Advertisement
E-Paper

দিশাহীন নাট্য প্রয়াস

‘অহম’ নাটকটি দেখে এমনই মনে করলেন মনসিজ মজুমদারনাটকের দল বেঁধে বিশুদ্ধ নাট্যচর্চায় কী সঙ্কট ঘটে তা নিয়ে বরানগর দৃশ্যকাব্যের ‘অহম’ (রচনা/পরি: সম্রাট সান্যাল)। শুরুতেই নাট্যদলের নেতা সুদীপ্ত আত্মগরিমা প্রচার করেন। ‘অহম’ নাটকটি দেখে এমনই মনে করলেন মনসিজ মজুমদার

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৬ ০০:০০

নাটকের দল বেঁধে বিশুদ্ধ নাট্যচর্চায় কী সঙ্কট ঘটে তা নিয়ে বরানগর দৃশ্যকাব্যের ‘অহম’ (রচনা/পরি: সম্রাট সান্যাল)। শুরুতেই নাট্যদলের নেতা সুদীপ্ত আত্মগরিমা প্রচার করেন। মঞ্চে সিনেমার মহানায়কদের বিশাল প্রতিকৃতি জানান দেয় মঞ্চে নয়, বড় পর্দার গ্ল্যাম হিরো হওয়াই নাট্যচর্চার লক্ষ্য। নাট্যদলের এক জুনিয়র অভিনেতা পরিচালকের চেয়ার দখলের উচ্চাশায় দলনেতাকে হত্যা করতে চায়। দুজনের মধ্যে মোরগ লড়াই বাঁধে। মৃত ও মাতালের অভিনয় করে দলনেতা তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে ধোঁকা দেন।

শেষে যখন তিনি আবার মৃতবৎ পড়ে থাকেন তখন দর্শকরা বুঝে উঠতে পারেন না তিনি মৃতের না জীবিতের ভূমিকায়। দলনেতার মৃত্যুর (?) পর চেয়ার দখল করে তাঁর তরুণ প্রতিদ্বন্দ্বী এবং আর এক শোকাহত তরুণ অভিনেতা মড়াকান্না জুড়ে দেয়। এবং আরও কিছু নাচ গান আর মোরগ-লড়াইয়ের পর উচ্চারিত হয় নাটকের দুই গভীর বক্তব্য: পরম নিষ্ঠার সঙ্গে নাট্যকলা চর্চা করতে হবে আর অহংবোধই বড় বাধা। জানা যায়, দলনেতা সুপার ইগো আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী উগোয় আক্রান্ত।

সারা নাটকে এমন একটি সংলাপ বা মুহূর্ত নেই যা দর্শককে বুদ্ধিদীপ্ত কৌতুকে বা উচ্চকিত হাসির রোলে মজিয়ে রাখে।

নাটকের বক্তব্য সুস্পষ্ট করতে ফ্রয়েডিয় তত্ত্ব আওড়াতে হয়। সিরিয়াস বক্তব্যের সঙ্গে বিশুদ্ধ ভাঁড়ামি, ‘পাবলিক খায়’ এমন সব বলিউডি নাচগান আর অতি দুর্বল রচনা মিলে একটি দিশাহীন নাট্য প্রয়াস এই প্রযোজনা।

তবে তিনজন মূল অভিনেতা শরীরী অভিনয়ে যে সুদক্ষ তা বোঝা যায় নাচ ও ঝগড়ার দৃশ্যগুলিতে।

play Aham review
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy