Advertisement
E-Paper

সঙ্গীত পরিচালকেরা সস্তায় পুষ্টিকর গায়ক খুঁজছেন

তাই শিক্ষিত শিল্পীরা বসে থাকছেন বাড়িতে। কোটি টাকা করছেন দলে দলে বেসুরোরা। অভিযোগে ফেটে পড়লেন রাঘব চট্টোপাধ্যায়। সাক্ষী স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়মধ্য কলকাতার এক কফি শপে ভরদুপুরে তেতে পুড়ে হাজির রাঘব চট্টোপাধ্যায়। আগেভাগেই বলে নিলেন, ‘‘খাওয়া ছাড়া কিন্তু আড্ডা জমে না। অর্ডারটা দিয়ে নিই।’’ কথা শুরু হল ‘বিটনুন’ দিয়ে! সদ্য যে বাংলা ছবির গানে সুর দিয়েছেন তিনি। বলছিলেন, ‘‘আজও বিটনুন-এর জন্য ফোন পাচ্ছি! ফেসবুকেও প্রচুর পোস্টিং।’’ মুখরা শেষ না হতেই খানা হাজির। আলাপ শুরু।

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৫ ০০:০৩
রাঘব চট্টোপাধ্যায়  ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল

রাঘব চট্টোপাধ্যায় ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল

মধ্য কলকাতার এক কফি শপে ভরদুপুরে তেতে পুড়ে হাজির রাঘব চট্টোপাধ্যায়। আগেভাগেই বলে নিলেন, ‘‘খাওয়া ছাড়া কিন্তু আড্ডা জমে না। অর্ডারটা দিয়ে নিই।’’
কথা শুরু হল ‘বিটনুন’ দিয়ে! সদ্য যে বাংলা ছবির গানে সুর দিয়েছেন তিনি। বলছিলেন, ‘‘আজও বিটনুন-এর জন্য ফোন পাচ্ছি! ফেসবুকেও প্রচুর পোস্টিং।’’
মুখরা শেষ না হতেই খানা হাজির। আলাপ শুরু।

পত্রিকা: বিটনুন তো হল, কিন্তু মুম্বইটা কবে হবে?
রাঘব: মুম্বই তো গিয়েছিলাম। দু’বছর থেকেওছি। কিন্তু ওখানে এত লবিবাজি আর বাঙালি বিদ্বেষ! ওটার সঙ্গে লড়াই করতে পারব না। আর কাজ পাওয়ার জন্য উঠতে বসতে প্রযোজক-পরিচালকদের পিছনে ছোটাছুটি করাও আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আর একটা বছর ওখানে থাকলে, কলকাতার বাজারটাও হারাতাম।
পত্রিকা: মুম্বইতে বাঙালি বিদ্বেষ! পুরনো কথা বাদই দিলাম। সাম্প্রতিক দুটো মাত্র উদাহরণ দিই। এক, অরিজিৎ সিংহ। উনি কী করে তবে এত নাম করেন? দুই, সদ্য ‘পিকু’তে চমৎকার কাজ করলেন অনুপম রায়...

রাঘব: দাঁড়ান, দাঁড়ান। বাইরে থেকে ফস করে এরকম মন্তব্য করবেন না।

পত্রিকা: তা’হলে ভিতরের ব্যাপারটা কী শুনি।

রাঘব: দেখুন, অনুপম খুব ভাল গায়। কম্পোজিশনও খুব ভাল। ওর গুণ নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলছি না। তবে ওকে কিন্তু এই কাজে বাঙালি পরিচালকরাই সুযোগ করে দিয়েছেন।

পত্রিকা: বাঙালি পরিচালক বলতে?

রাঘব: অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, সুজিত সরকারের মতো মানুষের সাহায্য পেয়েছ ও। সুজিতদার মতো মানুষ হয় না। এই যোগাযোগটা না হলে আমার খুব সন্দেহ আছে, অনুপম পিকুতে গান গাইতে পারত কিনা। আমি আরেকটু পরিষ্কার করে বলি?

পত্রিকা: বলুন না!

রাঘব: আমি বলতে চাইছি, অনুপম সরাসরি যদি কাজের জন্য অবাঙালি প্রযোজক-পরিচালকদের মুম্বইতে অ্যাপ্রোচ করত, তা হলে বড় ব্যানারে কাজের সুযোগ ও পেত না। আর দেখুন, পিকু তো কলকাতাতেই শ্যুট হয়েছে, সেখানে যে ধরনের মিউজিকের প্রয়োজন ছিল, অনুপম ঠিক সেই ধরনের মিউজিকই করে। এতগুলো বিষয় একসঙ্গে কাজ করেছে। আর অরিজিৎ ছেলেটি অসম্ভব ভাল গায়, মিউজিকটাও ভাল বোঝে। ওকেও কিন্তু খুব স্ট্রাগল করতে হয়েছে। মুম্বই আসলে খুব নির্দয়।

পত্রিকা: মুম্বইয়ের ওপর এত রাগ কেন? আপনাকে দিয়ে গান রেকর্ড করিয়েও সে-গান গাওয়ানো হয়নি, তাই?

রাঘব: শুধু আমার গান কেন, সোনু নিগম, শানের সঙ্গেও এমন হয়েছে। আসলে মুম্বইতে চার-পাঁচ জন গায়ককে দিয়ে একটা গান রেকর্ড করানো হয়। পরিচালক বা প্রযোজকের যার গান ভাল লাগবে, তিনিই গাইবেন। লটারির মতো— টিকিট কেটে বসে থাকো, যদি নম্বর মেলে। গানবাজনা আর যাই হোক, লটারি খেলা নয়...

পত্রিকা: বেশ রেগে আছেন আপনি!

রাঘব: রাগ হবে না! ‘লাগে রহো মুন্না ভাই’-তে ‘আনে চার আনে’ গানটা আমাকে দিয়ে রেকর্ড করানো হল। রাজু হিরানি আর শান্তনু মৈত্রর সেটা পছন্দও হল। হঠাৎ এক দিন বিধুবিনোদ চোপড়া এসে বললেন, আমার গান তাঁর ভাল লাগেনি। ব্যস, অমনি আমি বাতিল! আর এখন তো মনে হয়, অবাঙালি সুরকাররা বাঙালি গায়কদের দিয়ে গান গাওয়াতেই চান না।

পত্রিকা: তাই? অবাঙালি সুরকার বলতে....

রাঘব: দেখুন আমি কিন্তু সম্পূর্ণ আমার অভিজ্ঞতা বলছি। কাউকে আক্রমণ করা আমার উদ্দেশ্য নয়। মুম্বইতে আমি দেখেছি, সেলিম-সুলেমান, বিশাল-শেখর, এঁরা কখনওই বাঙালি গায়কদের দিয়ে গান গাওয়াতে চান না।

পত্রিকা: মুম্বইতেই কিন্তু শান্তনু মৈত্র, প্রীতম, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আছেন....

রাঘব: শান্তনুদা কলকাতার প্রচুর গায়ক-গায়িকাকে দিয়ে গাইয়েছেন, এটা ঠিক। আমাকেও ডেকেছেন বহু বার। শান্তনুদার একটা নিজস্ব ট্যালেন্ট আছে। উনি খুব সহজ সরল সুর করেন। এটা আমজনতাকে ছুঁয়ে যায়। শান্তনুদার ক্ষেত্র হয়তো’বা ওই বাঙালি-বিদ্বেষ ব্যাপারটা খাটেনি।

পত্রিকা: আর গায়িকা হিসেবে শ্রেয়া ঘোষালের ক্ষেত্রে? ওঁরও কি বাঙালি হিসেবে...

রাঘব: শ্রেয়া প্রথম থেকেই একটা অল-ইন্ডিয়া এক্সপোজার পেয়ে গিয়েছিল। রিয়্যালিটি শো-তে ওর গান শুনে লতা মঙ্গেশকরের অসম্ভব ভাল লেগেছিল। এটা একটা বিশাল পাওয়া। আর শ্রেয়া কিন্তু কলকাতার বাঙালি নয়। ও মুম্বইতেই পড়াশোনা করতে করতে গানটা শুরু করেছে। ওর বাবা ওকে অসম্ভব সাপোর্ট করেন। আর শ্রেয়া যখন গান শুরু করছে মুম্বইতে, তখন ওখানে ফিমেল ভয়েসের একটা অভাব ছিল। তো, সেই পরিস্থিতিটাও শ্রেয়ার ক্ষেত্রে কাজে দিয়েছে। আর সব কিছুর ওপরে শ্রেয়া বিরল প্রতিভা।

পত্রিকা: আর বাকি বাঙালি মিউজিশিয়ান, যাঁদের কথা আগে বললাম...

রাঘব: বাকি মানে... জিৎ বা প্রীতমকে কাজ পাওয়ার জন্য মুম্বইতে অন্তত পনেরো বছর ধরে লেগে থাকতে হয়েছে। অপেক্ষা করতে হয়েছে। আর জিৎ তো সবে হিন্দি সিনেমায় কাজ করছে। মুম্বইতে গান গাওয়ার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি পেতে পেতে আমি ফ্রাসট্রেটেড হয়ে পড়েছিলাম, তাই কলকাতায় ফিরে আসি। ব়ড় দেশের পাতি প্রজা হওয়ার চেয়ে ছোট দেশের রাজা হয়ে থাকা ঢের ভাল।

‘পিকু’

পত্রিকা: আপনি তা’হলে রাজা! একটু বেশি আত্মপ্রচার হয়ে যাচ্ছে না? নিজেই নিজের প্রশংসা করছেন!

রাঘব: দেখুন, গান না শিখে লোকে আজ গায়ক। ইন্ডাস্ট্রিতে স্ক্রিপ্ট লিখতে এসে লোকে গান গেয়ে রেকর্ড করে চলে যাচ্ছে। সুর বা রেওয়াজের কোনও বালাই নেই। সফটওয়্যার সুর বসিয়ে দিচ্ছে। পিচ না মিললেও পিচ কারেকশন করা হচ্ছে। এরাই মিডিয়ায় গায়ক হিসেবে বড় বড় সাক্ষাৎকার দিচ্ছে। আর সঙ্গীত পরিচালকেরাও অমুকে ভাল স্ক্রিপ্ট লেখে, ওর নাম আছে, তমুকে ভাল অভিনয় করে, ওকে সবাই চেনে, এই ভেবে, তাকে দিয়েও গান গাইয়ে নেওয়া হচ্ছে। এরা সব অ-গায়ক। আরে, আমরা তো গানটা শিখে গাইতে এসেছি। আজও দিনে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা রেওয়াজ করি। মুম্বইয়ে শান্তনু মৈত্র, সাজিদ-ওয়াজিদ, শঙ্কর-এহেসান-লয় আমাকে দিয়ে অনেক গান গাইয়েছেন। পনেরো বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার পরে আজও নিজের কথা যদি না বলি, কবে আর বলব?

পত্রিকা: পিচ কারেকশন, সফটওয়্যারের এই সব সুযোগ বেশি কারা নেন?

রাঘব: (ঠোঁট উল্টে) নামগুলো না হয় না’ই বললাম। তবে একটা কথা বলি, এত সব কিছুর পরেও আমি কিন্তু এখনও খুব পজিটিভ। আশাবাদীও।

পত্রিকা: বুঝলাম। আপনি যে ‘বিটনুন’-এর গানের কথা বলছিলেন, একটা সত্যি কথা বলবেন? বিটনুন-এর ওই গান...‘জানি পাল্টে যায়’... দীর্ঘকাল লোকের মনে থেকে যাবে, এটা আপনি বিশ্বাস করেন?

রাঘব: (একটু ভেবে) না, করি না। তবে বিটনুন কেন, কোনও বাংলা ছবির গানই দীর্ঘকাল লোকের মনে থেকে যাচ্ছে, এমনটা কিন্তু আর হচ্ছে না।

পত্রিকা: কেন ‘বসন্ত এসে গেছে’...

রাঘব: হ্যাঁ, লোকে শুনেছে গানটা। বাচ্চা মেয়েটি ভাল গেয়েছে। কিন্তু কত দিন? আসলে সমস্যাটা অন্য জায়গায়।

পত্রিকা: কী?

রাঘব: এখন সঙ্গীত পরিচালকেরা শিক্ষিত নামী গায়কদের বদলে সস্তায় পুষ্টিকর গায়ক খুঁজছেন। শান, সোনুদা বাড়িতে বসে আছেন। আর হানি সিংহ কোটি টাকা রোজগার করছেন। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির এ বার বলা উচিত, একটা গানচর্চার শিক্ষা না থাকলে গান রেকর্ড করা যাবে না। বড্ড বেশি কমপ্রোমাইজ করছি আমরা।... আরে, একটা মানুষের বাড়িতে যতটা চাল লাগে, ততটা কাঁচা লঙ্কা লাগে না। কাঁচা লঙ্কা বেশি হয়ে যাচ্ছে। সঙ্গীত পরিচালকরা বলুন, যে গায়কের সুর কম লাগে, তার স্টুডিয়োতে আসাই উচিত না। গান গাওয়ার যদি অতই ইচ্ছে থাকে, তবে রীতিমতো গলা সেধে তৈরি হয়ে আসতে হবে। ভাবুন তো নচিকেতা ঘোষের কথা। একজন সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কী দাপট ছিল ওঁর! এখন কারও সেই দাপট আছে? তবে এই বাজারেও ভাল মিউজিক, ক্লাসিক্যাল মিউজিকের জন্য আমি লড়াই করে যাচ্ছি।

পত্রিকা: আপনারই বা ক’টা গান হিট হয়েছে? সেই তো ‘চাঁদ কেন আসে না আমার বাড়ি’!

রাঘব: (প্রচণ্ড রেগে গিয়ে) এটা একদম বাজে কথা। আমি এখনই আমার পাঁচটা কেন, দশটা হিট গান বলতে পারি।— ‘তোমার চোখে আমি আমার মরণ দেখেছি’, ‘ঝিরি ঝিরি ঝিরি’, ‘জয় মা দুর্গা’, ‘রংমশাল’ ছবির ‘চলো পাল্টাই’, ‘বাইশে শ্রাবণ’-এর ‘মাটি খুঁড়ে’...

পত্রিকা: আপনি রূপঙ্করের মতো পুরো দস্তুর রোম্যান্টিক গায়ক নন। আবার রূপম ইসলামের মতো রকস্টার নন। কোনও নির্দিষ্ট ইমেজ না থাকায় কি আপনার জনপ্রিয়তা পেতে অসুবিধে হয়?

রাঘব: রূপম বাংলা রক ইন্ডাস্ট্রিকে ধরে আছে। ওর নিজস্ব একটা জায়গা আছে ওখানে। ভাল লাগে সেটা। রূপঙ্কর প্রচুর সিনেমায় গান গায়। আমিও গাইয়েছি ওকে দিয়ে। সিনেমার গানের জন্যই ওর একটা রোম্যান্টিক গায়কের ইমেজ আছে। তবে আমার বিষয়টা একটু আলাদা। আমি সব ধরনের গান গাইতে পারি। এই তো সে দিন, একটা অনুষ্ঠানে দু’ঘণ্টা শুধু রাগসঙ্গীত গাইলাম। আবার সেমি ক্লাসিক্যাল সিনেমার গানও গাই।

পত্রিকা: অনেকে বলেন, আপনার গানে তানের বেশি ব্যবহার গানের রোম্যান্টিকতাকে লঘু করে।

রাঘব: এটা আগে ছিল। এখন কিন্তু আমি সেটা কাটিয়ে উঠেছি। গানের ক্ষেত্রে হৈমন্তীদি (শুক্ল), দেবুদার (দেবজ্যোতি মিশ্র) মতো ব্যক্তিত্বের গাইডেন্স পেয়েছি আমি। তার জন্য কৃতজ্ঞ। আজও শান, সোনু নিগমের গান শুনি আমি। খেয়াল করি, শান একটা রোম্যান্টিক গানকে কী ধরনের গায়কীতে গাইছেন। গান গাওয়ার ক্ষেত্রে গান শোনাটা একটা জরুরি বিষয়। আমি নিজেকে এন্টারটেনার মনে করি। হিন্দি সুফি থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত, সব ধরনের গান শোনাব দর্শককে। তাতে মানুষের মন ভাল হয়ে যাবে।

পত্রিকা: তা হলে পাবলিক শোয়ের কথাই চলে এল। সিডির বাজারে মন্দা। আজ তো গায়ক-গায়িকারা মাল্টি টাস্কিং করছেন। কেউ অভিনয় করছেন। কেউ মিউজিক কোম্পানি খুলেছেন। আপনি কী ভাবছেন?

রাঘব: সিডির বাজার একেবারেই যে চলছে না, তা কিন্তু নয়। গান এখন অনেক বেশি ডাউনলোড করা হচ্ছে। আগে প্রচুর বিজ্ঞাপনের গান গাইতাম, এখন তেমন গান আর হয় না। দেবুদার সঙ্গেই একটানা সিরিয়ালে প্রচুর গেয়েছি। এখন সেটাও কমেছে। ভাবছি কলকাতায় গানের স্কুল তৈরি করব। জায়গাও বাছা হয়ে গেছে। যত্ন করে গান শেখাব, শিল্পী তৈরি করব। আর নিজে ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করার কথা ভাবছি।

পত্রিকা: সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে তো গান গেয়েছেন। ওঁকে বলেছেন, ওঁর ছবিতে মিউজিক করতে চান?

রাঘব: হ্যাঁ, বলেছি। এখন ইন্ডাস্ট্রির সবাইকেই বলছি। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কেও বলেছি। দেখা যাক।

পত্রিকা: মানে বড় ব্যানারে ছবির সঙ্গীত পরিচালনার ইচ্ছে। তাই তো?

রাঘব: দেখুন, আমি অনেককেই বলেছিলাম, ছবিতে মিউজিক করতে চাই। কিন্তু সুদেষ্ণাদি (রায়), অভিজিৎদা (গুহ) প্রথম কাজ দেন আমায়। আমায় যাঁরা বিশ্বাস করতে পেরেছেন। তাঁরাই আমার কাছে বড় ব্যানার। তবে পাবলিসিটির ক্ষেত্রে সত্যিকারের বড় ব্যানারটা কিন্তু জরুরি।

পত্রিকা: আপনি আসলে খুব অল্পতেই সন্তুষ্ট। তাই কি?

রাঘব: একদমই তাই। আমি ‘বত্তামিজ দিল’ বা ‘লুঙ্গি ডান্স’ দিয়ে নাম করতে চাই না। তাতে যদি কম গান গাই, তাতেই আমি সন্তুষ্ট।

পত্রিকা: প্রেমে-টেমেও পড়েন না। সাবধানী, না?

রাঘব: আমার উদ্দেশ্য হিম্যান হওয়া নয়। আমি ভাল গান শোনাতে চাই। অজয় চক্রবর্তীর ছাত্র আমি। সঙ্গীত রিসার্চ একাডেমিতে গান শিখতে শিখতে এক বার উস্তাদ আলি আকবর খান সাহেবের সঙ্গ পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, নিজের জন্য গান শিখে গান গাইবে। তাতেই ভাল গান তৈরি হয়। আর ভাল গান তৈরি হলেই সেটা সুরের জগতে পৌঁছে যায়। ওই সুরের জগতেই থাকি আমি। সেখানে আজও মান্না দে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গানগুলো আমাকে ভরিয়ে রাখে।

পত্রিকা: সেখানে পরের প্রজন্মের কেউ নেই!

রাঘব: আছেন। হরিহরন, সোনু নিগম, সুখবিন্দর সিংহ, শঙ্কর মহাদেবন...

পত্রিকা: আর বাংলার?

রাঘব: নচিদা (চক্রবর্তী), সুমনদার (কবীর সুমন) গান খুব ইনস্পায়ার করে আমাকে। আজও করে। রূপঙ্কর আর শ্রীকান্তদাও (আচার্য) খুব ভাল। এই... আর কী...

বাইরে দুপুরের ঝাঁঝ তখনও কমেনি। পানীয়ে চুমুক দিয়ে এই প্রথম সে দিকেই চোখ রাখলেন রাঘব। কফি শপের সাউন্ডট্র্যাকে তখন হারমোনিকায় বাজছে...‘‘এক দিন বিত যায়ে গা... মাটি কে মোল...।’’

Raghab Chattopadhyay singer srovonti bandopadhyay anupam roy kolkata piku Shoojit Sircar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy