সঙ্গে নিয়ে আসছেন। সড়ক পথেই। বিভিন্ন বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়াররা থাকবেন। সব মিলিয়ে জনা পনেরো অফিসার তাঁর সফরসঙ্গী।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আগামী কাল চতুর্দশ বিধানসভার প্রথম অধিবেশন শেষ হতেই পরিমলবাবু দলবল নিয়ে দিসপুর থেকে রওনা হবেন। সবাই মিলে শিলঙে রাত কাটাবেন। শনিবার ভোরে রওয়ানা হবেন শিলচরের উদ্দেশে। কালাইন-কাটিগড়ার রাস্তার পুকুরসম গর্তের মুখে দাঁড়িয়ে অফিসারদের কাছে সমাধানসূত্র চাইবেন বিভাগীয় মন্ত্রী। সে দিন শিলচর শহর ও শহরতলীর পথঘাটও অফিসারদের দেখাবেন পরিমলবাবু। পরে যাবেন করিমগঞ্জ। যে পথ ভয়ে সবাই এড়িয়ে চলেন, সেখানেই যাবেন টিম-পরিমল। হাফলঙের বিধায়ক বিবি হাগজেরও শিলচরের টিমে থাকতে পারেন। তিনি চান, শিলচর-হাফলং সড়কের দুরবস্থাও পরিমলবাবু অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে দেখুন।
পূর্তমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিমল শুক্লবৈদ্য বরাকের রাস্তার জন্য এমন কৌশল খুঁজছেন, যাতে বর্ষার মরশুমেও কাজ করা যায়। দ্বিতীয়ত, বৃষ্টির জলে রাস্তার যেন কোনও ক্ষতি হয় না। বিভাগীয় অফিসাররা উপযুক্ত পরামর্শ দিতে না পারলে তিনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন বলেও ইঙ্গিত মিলেছে। এ ছাড়া, বরাক উপত্যকায় আগের সরকারের চালু করা ‘মুখ্যমন্ত্রী প্যাকেজ’-এর কাজের জন্য জারি করা ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ বাতিল করা হয়েছে বলে কয়েকদিন ধরেই চর্চা চলছে।
সরকারি সূত্রটি জানান, এটা ঠিক নয়। কাজের কোনও নির্দেশই বাতিল হয়নি। বরং সেই কাজগুলি যাতে দ্রুত শেষ হয়, সে ব্যাপারেও পূর্তমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy