Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফেলে দেওয়া বাক্সেই বাজিমাত

অনলাইনে জিনিস এলে বাক্স আর ফেলে দেবেন না। বরং তাকেই দিন নতুন রূপঅনলাইনে জিনিস এলে বাক্স আর ফেলে দেবেন না। বরং তাকেই দিন নতুন রূপ

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

ব্যস্ততার যুগে এখন হরদমই কেনাকাটা চলে অনলাইনে। সেখান থেকে কেনা জিনিসপত্র আসে কার্ডবোর্ডের বাক্সে। বেশির ভাগ সময়েই সেই সব বাক্সের জায়গা হয় ডাস্টবিনে। কিন্তু সামান্য বুদ্ধি খাটিয়ে যদি সেই সব বাক্সকেই দেওয়া যায় নতুন রূপ, তা হলে কেমন হয়?

বড় স্টোরেজ বক্স: একগাদা জিনিস একসঙ্গে ডেলিভারি এলে সাধারণত তা একটা বড় বাক্সেই আসে। প্রথমেই সেই বাক্সের গা থেকে ব্র্যান্ডের লাগানো সমস্ত সেলোটেপ খুলে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন, যেন বাক্সের গা মসৃণ হয়। এ বার সেই বাক্স সাজাতে হবে। বাক্সের মুখের অংশের চারটি ফ্ল্যাপ ভিতরে ঢুকিয়ে দিন। বাড়িতে বালিশের পুরনো অথচ পরিষ্কার কভার থাকলে তা পরিয়ে দিন বাক্সের গায়ে। বেশি কসরতও করতে হবে না এর জন্য। এই স্টোরেজ বক্সে অব্যবহৃত জামাকাপড় রাখতে পারেন। আবার অন্য ভাবেও সাজাতে পারেন বাক্স। তার জন্য একটি বাটিতে সম পরিমাণে আঠা ও জল মিশিয়ে নিন। ব্রাশের সাহায্যে সেই আঠা লাগিয়ে দিন বাক্সের বাইরের দিকে চারপাশে। তার উপরে পাটের মোটা দড়ি লাগিয়ে নিন। সারা রাত শুকিয়ে গেলে বাক্স রং করে ফেলুন। স্টোরেজ বক্স তৈরি। প্যান্ট্রিতে আসা হরেক রকমের ছোট-বড় জিনিস রাখতে পারেন এই স্টোরেজ বক্সে।

ম্যাগাজ়িন বক্স: কর্নফ্লেক্স, প্রোটিন শেক, ভিটামিন ড্রিঙ্কস বা সিরিয়ালের জন্য যে সমস্ত বাক্স আসে, সেগুলি ফেলে না দিয়ে ম্যাগাজ়িন বক্স বানিয়ে ফেলতে পারেন। তার জন্য বাক্সগুলো তেরছা করে কেটে দু’ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। অর্থাৎ একটি বাক্স থেকে সহজেই বেরিয়ে আসবে দু’টুকরো। এ ভাবে দু’-তিনটি বাক্স কেটে নিন। প্রতিটি বাক্স আলাদা আলাদা করে রং করুন। চাইলে পুরনো খবরের কাগজ আঠা দিয়েও লাগিয়ে দিতে পারেন বাক্সের গায়ে। এ বার প্রত্যেকটি বাক্স পাশাপাশি আঠা দিয়ে আটকে নিন। প্রথমে বড় বাক্স, তার পরে মাঝারি এবং একদম শেষে ছোট আকারের বাক্স লাগাতে পারেন। এ বার প্রত্যেক বাক্সে ইচ্ছে মতো ম্যাগাজ়িন রাখতে পারেন। ড্রয়িং রুমে সেন্টার টেবিলের এক পাশে এই ম্যাগাজ়িন বক্স রাখুন। আবার এই বাক্স রান্নাঘরে কুকিং বুক রাখতেও ব্যবহার করতে পারেন।

ড্রয়ার ডিভাইডার: বেশির ভাগ সময়েই আলমারিতে ইনার ওয়্যার্স ঘোরাফেরা করে ইতিউতি। ফলে তাড়াহুড়োয় প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজে পাওয়া দায়। সমস্যার সমাধান করতে পারে ড্রয়ার ডিভাইডার। মোটামুটি মাঝারি মাপের একটি বাক্স নিয়ে উপরের ফ্ল্যাপ কেটে ফেলুন। বাক্সটি রং করে নিতে পারেন। বাক্সের মাঝে কেটে ফেলা ফ্ল্যাপ আড়াআড়ি বসিয়ে নিন। এতে বাক্সের মাঝেই তৈরি হয়ে যাবে চারটি খোপ। এক একটিতে প্রয়োজন মতো রুমাল, মোজা, ইনার ওয়্যার্স সাজিয়ে রাখতে পারেন।

জুয়েলারি বক্স: অনেক সময়েই এমন ছোট বাক্সে করে জিনিস আসে, যেগুলি থেকে স্টোরেজ বক্স বানানো যায় না। সে ক্ষেত্রে বানাতে পারেন জুলেয়ারি ও টয়লেটারি বক্স। ছোট বাক্সের ফ্ল্যাপ কেটে ফেলুন। রং করে তার গায়ে পুঁতি, পাথর বা লেস লাগিয়ে নিন। আয়নার সামনে রাখা সমস্ত বডি লোশন, ক্রিম, টোনার, ডিয়োডোরেন্ট সাজিয়ে রাখুন সেই ছোট বাক্সে। এই ধরনের বাক্স তৈরি করতে পারেন টিসু বক্স দিয়েও। আবার বাক্সের গায়ে ছোট ছোট ফুটো করে নিতে পারেন। সেখানে সাজিয়ে রাখতে পারেন ঝুমকো বা দুল।

প্ল্যান্টার্স: হতেই পারে আপনার বাড়ির গাছের টবগুলো মোটেও ভাল দেখতে নয়। সেই সমস্যার সমাধান করতে পারে বাক্স। তার জন্য অবশ্য আরও কয়েকটি জিনিস লাগবে। প্রথমে বাক্সের সিল খুলে চৌকো একটি সমতল অংশে পরিণত করুন। সেটি এ বার গোল করে মুড়ে আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিন। অনেক সময়ে কার্ডবোর্ডের গোল বাক্সও আসে। সেটিও ব্যবহার করতে পারেন। গোল বাক্সের দু’দিক যেন ফাঁকা থাকে। এ বার একটি সিডির উপরে গোল বাক্সটি আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিন। রং করুন। গোল বাক্সের মধ্যে গাছের টব বসিয়ে নিন। বাইরে থেকে কেউ টব দেখতে পাবেন না। অথচ নজর কাড়বে নতুন প্ল্যান্টার্স।

মার্কার অর্গানাইজ়ার: কাজের সময়ে কখনওই খুঁজে পাওয়া যায় না পেন-পেনসিল। তার জন্য একটি মাঝারি কার্ডবোর্ড বাক্স নিন। তার মাঝে পাশাপাশি বেশ কয়েকটি টিসু পেপারের খালি রোল আঠা দিয়ে আটকে দিন। বাক্সের বাইরেটা রং করলেই চলবে। এ বার স্কেচ পেন, পেনসিল, পেন, মার্কার, কাঁচি... এক একটি রোলের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখুন। দরকারে সব পাবেন হাতের কাছে।

কথায় আছে, কোনও কিছুই ফেলনা নয়। তাই ফেলে দেওয়া বাক্সেই না হয় সেজে উঠুক ঘর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Online Shopping Cardboard Box
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE