তা হলে কি সত্যিই এ বার মৃত্যুকেও হারিয়ে দেবে মানুষ? মৃতদেহে সঞ্চার করতে পারবে প্রাণ? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, হ্যাঁ, এমনটা সম্ভব। মাল্টি ম়ডালিটি বা রিঅ্যানিমা প্রোজেক্ট সফল হলে সম্ভব এই অসাধ্য সাধন। ভারতীয় বিজ্ঞানী হিমাংশু বনসলের নেতৃত্বে মার্কিনি ও ভারতীয় গবেষকদের একটি দল আপাতত এই অসাধ্য সাধনের প্রকল্পে ব্যস্ত। চেষ্টা করছেন মৃত মস্তিষ্ক আবার সজীব করে তুলতে।
ইতিমধ্যেই যাঁদের মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে, এমন ২০ জন রোগীর উপর পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি জোগাড় করেছে এই গবেষক দল। উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরের অনুপম হাসপাতালে এই গবেষণার প্রাথমিক ধাপ নিয়ে আপাতত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যস্ত এই গবেষকরা। এই প্রাথমিক ধাপের নাম ‘ফার্স্ট ইন হিউম্যান নিউরো-রিজেনেরেশন অ্যান্ড নিউরো-রিঅ্যানিমেশন’।
এই ধাপে বিজ্ঞানীরা প্রাথমিক ভাবে মৃত মস্তিষ্কে তাজা স্টেম সেল ও পেপটাইডের (অ্যামিনো অ্যাসিড মনোমারের ছোট চেন) একটি মিশ্রণকে প্রবেশ করিয়ে তাকে জীবন্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। হিমাংশু বনসল দাবি করেছেন, ইউরোপ এবং গাল্ফে ইতিমধ্যেই দুই রোগীর উপর এই পরীক্ষা চালিয়ে সফল হয়েছেন তিনি।
একটি ইংরেজি সংবাদপত্রে তিনি বলেছেন ‘’২০ জনের উপর লাগাতার পরীক্ষা চালিয়ে আমরা মৃত মস্তিষ্কে প্রাণ সঞ্চারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই গবেষণা সফল হলে চিকিত্সা শাস্ত্রের নয়া দিগন্ত খুলে যাবে। অকালে যারা প্রিয়জনদের হারাবেন তাঁদের মনেও নতুন আশার যোগান দেবে এই গবেষণা।’’
এই গবেষণায় যদি কেউ প্রাণ ফিরে পান, তাহলে কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য তাঁকে কিছু জীবনদায়ী ব্যবস্থার সাহায্য নিতে হবে। প্রতি দু’সপ্তাহ অন্তর স্পাইনাল কর্ড বা সুষুম্না কাণ্ডে নিয়মিতভাবে পাম্পের সাহায্যে পেপটাইড ও স্টেম সেলের যোগান দিতে হবে। অন্তত ছ’সপ্তাহ এই নিয়ম মেনে চলতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy