রাহুল-মমতা। ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী মনে করেন, ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতাদের মধ্যে মমতা বন্দোপাধ্যায় এক জন। এতগুলি দশক ধরে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা সহজ নয়। কংগ্রেস সূত্র বলছে, ঘনিষ্ঠ মহলে এ কথা জানিয়ে রাহুল আরও বলেছেন, মোদী, সঙ্ঘ পরিবার এবং সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী প্রচার অভিযান সংগঠিত করার বিষয়ে কথা বলতে খুব শীঘ্রই তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান তিনি।
তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নে প্রদেশ কংগ্রেসের একটা বড় অংশের তীব্র আপত্তি রয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রশ্ন, মমতা কি আদৌ জোট চান? বস্তুত, লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে সব আসনে একাই লড়ার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মমতা।
এ বিষয়ে রাহুলের বক্তব্য, বেশ কয়েকটি রাজ্যে কংগ্রেসের কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। যেমন, দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে জাতীয় স্তরে বোঝাপড়া চাইলেও নিচুতলায় আপ-এর সঙ্গে সংঘাত সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করা সম্ভব নয়। একই সমস্যা তেলঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে। কেরলে সিপিএম প্রধান বিরোধী দল হলেও জাতীয় স্তরে মোদী-বিরোধী মঞ্চে তারা রয়েছে। এনআরসি-র বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে বিরোধী প্রতিনিধি দলে সিপিএম, তৃণমূল দুই দলই ছিল। ঘনিষ্ঠ মহলে রাহুল বলেছেন, মমতা ভোটের আগে জোট করুন বা না করুন, ভোটের পরে আমাদের একত্রিত হতেই হবে।
কংগ্রেস নেতারা বলছেন, কেন্দ্রে বিজেপি-বিরোধী সরকার গঠন তখনই সম্ভব, যদি কংগ্রেসও যথেষ্ট ভাল ফল করে। কংগ্রেসের আসন কমানোর চেষ্টা করার অর্থ বিজেপি-কে সাহায্য করা। রাহুল মনে করেন, তৃণমূল নেত্রী সেটা জানেন, এবং তিনি কখনওই এমন কাজ করবেন না যাতে বিজেপি শক্তিশালী হয়।
এই সব বিষয় নিয়ে কথা বলতে চলতি মাসের শেষেই মমতার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান রাহুল। এর আগে রাহুলের সঙ্গে মমতার বৈঠক হয়েছিল সনিয়ার উপস্থিতিতে। কিন্তু এ বার তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চান রাহুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy