Advertisement
E-Paper

আধুনিকতার অন্বেষণে আত্মনিবেদন

আইসিসিআর গ্যালারিতে তাদের বিস্তৃত প্রদর্শনী শেষ হল সম্প্রতি। একসঙ্গে এত মাধ্যমের এত বেশি কাজ বছরে এক বারই দেখার সুযোগ হয় বলে, কলকাতার শিল্প-শিক্ষার্থী এবং রসিক দর্শকের কাছে শান্তিনিকেতন কলাভবনের প্রদর্শনী বরাবরই কৌতূহলের বিষয়।

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৮ ০০:০০
শৈল্পিক: পঙ্কজ বসাকের ‘দ্য সোলজার’ এবং একার্থ হালদারের ‘বহুরূপী’। সম্প্রতি আইসিসিআর-এ।

শৈল্পিক: পঙ্কজ বসাকের ‘দ্য সোলজার’ এবং একার্থ হালদারের ‘বহুরূপী’। সম্প্রতি আইসিসিআর-এ।

শিল্পকলার ঐতিহ্যের যে উত্তরাধিকার একটা সময় পর্যন্ত কলাভবনকে সমৃদ্ধ করেছিল— অপসৃয়মাণ ছায়ার মতো তারই এক সাম্প্রতিক পর্ব উঁকি দিয়ে গেল শহরে। আইসিসিআর গ্যালারিতে তাদের বিস্তৃত প্রদর্শনী শেষ হল সম্প্রতি। একসঙ্গে এত মাধ্যমের এত বেশি কাজ বছরে এক বারই দেখার সুযোগ হয় বলে, কলকাতার শিল্প-শিক্ষার্থী এবং রসিক দর্শকের কাছে শান্তিনিকেতন কলাভবনের প্রদর্শনী বরাবরই কৌতূহলের বিষয়। যদিও এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছিল বিএফএ ও এমএফএ-র চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাজই।

অপূর্বকুমার সালুইয়ের মিশ্র মাধ্যমের ক্যানভাসটিতে স্থাপত্যের বুদ্ধিদীপ্ত জ্যামিতিক বিন্যাস সমগ্র কম্পোজিশনটিকে ধরে রেখেছে চমৎকার স্পেস-এর ব্যবহারে। সাদা-কালোর বিভিন্ন টোনে ছোট ছোট জ্যামিতিক ফর্মকে ছড়িয়ে ও সাজিয়ে বিন্যস্ত করেছেন অরুণাভ রঙ্গিত। ছ’টি ভাগে বিভক্ত এই কাজটি দুই পরস্পর বিরোধী রং-টোন-আলো ও গাঢ়ত্বের মধ্যে একটা দূরত্ব ও সমন্বয় তৈরি করে। এই বিভ্রম তৈরি করে কনস্ট্রাকশন, যা ঘরবাড়ির উপরিভাগের অংশ। আলোকচিত্রের সাহায্যে উডকাটে সাইকেলের যন্ত্রময় জটিল অংশ নিয়ে করা এই গ্রাফিক্সটিতে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় রেখেছেন অত্রি চেতন। সামান্য রং ব্যবহার করে আলো-অন্ধকারে ধাতব পদার্থ ও রবারের টায়ারকে এক রম্য আধুনিকতার ফ্রেমে বেঁধেছেন। কাঠের আঁশের চরিত্রকে উডকাটের স্বাভাবিকতার মধ্যে রাখা এক ধরনের টেক্সচার, সূক্ষ্ম লাইনের জোরালো ব্যবহার ও হাইলাইট প্রয়োগ মানুষের মুখকে বড় জীবন্ত করেছে লুৎফুন্নাহার লিজার কাজটিতে। রুহিদাস সরকারের হাল্কা রঙের বিভিন্নতায় ছোট সেরামিক্সগুলি বেশ প্রাণবন্ত।

নিজেকে ভালবাসার দৃষ্টান্ত সামনে রেখে ট্যাপেস্ট্রিতে নিজের অসামান্য প্রতিকৃতি রচনা করেছেন রুমা ধর। সুতোর বহুবর্ণ টোনে ব্রাশিং-বিভ্রম তুলে, আলোছায়াকে সযত্ন ধরেছেন। ট্যাপেস্ট্রির সেরা কম্পোজিশন অবশ্য সাবনুরসুমায়া সাবার কাজটি। রচনাটি উল্লম্ব, কৌণিক, ত্রিভুজাকৃতি ইত্যাদি জ্যামিতিক রূপকল্পের কাজ। এতে শূন্যস্থানকে দু’টি কোণ থেকে ভাগ করে, অল্প কয়েকটি রঙে সাজিয়েছেন শিল্পী। স্বচ্ছ পাতলা প্লাস্টিকের নরম চাদরের গায়ে ছোট ছোট ঘরদোর, গাছপালা ও রাস্তাঘাটের ড্রয়িং করেছেন উপমা চক্রবর্তী। মহারাষ্ট্রে গিয়ে সীমান্ত ভগবতী কোথাও দেখেছিলেন— প্রায় বিলীন হয়ে যাওয়া প্রচুর বাড়িঘরের স্থাপত্য। দুঃখ পেলেও শিল্পবোধ নাড়া দেয় ওঁকে। এচিংয়ে সেই ভাবনাকেই সমান্তরাল ভাবে একটি রঙের ভিন্ন ছায়াতপে দেখান ভগবতী। দু’টি রং ব্যবহার করে বুদ্ধিদীপ্ত কম্পোজিশন অর্ণব পালের এচিংয়েও। অ্যাক্রিলিকের ক্যানভাসে একার্থ হালদার বহুরূপী সাজতে বসা একটি ছেলের ছবি দেখিয়েছেন। ঘরের এক দিকের ছড়ানো কম্পোজিশন, দূরত্ব ও শরীরে মেখে নেওয়া রং... সব মিলিয়ে দৃষ্টিনন্দন রিয়্যালিজম। ছোট ছোট বাহারি ক্যাকটাসের চিরন্তন রূপকে জলরঙে ধরেছেন শায়েদা আফরা। টব অথবা পাত্রের রকমফের এতে একঘেয়েমি আনেনি। ঘষা কাচের অনচ্ছতা কাজে লাগিয়ে, সবুজ-কালোর সমাবেশে রিলিফের সমতলীয় বাস্তবতার মধ্যে চতুষ্পদ প্রাণীর মুহূর্তকে বেশ ধরেছেন শ্রীমন্ত মণ্ডল। সিলুটি লাকরের কাঠের প্রতিকৃতি ভাস্কর্যটির আংশিক কালো হওয়া অবস্থা আদিমতাকে প্রতীকায়িত করেছে নীরবতায়।

রাফিয়া মাহজাবিনের ট্যাপেস্ট্রির কাজটি বেশ ভাল। স্টোনওয়্যার ক্লে মাধ্যমে প্রীতি নাগের করা মুখগহ্বরের মাঝের বিশাল ফাঁক ছন্দপতন ঘটায়। প্রদীপকুমার মুর্মুর জ্যামিতিক বিন্যাস এলোমেলো। পঙ্কজ বসাকের রেড স্যান্ডস্টোনে করা সৈন্য শরীরের টেক্সচারের গুণে উতরে যায়। চন্দন দাসের ধাতু-ভাস্কর্যে শ্রমিক শ্রেণির যাপনচিত্র মুগ্ধকর ফর্মেশন। দানিশ মুস্তাফার রক্তচক্ষু হিংস্র প্রাণীর পেন্টিংয়ে কম্পোজিশন ও টেকনিকের মুনশিয়ানা চোখে পড়ার মতো। রেল-কামরার যাত্রীদের সফররত মুহূর্তের ছবি সায়নী চক্রবর্তীর ধাতুপাত এচিংয়ে প্রাণবন্ত। গায়নী পাঁজার রঙিন প্লেনোগ্রাফিতে আধুনিকতার ছোঁয়া। ক্যানভাসে সুতো, উল ও অ্যাক্রিলিকে অন্য ধরনের রচনা প্রিয়াঙ্কা শীলের।

দেবারতি শেঠ মাধ্যমে যথার্থ পরিতলে ব্যবহার করেছেন। বাবলি পাল মিশ্র মাধ্যমে ঝুড়ির ভাঙাচোরা খুলে আসা অবস্থাকে কুচি কুচি জীর্ণ অক্ষরমালায় চমৎকার ব্যক্ত করেছেন। এ ছাড়াও অনুরাগ পাল, দেবাশিস সরকার, দীপ্তিমা মিশ্র, মহুয়া শিকদার, মহেশ মাজী প্রমুখের কাজ প্রশংসার দাবি রাখে।

অতনু বসু

নৃত্যের জাদু-ছন্দে মনোগ্রাহী উপস্থাপনা

অনুষ্ঠানের অংশ

দেশপ্রিয় কলকাতা কালচারাল সেন্টার আয়োজিত এক আলোচনাসভা ও নৃত্যানুষ্ঠান সম্প্রতি দর্শককে মুগ্ধ করেছে। প্রথমেই ড. পুরু দাধিচ ও ড. বিভা দাধিচকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, প্রাগ-এর ডিপার্টমেন্ট অফ এশিয়ান স্টাডিজ-এর বিভাগীয় প্রধান ড. ব্লাঙ্কা নটকোভা ক্যাপকোভা। এর পর ভারতীয় ধ্রুপদী কত্থকে কালিদাস ও নাট্যশাস্ত্রের অবদানের উপর ড. পুরু দাধিচের বিদগ্ধ ভাষণ ও কালিদাসের ‘শকুন্তলম’ থেকে নেওয়া ড. বিভা দাধিচের নৃত্যাভিনয় দর্শককে মোহিত করেছে। বিশেষত অভিনয়াংশে তাঁর মুখের নানা অভিব্যক্তি প্রশংসনীয়।

পরবর্তী অনুষ্ঠান ছিল সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ছাত্রীদের কত্থক নৃত্য-আঙ্গিকের একটি পরিবেশনা— ‘কুমারসম্ভব’। এর নৃত্য পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন সুস্মিতা স্বয়ং। হিমালয়কন্যা পার্বতীর দেবাদিদেব মহাদেবের প্রেমে পড়া ও সুকঠিন তপস্যার পর তাঁকেই লাভ করার এই উপাখ্যান কত্থক-নৃত্যজাদু প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে হয়ে উঠেছিল অনবদ্য। অপূর্ব ভাবের অভিব্যক্তিতে পার্বতীর যথার্থ রূপ ফুটিয়ে তোলেন সুস্মিতা। অন্যান্য নৃত্যশিল্পীদের মধ্যে মধুলীনা, সঙ্গীতা, দেবপ্রিয়া, তৃষা ও সম্পূর্ণা উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়াও নৃত্যে অংশ নিয়েছিলেন দিশা, শিঞ্জিনী, অনন্যা, রিয়া, সৌমী ও সুচরিতা।

এর পরের অনুষ্ঠান ছিল পিয়াল ভট্টাচার্য পরিকল্পিত ও পরিচালিত মার্গনাট্য। এতে ভরত মুনির নাট্যশাস্ত্র নিয়ে গবেষণার ফলস্বরূপ পরিচালক গুরু-শিষ্য পরম্পরাকে তুলে ধরেছেন তাঁর শিষ্য-শিষ্যাদের সঙ্গে মার্গনাট্য প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে।

এই মার্গনাট্য পরিবেশনা শুরু হয় ‘সামবেদ রুদ্রম’ গান দিয়ে। যা কিনা আসলে প্রাচীন কৌথুমি শাখার বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ। এর পর প্রদর্শিত হয় নাট্যশাস্ত্রের ‘চিত্র পূর্বরঙ্গ’ থেকে নেওয়া ‘আসারিতা বর্ধমানা বিধি’। যেটি একটি শিবস্তুতি। সঙ্গে ছিল সূত্রধরের বর্ণনা। এই মার্গনাট্যে ছিল নব রূপে পুনর্গঠিত প্রাচীন বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার। ২১ তারের ‘মত্তকোকিলা বীণা’ তার মধ্যে একটি। তবে মার্গ নাট্যে সবচেয়ে মনোগ্রাহী পরিবেশনা ছিল নটীদের নৃত্য। নটীরূপে ছিলেন পিঙ্কি মণ্ডল, রিঙ্কি মণ্ডল, শতাব্দী বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীতমা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মঞ্জিরা দে। তাঁদের নৃত্য দর্শকহৃদয় স্পর্শ করেছে। গায়ক ও সূত্রধর রূপে ছিলেন সায়ক মিত্র। গায়ক-গায়িকা দীপ ঘোষ, মঞ্জিরা দে। মত্তকোকিলা বীণা বাদনে শুভেন্দু ঘোষ এবং মৃদঙ্গ বাদনে ছিলেন জয় দালাল। সমগ্র অনুষ্ঠানটির অভিনব উপস্থাপনা সমস্ত দর্শককেই মুগ্ধ করে।

জয়শ্রী মুখোপাধ্যায়

সমকালীন পটভূমিতে বাদল সরকারের ছায়া

নাটকের দৃশ্য

অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে সম্প্রতি হয়ে গেল ইচ্ছেমতো দলের নাটক ‘প্রলাপের মতো’। মূল নাটক আরম্ভের আগে ছিল ১৫ মিনিটের একটি নাটিকা ‘ক’টা প্রশ্ন ছিল (একটি কিনলে একটি ফ্রি!!)’। এটি নিয়ে আলোচনা না করলেও চলত। তবু দু’টি কারণে লিখতে ইচ্ছে করল। এক, ঠিক এই মুহূর্তে ধর্মান্ধতার যে বিষ ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশ জুড়ে, তা তীব্র ভাবে ধরা পড়েছে ‘নামাবলি’, ‘বোরখা’, ‘ত্রিশূল’ এবং ‘ধর্ম’— এই চারটি শব্দের প্রয়োগের কৌশলে। তারই সঙ্গে আবহের ‘...জয়গান’ বিষম ভাবে সঙ্গত করল। দুই, নাট্যকার ও নির্দেশক সৌরভ পালোধীর একক অভিনয় মন কাড়ল।

‘প্রলাপের মতো’ নাটকটি বাদল সরকারের ‘প্রলাপ’ নাটক অবলম্বনে। প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব বাদল সরকারের নাটককে অবলম্বন করা সহজ কথা নয়। ১৯৬৬-তে লেখা এই নাটকটিকে সমকালীন পটভূমিতে দাঁড় করিয়েছেন সৌরভ।

নাটক শুরুর আগে যখন অপেক্ষারত, তখন ভাবছিলাম, এই অ্যাকাডেমির উপরতলায় বাদল সরকার সৃষ্ট অঙ্গন মঞ্চে তাঁর দল শতাব্দীর একাধিক অভিনয় দেখা এই আমি নতুন করে কী আর দেখব?

কিন্তু দেখলাম। দেখলাম— ফটিক, জ্যোতি, তরুণ, মানব আর ছায়ারা কেমন মহড়া দিল নাটকের। হ্যাঁ, এটি আসলে নাটক নয়, নাটকের মহড়া। এমন একটি নাটক, যার না আছে গল্প, না আছে কোনও শুরু, না আছে কোনও সমাপ্তি। তা হলে কী আছে? আছে অ্যাবসার্ডিটি। অর্থহীনতা। ‘‘কোনও যে মানে নেই— এটাই মানে। কোনও যে মানে নেই— সেটাই মানে...’’ এই অর্থহীনতার মধ্য থেকে দর্শক খুঁজে নেন আজকের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক প্রেক্ষিত থেকে উঠে আসা কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর-বিশ্লেষণ। বর্তমান সময়ের অস্থিরতা, অবক্ষয় প্রতি পদে মুক্তচিন্তার অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে— নাটকে রয়েছে সেই সত্যকথন। আলোর ব্যবহার সুপ্রযুক্ত। তূর্ণা দাস এ নাটকে অভিনয় করেননি। তিনি সৌমেন চক্রবর্তীকে আলোয় সহযোগিতা করেছেন। এটি একটি নতুন পাওয়া।

নাটকে কখনও-সখনও ‘টিনের তলোয়ার’-এর সংলাপ এসে পড়া— বেশ লাগল। উৎপল দত্তের প্রতি প্রচ্ছন্ন শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।

দলগত অভিনয়ের মান ভালর দিকেই বলা যেতে পারে। তবে ১৩ মে বাদল সরকারের মৃত্যুদিন— এটি কিন্তু সাধারণ দর্শকের না জানারই কথা। তাই ওই প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে, অথবা বললে বিশদে বলতে হবে, যাতে বুঝতে অসুবিধে না হয়।

ইচ্ছেমতো-র বয়স চার। আশা রাখি, সামনের দিনগুলোতে সৌরভ পালোধী আরও কিছু ধারালো নাটক উপহার দেবেন আমাদের।

চৈতালি দাশগুপ্ত

অনুষ্ঠান

• কলামন্দিরে উৎসাহ উদ্ভাস আয়োজন করেছিল ‘বিজন রোদনা— প্রেম: সমাপন ও উত্তরণের গান’। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান পরিবেশন করেন রাহুল মিত্র।

• সম্প্রতি মোহিত মৈত্র মঞ্চে নৃত্য ধ্যানম আয়োজন করেছিল একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের। প্রথমার্ধে পরিবেশন করা হয় ‘অনঙ্গদয়া’। কোরিয়োগ্রাফি করেন জয়িতা ঘোষ ও প্রীতম দাস। চিত্রনাট্য লিখেছেন শঙ্কর রাজারমন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে ছিল ‘সকল রসের ধারা’। সঙ্গীত পরিবেশন করেন শ্রাবণী সেন, ইন্দ্রাণী সেন, স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত। পাঠে ছিলেন শুভদীপ চক্রবর্তী ও নিবেদিতা গঙ্গোপাধ্যায়।

• সম্প্রতি রবীন্দ্র সদনে সংস্কার ভারতী আয়োজন করেছিল একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। উপস্থিত ছিলেন রাশিদ খান, সত্যব্রত চক্রবর্তী, ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশন করে বীরশিবপুর শাখা। সঙ্গীত পরিবেশন করে সংস্থার শিল্পীরা।
এ ছাড়াও স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার স্মরণে ‘তেজো নিধি: দৈবাদেশের বিচ্ছুরণ’ নামে একটি গীতি ও নৃত্য আলেখ্য পরিবেশন করা হয়।

• এশিয়াটিক সোসাইটিতে অনুষ্ঠিত হল ‘বাংলার নৃত্যশৈলীতে উত্তর পূর্বাঞ্চলের নৃত্যকল্পের প্রভাব’। এই আলোচনাচক্রটির আয়োজন করেছিল মিরান্দা। এ দিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছিলেন লীলা ভেঙ্কটরমন, উপেন্দ্র শর্মা, সিংঘাজিৎ সিংহ, পাপিয়া রায়, শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম উপাধ্যায়, সুকল্যাণ ভট্টাচার্য, কলাবতী দেবী প্রমুখ।

Review Painting Theatre Drama
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy