প্রতীকী ছবি।
পুরুষ সঙ্গীকে বিয়ের পরে গত বছর অক্টোবরে তুতিকোরিনের রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিলেন এক রূপান্তরকামী। কিন্তু কাজ হয়নি। সেই বিয়েকে স্বীকৃতি দিতেই রাজি হয়নি রেজিস্ট্রি অফিস। এই মামলায় গত কাল মাদ্রাজ হাইকোর্টের বেঞ্চ রেজিস্ট্রি অফিসকে অবিলম্বে ওই বিয়ে নথিভুক্ত করা নির্দেশ দিল। সঙ্গে কোর্ট এ-ও জানাল, হিন্দু বিবাহ আইনে শুধু মহিলা নন, এক জন রূপান্তরকামীরও কনের মর্যাদা প্রাপ্য।
সওয়ালে সরকারি আইনজীবী দাবি করেছিলেন, বিয়েটা যে হেতু হিন্দু মতে, তাই কনেকে অতি অবশ্যই এক জন নারী হতে হবে। এ ক্ষেত্রে যে হেতু তা নয়, তাই রেজিস্ট্রি অফিস আপত্তি জানাতেই পারে। মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি জি আর স্বামীনাথনের বেঞ্চ এরই পাল্টা রামায়ণ, মহাভারতের মতো মহাকাব্য এবং সুপ্রিম কোর্টের পুরোনো নির্দেশ উল্লেখ করে বলেন, ‘‘কনে মানেই নারী হতে হবে, এর কোনও মানে নেই। নিজের বেছে নেওয়া লিঙ্গ পরিচয় ঘোষণার অধিকারের মতো এক জন রূপান্তরকামীর এই মর্যাদাও প্রাপ্য।’’
তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিক বা রূপান্তরকামীদের এখনও সমাজ যে ভাবে বাঁকা চোখে দেখে এবং যে ভাবে তাঁদের বিভিন্ন স্তরে হেনস্থার শিকার হতে হয়, এ দিন তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে বেঞ্চ। সমাজ এবং পরিবারের মধ্যে থেকেই যে এঁদের সুস্থ ভাবে বাঁচার অধিকার রয়েছে, সরকারি তরফে সেই সচেতনতা বাড়ানোর আর্জিও জানিয়েছে আদালত। শৈশব বা কৈশোরে জোর করে লিঙ্গ-পরিবর্তন রুখতে তামিলনাড়ু সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করুক, চাইছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy