মুম্বই পুলিশ কমিশনারকে আচমকাই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ডিজি (হোমগার্ড) পদে। সেই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশ জুড়ে। তা হলে শিনা হত্যা মামলার কী হবে? পদের সঙ্গে সঙ্গে তো রাকেশকে ওই তদন্তের দায়িত্ব থেকেও সরতে হবে! কিন্তু, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আচমকাই ঘটনা নতুন মোড় নেয়। মহারাষ্ট্রের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শিনা বরা হত্যা মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রাকেশ মারিয়ার নেতৃত্বেই ওই ঘটনার তদন্ত হবে।
এ দিন দুপুরে হোমগার্ডের ডিজি পদে প্রোমোশন দিয়ে সরানো হয় মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার রাকেশ মারিয়াকে। তাঁর জায়গায় নতুন পুলিশ কমিশনার দায়িত্ব দেওয়া হয় আহমেদ জাভেদকে। এ দিনই নিজের দায়িত্ব বুঝে নেন নতুন পুলিশ কমিশনার। শিনা বরা তদন্ত যখন মাঝপথে ঠিক সেই মুহূর্তেই মারিয়াকে সরানো নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নানা মহলে। শুধু তাই নয়, এই মামলার তদন্তের সঙ্গে জড়িত মারিয়ার ঘনিষ্ঠ চার অফিসারকেও বদলি করা হয়েছে।
তা হলে শিনা হত্যা তদন্তের কী হবে?
নতুন দায়িত্ব হাতে পেয়েই পুলিশ কমিশনার আহমেদ জাভেদ জানান, তদন্ত যেমন চলছিল সে রকমই চলবে। তদন্তকারী দলেরও কোনও পরিবর্তন হয়নি। এই তদন্তের সঙ্গে জড়িত সব অফিসারদের বদলির তথ্য খারিজ করে দিয়েছেন।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মারিয়া প্রোমোশনের কথা ছিল। আচমকা তাঁকে সরিয়ে দেওয়াতে অবাক পুলিশ প্রশাসনও। হঠাত্ কেন এমন সিদ্ধান্ত? সূত্রের খবর, শিনা বরা মামলা নিয়ে বাড়াবাড়িতে খুব একটা খুশি ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। এ দিন জাপানের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীশ মারিয়ার প্রোমোশনের ফাইলে সই করে যান। অন্য দিকে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব কেপি বক্সি জানিয়েছেন, এটা একটা রুটিন বদলি। এর সঙ্গে শিনা হত্যাকাণ্ডের কোনও যোগ নেই। এমনকী কোনও রাজনৈতিক কারণও নেই। তিনি আরও জানান, ৩০ সেপ্টেম্বর মারিয়ার বদলির কথাই ছিল। কিন্তু সে সময় গণেশ উত্সব চলবে। সে কারণেই আগেভাগে তাঁর প্রোমোশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ হয়েও সেলিব্রিটি, তিনি রাকেশ মারিয়া
শিনা বরা হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেশ জুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন রাকেশ। দ্রুত গতিতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর হাত ধরেই তদন্তে উঠে এসেছে হাই প্রোফাইল ব্যক্তিদের নাম। কিছু দিন আগে এক সাক্ষাত্কারে মারিয়া জানিয়েছিলেন, প্রোমোশনের আগে শিনা হত্যার রহস্য উন্মোচন করবেন। কারণ এটা মুম্বই পুলিশের সম্মানের প্রশ্ন। এই মামলা নিয়ে তিনি নিজে দিন-রাত এক করে দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy