জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান এসপি বৈদ। ছবি- সংগৃহীত।
সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) যে জম্মু-কাশ্মীরে ঘাঁটি গেড়েছে, শেষমেশ তা কবুল করলেন সীমান্তবর্তী রাজ্যটির পুলিশ প্রধান এসপি বৈদ। জম্মু-কাশ্মীরে আইএসের ঘাঁটির কথা এর আগে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বহু বারই অস্বীকার করা হয়েছে।
শনিবার ফারুক আহমেদ নামে এক পুলিশকর্মী নিহত হন উপত্যকায়। তার এক দিন পর সোমবার আইএসের মুখপত্র ‘অ্যামাক’ জানায়, তাদের হানাতেই নিহত হয়েছেন ওই পুলিশকর্মী। এও বলা হয়, ‘‘যুদ্ধটা সবে শুরু হয়েছে।’’
এর পর মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের প্রধান বৈদও কবুল করলেন জম্মু-কাশ্মীরে ঘাঁটি গেড়েছে আইএস। বৈদ বলেছেন, ‘‘সংখ্যায় খুব বেশি না হলেও জম্মু-কাশ্মীরের মতো একটি রাজ্যে আইএসের ঘাঁটি গাড়ার ঘটনাটা খুবই উদ্বেগজনক। তার অন্য একটি অর্থও হয়।’’
এর আগেও জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিয়ানার বিভিন্ন ঘটনার দায় স্বীকার করেছে আইএস। উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় আইএসের পতাকাও উড়তে দেখা গিয়েছে বহু বার। বহু নিহত জঙ্গির অন্ত্যেষ্টিতেও আইএসের পতাকা উড়তে দেখা গিয়েছে। গত নভেম্বরে নিহত জঙ্গি মুগিবের দেহ প্রকাশ্যে দীর্ঘ ক্ষণ আইএসের পতাকায় মুড়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু প্রতি বারই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে উপত্যকায় আইএসের অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- নীরব-তদন্তে এ বার বিদেশে সম্পত্তির খোঁজ শুরু
আরও পড়ুন- ঋণের জাল আরও বিশাল
গত নভেম্বরে শ্রীনগর থেকে কিছুটা দূরে জাকুরায় পুলিশের উপর চড়াও হয় জঙ্গিরা। গুলিযুদ্ধে এক পুলিশকর্তা ও এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। আইএস তাদের মুখপত্র ‘অ্যামাক’-এ ওই ঘটনার দায় স্বীকার করলেও কাশ্মীর পুলিশ সেই সময় তা ‘নিছক প্রচার’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল।
মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান বলেন, ‘‘এখন আমরা নিশ্চিত ওই ঘটনাতেও আইএস জড়িত ছিল। তখন আমরা সেটা জানতে পারিনি। আমাদের ভুল হয়েছিল। তবে আমরা কিছুতেই কাশ্মীরকে ইরাক বা সিরিয়া হতে দেব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy