Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Kanak Saha

কোচবিহারের কনক এ বার নয়া সদস্য নক্ষত্রপুঞ্জে

মঙ্গলবার দুপুরে ফোনেই ধরা গেল কনকবাবুকে। কথায়-কথায় বোঝা গেল, স্বল্পভাষী বিজ্ঞানী নিজের জীবনের বদলে নিজের গবেষণা নিয়েই কথা বলতে স্বচ্ছ্ন্দ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২০ ০৫:২৩
Share: Save:

নক্ষত্রপুঞ্জের রহস্য ভেদে তিনি অগ্রণী বিজ্ঞানী। বিদেশি ভাষায় চোস্ত-জবান বললেও অত্যুক্তি হয় না। কিন্তু মাতৃভাষায় আজও তাঁর মুখে মাটির টান স্পষ্ট। তিনি কনক সাহা, পুণের ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজ়িক্স (আইইউকা)-এর বিজ্ঞানী-শিক্ষক। আলোর জন্মদিনের রহস্য সন্ধানে তাঁর গবেষণা এখন বিশ্ববন্দিত।

মঙ্গলবার দুপুরে ফোনেই ধরা গেল কনকবাবুকে। কথায়-কথায় বোঝা গেল, স্বল্পভাষী বিজ্ঞানী নিজের জীবনের বদলে নিজের গবেষণা নিয়েই কথা বলতে স্বচ্ছ্ন্দ। তবে তাঁরই ফাঁকে টুকরো টুকরো স্মৃতি উস্কে ওঠে তাঁর। আদতে কনকবাবুর বাড়ি উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটায়। স্কুল জীবনের বারোটি বছর সেখানেই কাটিয়েছেন তিনি। বললেন, ‘‘ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত কোচবিহারের দিনহাটা স্কুলে পড়েছি। সেথান থেকে ফিজ়িক্স পড়তে আসি কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে।’’ বিজ্ঞানীর নিজস্ব ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৮ সালে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে ফিজ়িক্সে অনার্স নিয়ে বিএসসি পাশ করেন তিনি। ২০০১ সালে ফিজ়িক্সেই এমএসসি পাশ করেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০০৮ সালে বেঙ্গালুরুর অ্যাস্ট্রোফিজ়িক্সে পিএইচডি শেষ করেন।

বর্তমানে আইইউকা-য় অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদে রয়েছেন তিনি। তবে পুণের এই বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে জেনেভা অবজ়ারভেটরি, জার্মানির মিউনিখের ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট, তাইপেইয়ের দ্য ইনস্টিটিটিউট ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন অ্যাস্ট্রোফিজ়িক্স, বেঙ্গালুরুর রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বাল্টিমোরের স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের মতো প্রতিষ্ঠানে পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো হিসেবেও যুক্ত ছিলেন। গবেষক হিসেবে বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকায় গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিজ্ঞানীর সঙ্গেও তাঁর গবেষণা পদার্থবিজ্ঞানী মহলে সুবিদিত। কনকবাবু জানান, গোড়া থেকেই তাঁর গবেষণা নক্ষত্রপুঞ্জ বা গ্যালাক্সি নিয়ে। নিজের ওয়েবসাইটেও সে কথা জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ব্রহ্মাণ্ড রহস্যে আলোর দিশা বাঙালির

আলোর উৎস

• নক্ষত্রপুঞ্জের নাম: ‘AUDFs01’
• দূরত্ব: ৯৩০ কোটি আলোকবর্ষ
• অবস্থান: হাবল এক্সট্রিম ডিপ স্পেস
• টেলিস্কোপের নাম: অ্যাস্ট্রোস্যাট-ইউভিআইটি
• প্রশ্ন: কখন ও কী ভাবে আলোর সৃষ্টি হল?
• আবিষ্কারের গুরুত্ব: সেই সময়ের আলো বা তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গকে খুঁজে পাওয়া। মূলত সদ্যোজাত নক্ষত্র অতিবেগুনি রশ্মি নিঃসরণ করে। তার সূত্র ধরেই আলোর উৎসের সন্ধান।

বিজ্ঞানের জগতে বাঙালি নক্ষত্র প্রচুর। সেই নক্ষত্রপুঞ্জে নতুন সংযোজন অবশ্যই এই বঙ্গসন্তান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kanak Saha India AstroSat NASA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE