প্রতীকী ছবি।
জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে গত জুনেই টিকটক-সহ ৫৮টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। একই পথে হেঁটে টিকটকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকাও। যদিও পরে শর্তসাপেক্ষে টিকটককে সে দেশে ছাড়ের ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। শর্ত দিয়েছেন, সংস্থার বেশিরভাগটাই নিয়ন্ত্রণ করবে আমেরিকা। ফলে ফাঁড়া কাটলেও পুরোপুরি সংশয় কাটেনি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে ‘ট্র্যান্সপারেন্সি রিপোর্ট’ প্রকাশ করল টিকটক।
মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট প্রকাশ করে টিকটক জানাল, তাদের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে এমন প্রায় সাড়ে ১০ কোটি ভিডিয়ো গোটা বিশ্ব থেকে সরিয়ে নিয়েছে তারা। যার মধ্যে রয়েছে ভারতের ৩ কোটি ৭০ লক্ষ ভিডিয়ো। ওই রিপোর্টে টিকটক আরও জানিয়েছে, অভিযোগ ওঠার সম্ভাবনা ছিল এমন ৯৬.৪৬ শতাংশ ভিডিয়ো তারা আগেই সরিয়ে দিয়েছে। এবং ৯২.৩২ শতাংশ ভিডিয়ো ‘ভিউ’ হওয়ার আগেই তুলে নেওয়া হয়েছে।
টিকটক আরও জানিয়েছে, গ্রাহকদের তথ্যের জন্য ৪২টি দেশ থেকে এক হাজার ৭৬৮টি অনুরোধপত্র পেয়েছে তারা। তথ্য সরিয়ে দেওয়া বা আটকে দেওয়ার জন্য ১২১টি সরকারি এজেন্সি থেকে তাদের অনুরোধ করা হয়েছে। যদিও কোন কোন দেশ থেকে এই অনুরোধ এসেছে সে বিষয়ে সবিস্তার জানায়নি টিকটক। টিকটকের প্রকাশিত ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, কানাডা, ইতালি, জাপান, স্পেন, ব্রিটেন এবং আমেরিকাতে ‘ফ্যাক্ট চেকিং’ প্রোগামও চালু করেছিল তারা।
আরও পড়ুন: গত তিন বছরে ভারত সীমান্তে দ্বিগুণ শক্তি বাড়িয়েছে চিন, বলছে রিপোর্ট
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত, আমেরিকা টিকটকের একটা বিশাল বড় বাজার। ভারত ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করেছে সংস্থাটিকে। আমেরিকায় বিষয়টি চুক্তির উপর ঝুলে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক ছিল। তাই তড়িঘড়ি ‘ট্র্যান্সপারেন্সি রিপোর্ট’ প্রকাশ করে গোটা বিশ্বের কাছে তাদের কাজকর্ম সম্পর্কে স্বচ্ছতার বার্তাই দিতে চাইল টিকটক বলে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy