বিল বিরোধী আন্দোলনে অসম অগ্নিগর্ভ। চলছে তীব্র প্রতিবাদ। ছবি: এএফপি।
নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দলের সমর্থন জোগাড় করতে দিল্লিতে দরবার করছে অসম গণ পরিষদ, এনপিপি ও আইপিএফটি। আসু ও উত্তর-পূর্ব ছাত্র সংগঠন (নেসো)-সহ বিভিন্ন আন্দোলনকারী সংগঠনের এক প্রতিনিধি দলও বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি গিয়েছে।
কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, লোক জনশক্তি পার্টির রামবিলাস পাশোয়ান, সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব, অকালি দলের নেতা সুখদেব সিংহ ধিনসার সঙ্গে বৈঠক করে বিল নিয়ে উত্তর-পূর্বের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন এনপিপি সভাপতি তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা, অগপ সভাপতি অতুল বরা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল মহন্ত, আইপিএফটির সাধারণ সম্পাদক ও বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী মেবার কুমার জামাতিয়ারা। ওই বিল যে অসম চুক্তির বিরোধী এবং বিল পাশ হলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা নাগরিকত্ব পাবে, তা বুঝিয়ে বলেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই বিল বিরোধী মঞ্চ গড়েছে উত্তর-পূর্বের ১০টি দল। তারা আবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন নেডারও শরিক। সাংমা ও বরা জানান, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছেন। রাজ্যসভায় সাপ্লিমেন্টারি বিলের তালিকায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল উত্থাপন করা হলে তার বিরোধিতার আশ্বাস মিলেছে সকলের কাছেই।
এ দিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অসম সফর বয়কটের ডাক দিয়েছে অখিল গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন যৌথ মঞ্চ। বিল বিরোধী আন্দোলনে রাজ্য অগ্নিগর্ভ। চলছে তীব্র প্রতিবাদ। তার মধ্যেই ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর আসার কথা। মোদী গুয়াহাটি থেকে উত্তর গুয়াহাটি পর্যন্ত ভারতের দীর্ঘতম নদী রোপওয়ের উদ্বোধন করবেন। চাংসারিতে এইমসের শিলান্যাস করে একটি জনসভাতে তাঁর ভাষণ দেওয়ারও কথা। মরিগাঁওয়ে শ্রীমন্ত শঙ্করদেব সঙ্ঘের অধিবেশনেও প্রধানমন্ত্রীর থাকার কথা। সেখানে হেলিপ্যাড তৈরির কাজও চলছে। ৯ ফেব্রুয়ারি অরুণাচল-অসম সীমান্তের হলংগিতে অরুণাচলের প্রথম বিমানবন্দরের শিলান্যাস করে মোদীর ত্রিপুরা যাওয়ার কথা। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি চূড়ান্ত হয়নি।
আজ তেজপুরে বিজেপির রাজ্য কার্যনির্বাহী সভার বাইরে কালো পতাকা বিক্ষোভ দেখায় একদল আন্দোলনকারী। পোড়ানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের খণ্ডযুদ্ধে কয়েকজন জখম হয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি সাংবাদিক সম্মেলন করে সকলকে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করেছেন। তাঁরা জানান, গণতান্ত্রিক আন্দোলনহতেই পারে। কিন্তু আইন ভাঙলে পুলিশ কড়া হতে বাধ্য হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy