Advertisement
০২ জুন ২০২৪
মুখোমুখি...

আমার ডিভোর্স নিয়ে গল্প বানিয়েছেন অনেকে

উত্তেজিত কৌশিকী চক্রবর্তী দেশিকান। ভালবাসেন রান্না করতে। স্বপ্নের প্রজেক্ট নিয়ে মুখ খুললেন প্রথমবার। সামনে স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়।উত্তেজিত কৌশিকী চক্রবর্তী দেশিকান। ভালবাসেন রান্না করতে। স্বপ্নের প্রজেক্ট নিয়ে মুখ খুললেন প্রথমবার। সামনে স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়।

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০০:০২
Share: Save:

২৫৫ যোধপুর পার্ক রোড। এস.এম.এস করে সাক্ষাৎকার নিতে এই ঠিকানাতেই আসতে বলা হয়েছিল। গেট পেরোতে ফ্ল্যাটরক্ষী আটকালেন, “কোথায় যাবেন?” কৌশিকী চক্রবর্তীর নাম বলতে বললেন, “দিদি তো নেই, তবে দাদা আছেন।” দাদা! এ বারে একটু হোঁচট খেতেই হল। কিছু দিন ধরে শোনা যাচ্ছিল স্বামী পার্থ দেশিকানের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের কথা। আবার তার উল্টো কথা শোনা যায়নি, তাও নয়। সব মিলিয়ে ব্যাপারটা খুব ধোঁয়াশা। তবে অবশ্য অগস্টে ট্যুইট করেছিলেন কৌশিকী, তিনি আর তাঁর স্বামী পার্থ দেশিকান শিলং-এ ছুটি কাটাচ্ছেন। কোনটা ঠিক? ভাবতে ভাবতেই বকুলতলা অ্যাপার্টমেন্টের ফার্স্ট ফ্লোর। ফ্ল্যাটে ঢোকার পাঁচ-দশ সেকেন্ডের মধ্যেই ঘন সবুজ রঙের বাহারি কুর্তায় হাজির কৌশিকী। কথা বলার মাঝেই দেখা দিয়ে গেল এ বাড়ির খুদেতম সদস্য, কৌশিকীর ছেলে বাবু। আর স্বামী পার্থ দেশিকান। শুরু হয়ে গেল আড্ডা।

পত্রিকা: শোনা গিয়েছিল আপনার স্বামীর সঙ্গে আপনার সেপারেশন হয়ে গেছে?

কৌশিকী: (একটুও না চমকে) আপনার সঙ্গে পার্থর আলাপ করিয়ে দিলাম। ছেলেকেও দেখলেন। এখনও কী সেপারেশনের কথাই মনে হচ্ছে আপনার?

পত্রিকা: যা রটে তা কিছু তো বটে?

কৌশিকী: দেখুন একটা বিষয় আমার কাছে পরিষ্কার, গানে এমন কোনও একটা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি, যে লোকে আমার ব্যক্তিগত জীবন, বিয়ে, স্বামী এ সব নিয়ে কথা বলছে, নিজেদের মতো করে গল্প বানাচ্ছে।

পত্রিকা: এ কথাগুলো কিন্তু বেশ দেমাকি শোনায়। লোকে বলে এই দেমাকের কারণেই আপনি মিডিয়াকে এড়িয়ে চলেন...

কৌশিকী: আমি অকারণে ইন্টারভিউ দিতে চাই না। মিডিয়ার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এটা আমি মানিও না। আমি পুজো কেমন করে কাটাব, কোন শাড়ি, কী গয়না পরব এই বোকা বোকা প্রশ্ন এড়িয়ে যাই।

পত্রিকা: আপনি তো আবার পার্টিতেও যান না... শুনেছি পিআর-এও বিশ্বাসী নন?

কৌশিকী: পার্টিতে তো যাই-ই না। পি.আর-ও করি না। তাতেও শ্রোতাদের অফুরান ভালবাসা পেয়েছি। পাচ্ছি। শুনুন, টানা পনেরো বছর ঘরের দরজা বন্ধ করে গান গেয়েছি। আমি যা সেটাকে ভেঙে কোনও খ্যাতি আসুক, এ আমি কখনই চাই না। কিশোরী আমনকার একবার বলেছিলেন, নেভার সিং ট্যু ইমপ্রেস, সিং ট্যু এক্সপ্রেস’ এই কথাটা আমার কাছে বাইবেলের মতো।

পত্রিকা: পিআর করাটা কি ভুল?

কৌশিকী: এটা রুচির ব্যাপার।

পত্রিকা: এত কথা যে বলছেন, বলুন তো, পি আর না করেও এই যে জনপ্রিয়তা, এটা অজয় চক্রবর্তীর মতো বাবা, গুরু না থাকলে কি সম্ভব হত?

কৌশিকী: নাহ্! কখনই হত না। আমার বাবা, মা আমার গুরু।

পত্রিকা: বাবা আর মেয়ের এই সম্পর্কে গুরু না বাবা কে বেশি প্রাধান্য পেয়েছেন?

কৌশিকী: অবশ্যই গুরু। গুরু মানে ঈশ্বর। গুরুর পরে আর কোনও কথা চলে না। আমি খুবই ভাগ্যবান যে এমন একজন মানুষকে গুরু হিসেবে পেয়েছি বলে বাড়িতে ভুল গেয়ে সময় নষ্ট করার কোনও অবকাশই আমার ছিল না। তার সঙ্গে এটাও সত্যি, আমার পরিবারের মিউজিক্যাল ইডিওলজি আমার মাথা ঘুরিয়ে দেয়নি। আজও মাটিতে পা রেখেই চলি আমি।

পত্রিকা: মাথা ঘোরায়নি মানে?

কৌশিকী: দেখুন দুটো বড় কনসার্টে গান গাইলে, আমাদের প্রফেশনে দেখেছি লোকের মাথা ঘুরে যায়। আর ওতেই গানের চোদ্দোটা বাজে। লোকে শপিং মলে আমায় দেখলে ছবি তুলতে চায়, আমার অটোগ্রাফ চায়। তার মানে কি আমি বিশাল কেউ? কেউ হয়তো পড়াতে জানেন, তিনি কলেজে অধ্যাপনাটা করেন। আমি গানটা জানি। তাই গাইতে পারি। এর চেয়ে বেশি আর কী? আমার পরিবারের শিক্ষা আমায় এটাই শিখিয়েছে। আর আমার স্বামী ঠিক মানুষটা থাকতে সাহায্য করছে।

পত্রিকা: নিজের সাফল্যের জন্য স্বামীকেও নম্বর দেবেন?

কৌশিকী: অবশ্যই। পার্থ আমার কড়া সমালোচক। বিশেষ করে রেকর্ডিং-এর সময় গানটা কতটা পার্ফেক্ট করা যায় সে দিকে ও বিশেষ নজর দেয়। আমাদের ফ্যামিলি বন্ডিংটাও খুব শক্তপোক্ত। কেমন বলছি, যেমন ধরুন, আমার পাঁচ বছরের ছেলেকে কখনও আলাদা রেখে কোথাও যাইনি। পার্থ বাইরে গেলে আমি থাকি, আমি বাইরে গেলে পার্থ ছেলের কাছে থাকে।

পত্রিকা: পার্থর মহিলা ফ্যানদের কেমন করে সামলান?

কৌশিকী: (প্রচণ্ড হেসে) আরে তখন তো আমি মহিষাসুরমর্দিনী....। নাহ আসলে তা নয়। একসময় পার্থ বলত, শুধু বাচ্চাদেরই গান শেখাব? আমি বলেছিলাম,নাহ নাহ সুন্দরী মেয়েদেরও শেখাও (আবার হাসি)। আসলে আমরা খুব ভাল বন্ধু। আমার তখন দুই বা তিন বছর, আর ওর আট। তখন থেকে দেখছি দুজন দু’জনকে, ঠিক কবে প্রেম হয়েছে মনেও পড়ে না। একসঙ্গে বড় হয়েছি বলে দু’জনে দু’জনকে চিনি।

পত্রিকা: ইদানীং শোনা যাচ্ছে নিজের ড্রিম প্রজেক্ট নিয়ে মেতে আছেন। অথচ কাউকে কিছুই জানাচ্ছেন না। ব্যাপারটা কী?

কৌশিকী: করছি। জীবনে প্রথম বার নিজের কাজ নিয়ে যেচে কিছু বলতে চাই। তবে শুনুন, আগে কোথাও বলিনি। এটা এমনই একটা প্রজেক্ট যা ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ইতিহাসে কখনও হয়নি। একটা ক্লাসিকাল-সেমি ক্লাসিকাল ব্যান্ড তৈরি করেছি, যার নাম ‘সখী’। এখানে বলতে পারেন, আমরা ‘ওম্যানহুড’ সেলিব্রেট করব...

পত্রিকা: ওম্যানহুড সেলিব্রেশন মানে!

কৌশিকী: প্রত্যেক দেশের একটা ‘অল গার্ল মিউজিক ব্যান্ড’ আছে। আমাদের এখানে নেই। দেখুন, পশ্চিম থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। জিন্স পরতে শিখেছি, আধা ইংরেজি বলতে শিখেছি, কিন্তু মিউজিকালি ‘ওম্যানহুড’ সেলিব্রেট করা হয়নি কখনও। ‘সখী’ সেটার চেষ্টা করবে। আমরা মীরাকে যেমন করে সেলিব্রেট করেছি, সেরকম ভাবে কার্টিজ্যানদের (বলা যেতে পারে রাজনর্তকী, যাঁরা সেই অর্থে সমাজে অপাংক্তেয়) গান, নৃত্যকে কি সেলিব্রেট করেছি? করিনি। অথচ ঠুংরি, দাদরা এগুলো তো তাদের হাত ধরেই এসেছে।

পত্রিকা: কিন্তু আমরা তো পুরুষদের গলায় ঠুংরি, দাদরা শুনেই অভ্যস্ত।

কৌশিকী: একদম তাই। কিন্তু কার্টিজ্যানদের কথা ভুললে চলবে না। তাঁরাই তো এই গানের স্রষ্টা। সমাজ তাঁদের শিল্পীর সম্মান দেয়নি। কখনও ভেবে দেখেছেন, খেয়ালে রচয়িতার নাম থাকে, কিন্তু ঠুংরি বা দাদরায় কেন সেটা থাকে না? আসলে কার্টিজ্যানরা জানতেন তাঁদের নামের কোনও গুরুত্বই নেই! এই রিজেকশন একজন মহিলা সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আমি মেনে নিতে পারিনি। এবং এই কারণেই ‘সখী’র কথা ভেবেছি। একই প্ল্যাটফর্মে ‘রাধা’, ‘মীরা’, ‘দুর্গা’, ‘কার্টিজ্যান’-কে সম্মানের সঙ্গে অডিয়ো ভিশু্যয়ালি পারফর্ম করা হবে। এই গানটা ধরুন, ‘শ্যাম ভায় ঘনশ্যাম নেহি আয়ে আকেলি ডর লাগে’ ... আমি একটা মেয়ে হয়ে ‘একেলি ডর লাগে’ যেভাবে বলব, সেটা একজন পুরুষের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। প্রচুর মেয়ে আজও গান শিখে হারিয়ে যায়, মঞ্চে পৌঁছতে পারে না। ‘সখী’ তাদের শিল্পকে প্যাশন দিয়ে ধরে রাখতে উৎসাহ দেবে। একটা প্ল্যাটফর্মটা তৈরি করবে।

পত্রিকা: আপনার ব্যান্ডে কতজন মিউজিশিয়ান? এখানেও কি ফিউশন?

কৌশিকী: তবলার সঙ্গে তারানা, সওয়াল-জবাব, নাচের সঙ্গে কতকী (নাচ-গানের মাঝে কিছু কথা) মেশানো হবে, তবে সবটাই ভারতীয় প্রেক্ষিতে। ব্যান্ডে ছ’জন মিউজিশিয়ান। আমি গান গাইছি। দেবপ্রিয়া, হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার ছাত্রী বাঁশি বাজাচ্ছে। ও আমার কৃষ্ণ। ভায়োলিন বাজাচ্ছে এন. রাজনের নাতনি নন্দিনীশংকর। তবলায় থাকছে সাওনী তলওয়ারকার। সুরেশ তলওয়ারকারের মেয়ে। পাখোওয়াজ বাজাচ্ছে মহিমা উপাধ্যায়। এ ছাড়াও একজন নৃত্যশিল্পী আছেন আমার ব্যান্ডে। ওর নাম ভক্তি। বীরজু মহারাজের ছাত্রী। ‘দেঢ় ইশকিয়া’-তে মাধুরীর ছোটবেলার ভূমিকায় ভক্তি অভিনয় করেছিল।

পত্রিকা: ‘সখী’র প্রথম অনুষ্ঠান?

কৌশিকী: ফেব্রুয়ারিতে। কলামন্দিরে।

পত্রিকা: শান্তনু মৈত্রর সুরে কোক স্টুডিয়োতে আপনার ‘লাগি লাগি’ গানটা তো অসম্ভব জনপ্রিয়। এ ধরনের কাজ আর করবেন না?

কৌশিকী: অমন গান পেলে ছাড়ার প্রশ্নই নেই। তবে আপাতত ‘সখী’ ছাড়া কিছুই ভাবছি না।

পত্রিকা: বাংলা ছবিতেও ইদানীং বেশ কিছু গান গেয়েছেন আপনি। এরকম কি মনে হয়েছে একজন প্রতিষ্ঠিত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পীর বাংলা ছবিতে খুব বেশি গান গাওয়া উচিত নয়?

কৌশিকী: নাহ্। গানের ক্ষেত্রে ভাল কম্পোজিশনই আসল। প্ল্যাটফর্ম নয়। আমি খুব বেছে কাজ করি। ভাল লাগলে গাই। কোথায় বাজবে, কত লোক শুনবে, এগুলোতে কিছু যায় আসে না আমার। তবে মুম্বইয়ের শিল্পীরাও বাংলা ছবিতে গাইছেন। ওঁদের অভিজ্ঞতাটাও এখানে শেয়ার করা যাচ্ছে। দেখে ভাল লাগছে। অরিজিৎ সিং যেমন প্রচুর গাইছে, খুব গর্ব হয় ওর জন্য। মোহন, সুনিধি, আকৃতিও গাইছে। এটা খুব ভাল লাগছে।

পত্রিকা: এরা সবাই কিন্তু ফিল্ম গান গাওয়ার জন্যই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তা হলে বেসিক গান বলে কি কিছু থাকবে না?

কৌশিকী: তা যদি হয়, একদম মন থেকে মেনে নিতে পারব না। সেই কারণেই ‘সখী’র কথা ভেবেছি। ভাবুন তো ‘রঙ্গিলা বাঁশিতে কে ডাকে’ গানটা গাওয়ার সময় আজও আমরা ‘ঘুম ঘুম নিঃঝুম’ বলে বাঁশির যে টিউনটা আছে, সেটা গেয়ে দিই, গানটা এতটাই শক্তিশালী! সেই সব গান কোথায় গেল? এখন কোনও ফিল্মের গান শুনে তো শাহরুখ বা হৃতিক রোশনের নাচটা আগে মনে আসে!

পত্রিকা: ইদানীং একটা কথা খুব বলা হচ্ছে আপনি নাকি ‘শ্রেয়া ঘোষাল’ হতে চেয়ে অন্য ধারার গান গাইছেন।

কৌশিকী: খুব ফানি! খুবই। জানেন, এটা বলতে আমার বাধে না, যে শ্রেয়া আমাকে শিখিয়েছিল রেকর্ডিং-এ মাইকটা কেমন করে নিতে হয়, পেছন থেকে ঠেলা দিত ও আমায়, রেকর্ডিং-এর সময়। ও আমাকে খুব পছন্দ করে, আমিও ঠিক তাই। খুব আড্ডা দিই আমরা। একবার তো এমন আড্ডা মেরেছিলাম যে ওর গলা বসে গিয়েছিল। আমরা খুব ভাল বন্ধু, এই বন্ধুতার কারণ আমাদের গান। গান কখনও শত্রু হতে শেখায়?

পত্রিকা: নিউ-এজ বাংলা ছবি দেখেন?

কৌশিকী: দেখি তো। এই তো ‘চতুষ্কোণ’ দেখলাম। পরমকে দারুণ লেগেছে। সৃজিতকে ট্যুইট করে জানিয়েও ছিলাম। কৌশিকদার (গঙ্গোপাধ্যায়) অভিনয়ও চমকে দিয়েছে। এখন ‘খাদ’ দেখার অপেক্ষায় আছি।

পত্রিকা: আর নিজের কাছে কোনও অপেক্ষা নেই?

কৌশিকী: রাতের অপেক্ষা করি। গভীর রাতে যখন তানপুরা হাতে সুর নিয়ে হৃদয়ে ডুব দিই, ওই সময়টা সবচেয়ে আনন্দের। সুরে ভাসতে ভাসতে নিজেকে ছোঁওয়া যায়, একা না হলে তো সুর কাছে আসে না...

পত্রিকা: আপনি কি খুব একটা উচ্চাকাঙ্ক্ষী নন?

কৌশিকী: নাহ্! অনেক কাজ করে যেতে হবে এমন ভাবি না। বরং রান্না করতে দারুণ ভালবাসি। মোচার ঘণ্ট থেকে থাই ফুড, যে কোনও রান্না করতে পারি। পার্থ খুব খেতে ভালবাসে। টেস্ট করতে করতেই তো অর্ধেকটা খেয়ে নেয় (মুচকি হাসি)। আমি আসলে জীবনকে ভালবাসি। আমার মধ্যে ভাল-খারাপ যা আছে, তা নিয়ে আমি খুশি। রেওয়াজ করতে করতে বাবুকে (ছেলে) দেখি, ও কী করে? টিভি দেখি না, আমার বাবু, আমি আর পার্থ খেলা করি। কথায় কথায় অস্ট্রিয়া কি ব্যাংকক-পাটায়া বেড়াতে যাই না। হয়তো কাছের কোনও সমুদ্রে চলে গেলাম। বাবু সেখানে বালি নিয়ে বাড়ি তৈরি করে...

পত্রিকা: ফুরিয়ে যাওয়ার ভয় আছে আপনার?

কৌশিকী: আমি জানি, সারাজীবন আমি গাইব না। তবে যত দিন গাইব, কেবল সকলকে আনন্দ দিয়ে যেতে চাই। মনে মনে ঠিক করা আছে একদিন থেমে যাব। কেবল নিজের জন্য গাইব। আমার ক্রাফ্ট তো নিজে নিজে কথা বলতে পারে না, ওর জন্য থাকব আমি। ওর সঙ্গে সময় কাটাব। আমার কাছে আমার ইগোর চেয়ে আমার গান আগে। নামের খিদের জন্য গানকে হেলায় হারাতে চাই না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

kaushiki desikan chakraborty srabanti bondhopadhyay
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE