—ফাইল চিত্র।
পাঁচ ফুট উচ্চতার শিবলিঙ্গ। অন্যান্য দেব-দেবীর মূর্তি কিংবা তার ভাঙা অংশ। সঙ্গে বহু পুরনো মন্দিরের স্তম্ভের ধ্বংসাবশেষ। নানা রঙের বেলে-পাথরে তৈরি। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের জন্য জমি সমান করতে গিয়ে এ সব জিনিস মাটির তলা থেকে মিলেছে বলে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট ও বিজেপির দাবি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, এই ‘প্রমাণ’ হাতে আসায় ওই মন্দির নির্মাণ এবং পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া ট্রাস্ট উচ্ছ্বসিত। কারণ, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য লম্বা লড়াইয়ের সময়ে সেখানকার বহু আখড়া এবং মঠের জোরালো সওয়াল ছিল যে, আসলে আগে ওই জমিতে মন্দিরই ছিল। পরে সেটি ভেঙে তার উপরে তৈরি হয় বাবরি মসজিদ। স্বাধীনতার পরে সত্তর বছর ধরে কেন্দ্রের বিভিন্ন সরকার এবং বামপন্থী ইতিহাসবিদদের এক বড় অংশ নাগাড়ে তা আড়াল করে গিয়েছেন বলেও তাদের অভিযোগ। এখন মাটির নীচ থেকে মন্দির এবং মূর্তির এই ধ্বংসাবশেষ উঠে আসা সেই অভিযোগকেই প্রমাণ করে বলে তাদের দাবি।
এ প্রসঙ্গে ওই সমস্ত মূর্তি এবং মন্দিরের অংশের ছবি টুইট করে বিজেপি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গে ওই দলের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের টুইট, “বহু বছর ধরে রামলালার অস্তিত্বের প্রমাণ দেওয়া হচ্ছিল। এখন প্রকৃতিই তার প্রমাণ দিচ্ছে। রাম মন্দির তৈরির জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে সেখানে আগেই মন্দির থাকার এই সমস্ত প্রমাণ মিলেছে। সত্য প্রমাণের জন্য আর কি চাই?” যদিও অনেকের প্রশ্ন, করোনার সংক্রমণ আর লকডাউনের জেরে বিধ্বস্ত অর্থনীতির ফলে গোটা দেশ বিপন্ন। দলের তরফ থেকে তিনি যে রাজ্যের পর্যবেক্ষক, সেই পশ্চিমবঙ্গের বড় অংশকে কার্যত তছনছ করে দিয়ে গিয়েছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমপান। এই পরিস্থিতিতেও মাটির নীচে মন্দিরের প্রমাণই তাঁর অগ্রাধিকারের তালিকায়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy