Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

রাজীব-খুনিদের মুক্তির বিরুদ্ধে নিহতদের পরিবার

ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত ৭ জনকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার যে প্রস্তাব তামিলনাড়ু সরকার দিয়েছে, তার তীব্র বিরোধিতা করেছে ওই ১৪ পরিবার।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
চেন্নাই শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:২৪
Share: Save:

বোমা হামলায় রাজীব গাঁধীর সঙ্গে নিহত হন আরও ১৪ জন। ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত ৭ জনকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার যে প্রস্তাব তামিলনাড়ু সরকার দিয়েছে, তার তীব্র বিরোধিতা করেছে ওই ১৪ পরিবার।

১৯৯১ সালে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবুদুরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর উপরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় এলটিটিই। ঘটনায় মাকে হারিয়েছেন চেন্নাইয়ের বাসিন্দা ৩৫ বছরের এস আব্বাস। জানান, বাবা আগেই মারা গিয়েছিলেন। আট বছর বয়সে মা। তাঁকে দেখার কেউ ছিল না। দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয় তাঁকে। এখন একটি ঘড়ির দোকান চালিয়ে দিন গুজরান করেন। আব্বাস বলেন, ‘‘বাড়িতে এসেছিল মায়ের ছিন্নভিন্ন দেহটা। সেই সময় প্রতিদিন আমি চিৎকার করে কাঁদতাম।’’ আব্বাসের দাবি, ‘‘সরকার বলছে জনতার আবেগকে সম্মান জানাতেই ওই সাত জনকে মুক্তি দিতে চায় তারা। কিন্তু এটা ঠিক নয়।’’

বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিলেন শান্তাকুমারীর বোন সরোজাদেবী। বোমার টুকরো শরীরে ঢুকে জখম হয়েছিলেন শান্তাকুমারী নিজেও। সব ক’টি টুকরো আজও তাঁর শরীর থেকে বার করা সম্ভব হয়নি। শান্তাকুমারী বলেন, ‘‘ঘটনার পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আমার ১০ বছর লাগে।’’

ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত ৭ জন ২৭ বছর ধরে জেলে। তাঁদের মুক্তির দাবিতে সরব নানা মানবাধিকার সংগঠন। তাদের মতে, ওই সাত জনের দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়া উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

রাজীব গাঁধী Rajiv Gandhi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE