Advertisement
২৪ মার্চ ২০২৩

বই পড়ে হোমিওপ্যাথি শিখেছিলেন

মেয়ে প্রেমে পড়তে গান বেঁধে উপহার দেন। এমনই মানুষ সঙ্গীতসাধক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়। বলছেন কন্যা মানসী মুখোপাধ্যায়মেয়ে প্রেমে পড়তে গান বেঁধে উপহার দেন। এমনই মানুষ সঙ্গীতসাধক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়। বলছেন কন্যা মানসী মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৭ ১২:৩০
Share: Save:

বিয়ে করতে গিয়ে হবু শাশুড়ি-মাকে পাঁজাকোলা করে নিয়েছিল যে মানুষটা, সে আমার বাবা! আপনাদের মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

আসব সে গল্পে। তার আগে একটু একটু বলে নিই। বাবার জন্ম কালীঘাটে হলেও বড় হওয়া টালিগঞ্জের ভবানী সিনেমার পাশের গলিতে, বাঙাল পাড়ায়। যৌথ পরিবার। বড় সংসার।

আমার দাদু, অতুলচন্দ্র মুখোপাধ্যায় আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ার। দাদুরা দশ ভাই। গানবাজনা আমাদের পরিবারে বহু কালের সঙ্গী। বাঙাল পাড়ায় আজও ‘গানের বাড়ি’ বললে, লোকে আমাদের পুরনো বাড়ি চিনিয়ে দেয়।

দাদু এস্রাজ বাজাতেন। দাদুর অন্য ভাইদের মধ্যে রত্নেশ্বর মুখোপাধ্যায় ছিলেন বিখ্যাত কীর্তনীয়া। সিদ্ধেশ্বর, মনোজেশ্বর মার্গ সঙ্গীতের সাধক। সত্যেশ্বর সব ধরনের গান করতেন। বাবার গান শেখা এই কাকাদের কাছেই।

Advertisement

ও পাড়া থেকে দাদুরা চলে যায় বিজয়গড়ে। সে সময় বিজয়গড় হদ্দ গ্রাম। ওখানে তখন কলোনি-ল্যান্ড দেওয়া হচ্ছিল। তারই খানিক জমি নেয় দাদু। আমাদের দেশের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। বিশের দশকে দাদু সপরিবার এ পারে চলে আসেন।

দাদুর বাবা ছিলেন গজেন্দ্রনাথ। তিনিও অসম্ভব সঙ্গীত-রসিক। রজনীকা‌ন্ত সেনের সঙ্গে এক মেসে থাকতেন। ভক্তিগীতি, হরিনামের গান করতেন। রজনীকান্ত গান লিখলে গজেন্দ্রনাথকে দেখাতেন। দেশের বাড়ির চণ্ডীমণ্ডপে গান লেগেই থাকত। রাধাকৃষ্ণের লীলা কীর্তন, রয়ানী গান, মনসামঙ্গলের আসর। নদীঘাটে, নৌকায় মাঝিমাল্লার গান তো ছিলই। সারিন্দা বাজিয়ে ওরা সারি জারি ভাটিয়ালি ধরত। মাঝিরা গাইত হরিনাম সংকীর্তন।

দেশের বাড়ি উজিরপুর, তার হাওয়াবাতাসের উড়ান বাবাকে গানের পাকদণ্ডিতে নিয়ে ফেলে। বাবার কাকা রত্নেশ্বর ছিলেন আবার কাজী নজরুল ইসলামের বন্ধু। কিশোরবেলায় বাবার গলায় কীর্তন শুনে মুগ্ধ হয়ে নজরুল দুটো গান শিখিয়েছিলেন বাবাকে।

বাঙাল পাড়ায় আমাদের বাড়িটা ছিল গলির একেবারে শেষে। আর একেবারে মুখের বাড়িটা মায়ের বাপের বাড়ি। তখন থেকেই বাবা আর মায়ের আলাপ। প্রেম। বিয়ে।

মায়ের বাবা কম্যান্ডিং অফিসার। সচ্ছল পরিবার। তুলনায় আমরা অনেকটাই অসচ্ছল। কিন্তু তাতে দাদু-দিদার কোনও আপত্তি তো ছি‌লই না, উলটে বিয়ের আগে থেকেই ভাবী শ্বশুরবাড়িতে বাবার অবাধ যাতায়াত। ওরা বাবাকে খুব ভালবাসত। তো, বিয়ে ঠিক হলে পর, দিদিমা সব জিনিসপত্র কিনতে লাগল। একটা জিনিস শুধু কিনেছিল বাবাকে না বলে। সে কথা বাবা জেনেছি‌ল, একবারে বিয়ে করতে গিয়ে। দিদা বলল, ‘‘পল্টন, (বাবার ডাকনাম) তোমার জন্য একটা জিনিস আমি নিজে গিয়ে করিয়ে এনেছি, তোমায় বলিনি।’’

বাবা তো শুনে অবাক, কী এমন জিনিস, যেটা কিনে আনার আগে বলা যায় না! দিদা বলল, ‘‘একটা হারমোনিয়াম।’’ ব্যস, শোনা মাত্র বাবা প্রচণ্ড রেগে গিয়ে চেঁচিয়েমেচিয়ে একশা!

‘‘মামণি, খুব ভুল কাজ করেছ। হারমোনিয়ামটা বাজিয়ে দেখে কিনতে হয়,’’ বলে বাবা খুব রাগ দেখাতে লাগল। শেষে শুধু বলল, ‘‘তা, কোত্থেকে কিনেছ, শুনি!’’

দিদিমা একটা বিখ্যাত দোকানের নাম করল। বাবার রাগ তাতে যেন অল্প পড়ল। বসল হারমোনিয়াম নিয়ে। আর বেলো ধরে রিড-এ হাত দেওয়া মাত্র চমকে উঠল! এ তো অসাধারণ! অসম্ভব সুরেলা। রিডে হাত চালিয়ে এত খুশি হল যে, সোজা উঠে দাঁড়িয়ে দিদাকে কোলে তুলে আনন্দে ধেই ধেই করে ঘুরতে লাগল।

সে দিন থেকে হেন কোনও অনুষ্ঠান বা রেকর্ডিং নেই যে, বাবা ওই হারমোনিয়ামটা সঙ্গে নেয়নি। আজও আমার কাছে ওটা রাখা। ওটা যেন ঠিক আর যন্ত্র নয়, আমাদের পরিবারের নানা স্মৃতি বুকে বয়ে জীবন্ত কোনও সত্তা। আজও তার রিডে হাত চালালে আমি বাবার ছোঁয়া পাই। এত বাজাত, এত বাজাত ওটা, আঙুলের চাপে জায়গায় জায়গায় একটু-আধটু বসে গেছে। ঠিক ওইখানগুলোয় যেন জেগে আছে বাবার প্রাণ!

বাবা-মায়ের বিয়ের চোদ্দো বছর পর আমার জন্ম। ওরা তখন আমাদের এখনকার বাড়িতে চলে এসেছে। পরিবার বাড়ছিল, পুরনো বাড়িতে আর কুলোচ্ছিল না। যাদবপুরের নর্থ রোডে বাবা জমি কেনে। আমার আর্কিটেকচার দাদু নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বাড়ি করায়।

বাবা-মায়ের আমি একমাত্র সন্তান। মায়ের সঙ্গে যত না, বাবাকে ছাড়া যেন আমার চলতই না।

বাবা গান গায়, আমি বাবার পিঠে পিঠ দিয়ে পড়ি। বাবা আমার পড়ার বইয়ের কবিতায় সুর করে দেয়, আমি তা-ই গেয়ে বেড়াই। বাবা কার্নেগি হলে হ্যারি বেলা ফন্টের কনসার্ট, গোলাম আলির গজলের ক্যাসেট কিনে দেয়, আমি শুনি। রাতবিরেতেও কোনও গানে সুর করলে বাবা আমায় পায়ে সুড়সুড়ি দিয়ে ডেকে দেয়, আমি উঠে বসি। বাবা মানেই একরাশ মজা। দুষ্টুমি। আবদার। গান। খেলা। আড্ডা। সব।

খুব পড়তে ভালবাসত বাবা। ছোটদের বই, বড়দের বই বলে কোনও বাছবিচার ছিল না। বাবার দেখাদেখি এ স্বভাব আমাকেও পেয়ে বসে। তবে বাবা জেমস হেডলি চেজ, আগাথা ক্রিস্টি পেলে যেন জগৎ ভুলে যেত। খুব ভালবাসত রিডার্স ডাইজেস্ট ম্যাগাজিনটা। মায়ের রান্নার হাত খুব ভাল। মাঝেমধ্যেই বাড়িতে ভালমন্দ হত। একটু বেশি খাওয়া হয়ে গেলে বাবা মজা করে বলত, ‘‘বেলু (মায়ের ডাকনাম, ভাল নাম বেলা) এ বার একটু ডাইজেশনের দরকার, যাই পড়ে আসি,’’ বলেই রিডার্স ডাইজেস্ট খুলে বসত!

একটা হিন্দুস্থান ফোর্টিন গাড়ি ছিল বাবার। ওটা করে আমাকে মাঝে মাঝে স্কুল থেকে আনতেও যেত বাবা। সেখানেও মজা। মেয়েকে স্কু‌লে আনতে গিয়ে কোনও বাবা লুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, শুনেছেন কোনও দিন? আমার বাবা তা-ই করত। যখন স্কুল থেকে বেরিয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে আমার প্রায় কাঁদকাঁদ দশা, তখন পিছন থেকে এসে ‘ধাপ্‌-পা-আ’ বলে পিঠে আলতো চাপড় দিয়ে দেখা দিত।

ইস্টবেঙ্গল বলতে বাবা অজ্ঞান। এ দিকে আমার মামাবাড়ি পুববাংলার লোক হলেও সবাই মোহ‌নবাগান। ফলে খেলার দিন, ইস্টবেঙ্গল জিতলেই বাবা ইলিশ কিনে সোজা চলে যেত মামাবাড়ি।

আর মোহনবাগান জিতল তো, পালটা হানা মামাদের। এমনও হয়েছে, বাড়ির টিভিতে খেলা চলছে। পাড়াসুদ্ধু লোক আমাদের ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট ওয়েস্টন টিভির সামনে হামলে পড়েছে। আমরা বাপ-বেটি রবীন্দ্র সরোবরের বেঞ্চে গলদঘর্ম হয়ে রেডিয়ো শুনছি। ইস্টবেঙ্গল হারলে মামাদের আক্রমণ শেষ হল কি না জেনে, তবে আমাদের বাড়ি ফেরা।

উৎপলা সেন, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের পাশে বাবা

ময়দানেও খেলা দেখতে যেত বাবা। সেখানেও আবার এক কীর্তি! শচীন দেববর্মন প্রায়ই আসতেন দেখতে। বাবাদের ধারণা হয়েছিল, এসডি অপয়া। গ্যালারিতে বসলেই লাল-হলুদ হারে। শচীনর্কতাকে নাকি তাই ওরা পিছন দিকে গ্যালারির নীচে দাঁড় করিয়ে রাখত। ভাবুন একবার! কর্তা নাকি হাসিমুখে তা মেনেও নিতেন। দল জিতলেই হল। শুধু গ্যালারিতে তেমন চিৎকার শুনলে জোর গলায় জানতে চাইতেন, ‘‘আরে কাগো চিৎকার ক’! আমাগো?’’

খেলা শুরুর আগে সবুজ লজেন্স খাওয়ার খুব চল ছিল। মোহনবাগান জার্সির রং যে সবুজ-মেরুন, তাই। বাবারা এক-এক জন একটা একটা করে লজেন্স খেত, আর বলত, ‘‘এই মোহনবাগানরে খাইলাম!’’

বাবার সঙ্গে থাকতে থাকতে আমার খেলার প্রতি একটা ন্যাক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। বাবা নিজে ক্রিকেটটা ভালই খেলত। ফুটবল-ক্রিকেট দুটো খেলা নিয়েই বাপ-মেয়েতে বেশ আড্ডা হত।

তার একটা গল্প না বললে নয়। তখন বয়ঃসন্ধি পেরোচ্ছি। সুন্দর পুরুষ দেখলে চোখ চলে যায়। খুব পছন্দ ছিল কার্সন ঘাউড়িকে। বাবাকে বলতাম, ‘‘বিয়ে যদি করতেই হয়, কার্সনকে করব। আর ফুটবলার হলে ভাস্কর গাঙ্গুলি।’’ বাবা শুনে মিটিমিটি হাসত আর বলত, ‘‘তাই? আচ্ছা!’’

ও মা! একবার কী হল, দমদমে ভাস্করদাদেরই পাড়ার কাছে একটা অনুষ্ঠান। ভাস্করদাও দেখলাম গিয়েছে। বাবা সটান ওকে ডেকে বসল, তার পর বলল, ‘‘এই শোন, আমার মেয়ে বলেছে, তোকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে না!’’ আমার তো তখন ‘ধরিত্রী দ্বিধা হও’ দশা!

আর সত্যিকারের যখন প্রেমে পড়লাম, রাহুলের কথা বাবাকে বললাম। বাবার তো কোনও কিছুতে ‘না’ নেই। খুশিই হল। হঠাৎ একদিন দেখি, ডাকছে। বলল, ‘‘তোর জন্য একটা গান বেঁধেছি। শোন।’’ বলে শোনাল, ‘‘ক্ষমা চাইছি বলতে কোনও দ্বিধা নেই/হেন কথা দিয়েছি কিনা জানা নেই/যে চিরদিন মোরা থাকব বসন্তে/বরষার জলে কভু ভাসব না যে!’’

আমি জানি না, পৃথিবীর আর কোনও বাবা, তার মেয়ে প্রেমে পড়েছে বলে গান বেঁধেছেন! মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় তা-ই করেছিলেন!

অদ্ভুত অদ্ভুত সব কাণ্ড করত বাবা! হঠাৎ একবার ঠিক করল, হোমিওপ্যাথি শিখবে। ব্যস, মেটেরিয়া মেডিকা কিনে চলল দি‌নের পর দিন পড়াশোনা।

বাবার যে কী জনপ্রিয়তা, সেটা ছোটবেলায় তেমন টের পাইনি। পরে গল্প শুনে, নয় নিজের চোখে দেখে বুঝেছি।

দুটো গল্প বলি।

মেহেদি হাসান। রবীন্দ্রসদ‌‌‌‌নে গাইতে এলেন। মেহেদির পাগল-ভক্ত বাবা। শুনতে গেল। এ দিকে মঞ্চে গাইতে বসে মেহেদি বলে উঠলেন, ‘‘মানবেন্দ্রজি, আপনি একটু উঠে দাঁড়াবেন? একবার অন্তত আপনাকে দেখতে চাই।’’

লতা মঙ্গেশকর। হোপ এইট্টি সিক্স-এর সময় কলকাতায়। বাবা দেখা করতে গেলেন গ্রিনরুমে। লতাজি বললেন, ‘‘আপ উও গানা গায়ে থে! হাম তো কুছ ভি নেহি গা পায়ে!’’ কী ব্যাপার? তার ঠিক আগেই সলিল চৌধুরীর সুরে অসম্ভব শক্ত তাল-লয়ের একটি গান ‘আমি পারিনি বুঝিতে পারিনি’ রেকর্ড করেছে বাবা। এর যখন হিন্দি ভার্সান হবে, সুর শুনে লতাজি বলেছিলেন, ‘‘সলিলদা, এ অসম্ভব। কেউ গাইতে পারবে না।’’ সলিল চৌধুরী তখন শুধু বলেছিলেন, ‘‘এ গান অলরেডি বাংলায় রেকর্ডেড।’’

আমাদের বাড়িটা যে কী ছিল! কখনও হারমোনিয়াম বন্ধ হত না। রাতদিন খোলা। বাবা গাইত। আমিও গাইতাম। আর যখন-তখন এসে পড়ত আমার কাকারা, পিসিরা। তাদের এক-এক জনের নাম সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, মান্না দে, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, উৎপলা সেন, নির্মলা মিশ্র, আরতি মুখোপাধ্যায়— কে নয়! পণ্ডিত রবিশঙ্করও এসেছেন, বাবাকে ওঁর নিজস্ব মিউজিক্যাল অপেরা ‘ঘনশ্যাম’-এর জন্য নেমন্তন্ন করতে।

আমার প্রথম গানের রেকর্ডিং বাবা দেখে যেতে পারেনি। কিন্তু সেখানেও কী কাকতালীয় ভাবে জুড়ে আছে বাবা!

পুরনো কলকাতার গান নিয়ে একটা সংকলন বেরোবে। বাবাই গাইবে। ট্র্যাক রেকর্ডিং যে দিন, বাবার শরীরটা ভাল না। দমদমে যাচ্ছি বাবার সঙ্গে। স্টুডিয়োয়। গাড়িতে যেতে-যেতে বলল, ‘‘আজ তো ট্র্যাক রেকর্ড, শরীরটা তেমন জুতের নেই। দরকার হলে তুই গেয়ে দিতে পারবি? ডাবিং-এর সময় না হয় গেয়ে দেব আমি,’’ বলে খাতা খুলে দশটা গানের মধ্য থেকে দুটো গানের পরীক্ষা নিল গাড়িতে যেতে যেতে। তার পর বলল, ‘‘একদম ঠিক আছে।’’

ডাবিং আর করা হল না। হঠাৎ ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে বাবা চলে গেল আমাদের ছেড়ে। কাউকে এতটুকু সময় না দিয়ে।

তার পরের ঘটনা। স্টুডিয়ো থেকে আমায় ডেকে পাঠানো হল। ওঁরা ঠিক করেছেন, সে দিনের ওই ট্র্যাক-রেকর্ড থেকেই কাজটা শেষ করবেন। কিন্তু আমাকে একটু দেখে দিতে হবে। আমি ম‌ন দিয়ে শুনতে বসলাম। দেখলাম, সব ক’টাই ঠিক আছে। দুটো গান ছাড়া। ওঁরা বললেন, ‘‘তা হলে ও দুটো তুমিই গেয়ে দাও। আর তো উপায় নেই।’’

গাইলাম আমি। সংকল‌নও বেরোল। আর শিহরিত হয়ে আবিষ্কার করলাম, যে দুটো গান সে দিন গাড়িতে বাবা আমায় গাইতে বলেছিল, এ দুটিই সেই গান!

অনুলিখন: দেবশঙ্কর মুখোপাধ্যায়

ছবি: সমর দাস

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.