জয়ললিতার মৃত্যু ঘিরে সন্দেহ দূর করতে গত কাল এইমস ও অ্যাপোলো হাসপাতালের দেওয়া মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তামিলনাড়ুর পালানীস্বামী সরকার। উড়িয়ে দিয়েছে প্রয়াত এডিএমকে নেত্রীর ভুল চিকিৎসার অভিযোগও।
কিন্তু সব সন্দেহ দূর হচ্ছে না তাতেও। বরং নতুন করে প্রশ্নের মুখে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতাল। কারণ, গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ঠিক কী অবস্থায় জয়ললিতাকে ভর্তি করা হয়েছিল, তা নিয়ে তাদের প্রথম দিকের বিবৃতির সঙ্গে রাজ্য সরকারকে দেওয়া এইমসের রিপোর্ট মিলছে না। যা নিয়ে আজ সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এম কে স্ট্যালিন।
ডিএমকে-র কার্যনির্বাহী সভাপতি স্ট্যালিনের বক্তব্য, ‘‘গত ২৫ সেপ্টেম্বর অ্যাপোলো হাসপাতাল জানিয়েছিল, জ্বর ও অপুষ্টিজনিত কারণে ভর্তি করা হয়েছে জয়ললিতাকে। কিছু দিনের মধ্যেই তিনি বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন। কিন্তু এইমসের রিপোর্ট বলছে জয়ললিতাকে যখন ভর্তি করা হয় তখনই জীবনদায়ী ব্যবস্থায় ও সংজ্ঞাহীন ছিলেন তিনি।’’
স্ট্যালিনের আরও দাবি, ৪ ডিসেম্বর এডিএমকে নেত্রীর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে মেডিক্যাল বুলেটিনে ও তাঁর মৃত্যুর পরে যে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, তাতেও অনেক ফারাক রয়েছে। যদিও সেগুলি কী, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তিনি বলেননি।
পিএমকে-র প্রতিষ্ঠাতা নেতা এস রামডসের আবার প্রশ্ন, হাসপাতালে অত গুরুতর অসুস্থ অবস্থাতেও জয়ললিতা তিনটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে টিপছাপ দিলেন কী করে? ৫ ডিসেম্বর জয়ললিতার চিকিৎসা বন্ধ করা হয়েছিল শশীকলা, রাজ্যের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পনীরসেলভমেরই সম্মতির ভিত্তিতে। এর পরে পনীরসেলভম মুখ্যমন্ত্রী হয়ে জয়ার মৃত্যু নিয়ে যে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তারই বা কী হল— জানতে চেয়েছেন রামডস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy