স্কুলে ঢুকেই লাঠি নিয়ে ছাত্রীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে উন্মত্ত জনতা।
বহু দিন ধরেই স্কুলছাত্রীদের লক্ষ্য করে চলছিল কটূক্তি এবং যৌন হেনস্থা। স্কুলের ভিতরে ছাত্রীদের উদ্দেশে অশালীন দেওয়াল লিখন। এর প্রতিবাদ করাতেই স্কুলের ভিতরে ঢুকে নৃশংস ভাবে পেটানো হল বিহারের জনা তিরিশেরও বেশি স্কুলছাত্রীদের। এমনকি, স্কুলের সম্পত্তিও ভাঙচুর করা হল। বিহারের সুপুল জেলার এই ঘটনার ভয়াবহতায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষা।
চলতি বছরেই মুজফ্ফরপুরের একটি বেসরকারি হোমে ধর্ষণকাণ্ডের পর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। মহিলাদের সুরক্ষার প্রশ্নে সরকারি আশ্বাস সত্ত্বেও রাজ্যে হিংসার হার যে কমেনি সেই ছবিটাই প্রকাশ্যে এল।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেধড়ক মারধরের পর গুরুতর আহত ছাত্রীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। ঠিক কী হয়েছিল? শনিবার স্কুলের দেওয়ালে অশালীন মন্তব্য লেখার সময় কয়েক জন স্থানীয় যুবককে দেখে ফেলে কয়েক জন ছাত্রী। রীতিমতো বকাঝকা করে তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয় তারা। তবে এক কিছু ক্ষণ পরেই লাঠিসোটা নিয়ে জনা চব্বিশ গ্রামবাসী স্কুলের ভিতরে জোর করে ঢুকে পড়েন। সে সময় খেলার মাঠে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিন ছাত্রীরা।
আরও পড়ুন: মাকে খুনের অভিযোগ, মুম্বইয়ে গ্রেফতার মডেল
আরও পড়ুন: যেচে উপকারের ‘পুরস্কার’! ২ বছরের শিশুকে অপহরণ করে চম্পট তরুণীর
স্কুলের ওয়ার্ডেন রীমা রাজ জানিয়েছেন, স্কুলে ঢুকেই লাঠি নিয়ে ছাত্রীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে উন্মত্ত জনতা। পুরুষেরা তো বটেই, ওই গ্রামবাসীদের মধ্যে মহিলারাও ছিলেন। এর পর পড়ুয়াদের উপর লাথি-ঘুসি, এলোপাথাড়ি মারধর সবই চলতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বহু ছাত্রী। মারধর ছাড়া স্কুলের সম্পত্তিও ভাঙচুর করা হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে ওই তাণ্ডব চলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর পর তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়।
এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন সুপল জেলার শিক্ষা আধিকারিক।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy