—ফাইল চিত্র।
শর্তসাপেক্ষে অসমের ডিটেনশন শিবিরগুলিতে পাঁচ বছরের বেশি বন্দি থাকা সন্দেহভাজন বা চিহ্নিত বাংলাদেশিদের মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে নরম হল সুপ্রিম কোর্ট। ডিটেনশন শিবিরের দুরবস্থা ও অনির্দিষ্ট কাল বন্দি থাকা নিয়ে মানবাধিকার কর্মী হর্ষ মান্দার যে মামলা করেছিলেন তার শুনানি চলল বৃহস্পতি ও শুক্রবার।
গত শুনানিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব অলোক কুমার হলফনামায় প্রস্তাব দিয়েছিলেন—পাঁচ বছরের বেশি বন্দি থাকা ব্যক্তিদের শর্তসাপেক্ষে, বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করে, পাঁচ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দেওয়া যেতে পারে। সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ অলোক কুমারকে ভর্ৎসনা করে তাঁর পদে থাকার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু এই মামলার ‘অ্যামিকাস ক্যুরি’ তথা আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণও ওই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, সন্দেহজনক বিদেশিদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে বহিষ্কার করা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। অনির্দিষ্টকাল কাউকে জেলেও রাখা যায় না। তাই অসম সরকারের প্রস্তাবই গ্রহণযোগ্য।
এরপরেই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, প্রয়োজন হলেই আদালতে হাজির হওয়া নিশ্চিত করা গেলে শর্তসাপেক্ষে বন্দিদের জামিনে মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। কোন কোন শর্ত আরোপ করলে জামিনে মুক্ত ব্যক্তিদের নজরদারি ও প্রয়োজন মাফিক হাজিরা নিশ্চিত করা যাবে তা নিয়ে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy