আজমেঢ়ের প্রতিবাদী কাউন্সিলরদের সরে যেতে বলছেন এসপি। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
জেলা প্রশাসন গরিব মানুষের কাছে ঠিক মতো পৌঁছে দিচ্ছে না রেশন— এই অভিযোগ তুলে কালেক্টরেট অফিসের সামনে বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ করেছেন আজমেঢ় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ৬০ জন কাউন্সিলর। আজমেঢ়ের মেয়র ধর্মেন্দ্র গেহলটও সামিল হয়েছিলেন সেই প্রতিবাদে।
লকডাউনের নিয়ম ও ১৪৪ ধারা অমান্য করে কালেক্টরেট অফিসের সামনে প্রতিবাদে নেমেছিলেন বিজেপি ও কংগ্রেস সব দলের কাউন্সিলররাই। তাঁদের অভিযোগ, রেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। মানুষের যে খাবার পাওয়ার কথা, তা তাঁরা পাচ্ছেন না। অফিসের সামনে রাস্তার উপর ডিভাইডারে বসে চিৎকার করে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বিএলও-র করা সার্ভে ভুল তথ্যে ভরা। কাউন্সিলররা নিজেরা খাবার বিলি করতে পারবেন না বলে, জেলা কালেক্টর বিশ্ব মোহন ভর্মার দেওয়া নির্দেশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ জানান তাঁরা।
এই পরিস্থিতিতে ডেপুটি সুপারিন্টেডেন্ট অব পুলিশ প্রিয়ঙ্কা রঘুবংশী প্রতিবাদস্থলে পৌঁছন। লকডাউন অমান্য করার জন্য সতর্ক করেন প্রতিবাদীদের। কিন্তু সেখান থেকে সরতে রাজি হননি কাউন্সিলররা। পরে এসপি কুনওয়ার রাষ্ট্রদীপের নেতৃত্বে বাহিনী এসে সরে যেতে বলে প্রতিবাদীদের। তবুও তাঁরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকলে আটক করে পুলিশ। সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় সিভিক লাইন থানায়। পরে যদিও তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরে আজমেঢ় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে বৈঠক হয়। সেখানে ঠিক হয়, ৬০টি ওয়ার্ডের প্রত্যেক কাউন্সিলরকে বাজেট থেকে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে আজমেঢ়ের মেয়র ধর্মেন্দ্র গেহলট বলেছেন, “যাঁরা রেশন পাচ্ছেন না, তাঁরা কাউন্সিলরকে দোষ দিচ্ছেন। এএমসি নিজেদের বাজেট থেকেই খাবার দেবে বলে ঠিক করেছে।’’
আরও পড়ুন: কিসের লকডাউন! ধুমধাম করে জন্মদিন পালন কর্নাটকের বিজেপি বিধায়কের
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হাজার ছাড়াল, মৃত বেড়ে ২৩৯
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy