Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

কবিতার অনুভূতি

আইসিসিআর-এ অনুষ্ঠিত হল কথায় কবিতায় আলাপচারিতায় ‘রত্না মিত্র-র সঙ্গে’। শ্রাবণী সেনের কথনে অনুষ্ঠানের শুরু। অবশ্য শ্রাবণীর স্বাগত সম্ভাষণের পূর্ব মুহূর্তে মঞ্চের অগোচর থেকে জীবনানন্দের রূপসী বাংলা-র কবিতার গাঢ় গভীর উচ্চারণে রত্না সরিয়ে দিয়েছিলেন পর্দার আড়ালটুকু। কবি জয় গোস্বামীর প্রাক্ কথনে, রত্না মিত্রের একক আবৃত্তি, পাঠ ও শ্রুতি অভিনয়ে রচিত হয়েছে শ্রোতাদের অন্য অনুভূতি।

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:০৫
Share: Save:

কবিতার অনুভূতি

আইসিসিআর-এ অনুষ্ঠিত হল কথায় কবিতায় আলাপচারিতায় ‘রত্না মিত্র-র সঙ্গে’। শ্রাবণী সেনের কথনে অনুষ্ঠানের শুরু। অবশ্য শ্রাবণীর স্বাগত সম্ভাষণের পূর্ব মুহূর্তে মঞ্চের অগোচর থেকে জীবনানন্দের রূপসী বাংলা-র কবিতার গাঢ় গভীর উচ্চারণে রত্না সরিয়ে দিয়েছিলেন পর্দার আড়ালটুকু। কবি জয় গোস্বামীর প্রাক্ কথনে, রত্না মিত্রের একক আবৃত্তি, পাঠ ও শ্রুতি অভিনয়ে রচিত হয়েছে শ্রোতাদের অন্য অনুভূতি। কবিতাকে আমি অনুভব করব— এভাবেই বোধহয় ভেবেছিলেন শিল্পী। সেই বোধ থেকেই তিনি বেছে নিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হেমাঙ্গ বিশ্বাস, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, আল মাহমুদ, শঙ্খ ঘোষ, মন্দাক্রান্তা সেন, শ্রীজাত প্রমুখের কবিতা। প্রতিটি মুহূর্তই ছিল বড় অনুভবের। অভিনেতা অশোক মুখোপাধ্যায়ের নাটক যখন কবিতার মেলবন্ধনে গড়ে ওঠে ‘সাঁকো’ হয়ে, তখন তা ভিন্ন মাত্রা পায়। অনুষ্ঠানের প্রান্তমুহূর্তে রবীন্দ্রসঙ্গীত নির্ভর ‘আপন গানের আলো’-য় শ্রাবণী সেন ও শ্রীকান্ত আচার্যের সঙ্গে শিল্পী একক নির্জন হয়ে উঠেছেন ত্রিবেণী সঙ্গমের মতো। এ রকম দৃষ্টান্ত অমিত চক্রবর্তীর আপন অভিজ্ঞতার আলোয়। আয়োজক পিকাসো।

মরিশাসের গান

মুক্ত মনে

শুধুই নজরুল

শিশির মঞ্চে মুক্তধারা শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিক ও শিখা বসু। অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্ত ও দ্বিজেন্দ্রগীতির সংকলন ‘শ্রাবণ ঝুলাতে’ সঙ্গীত পরিচালক নমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্যই প্রশংসা পাবেন। নৃত্যাংশে সত্যম ডান্স ট্রুপ। পরিচালনায় স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে একক গল্পাভিনয়ে ছিলেন মীনাক্ষী সিংহ। আবৃত্তিতে ছিলেন সুকুমার ঘোষ।

সঙ্স অব লাইফ শিরোনামে গানের অনুষ্ঠানে গ্যালারি গোল্ড-এ প্রথম পর্বে গাইলেন ইন্দিরা দাস। রাঘব চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রাণী সেন, রূপঙ্করের সঙ্গে বিভিন্ন গানের সংকলনে গাইলেও আজ প্রথম এককে ১২টি গান শুনিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করে নিলেন। ‘সবুজ দরজা’, ‘এ কি বেদনা শোভায়’ অনবদ্য। দ্বিতীয় পর্বে সুমিত রায় মরিশাসের লোকগীতি বাংলায় তর্জমা করে যে গানটি শোনালেন তা বহু দিন মনে থাকবে শ্রোতাদের।

সমবেত সঙ্গীতের পর সম্প্রতি নজরুলের কয়েকটি গান শোনালেন কাকলি দেব। এমনই কয়েকটি গান বেছে নিয়েছিলেন শিল্পী। তার মধ্যে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য হল ‘মোর ঘুমঘোরে এলে মনোহর’ ও ‘ব্রজগোপী খেলে হোরি’। তিনি আরও গাইলেন তার মধ্যে রয়েছে ‘গোঠের রাখাল’, ‘ঝুমঝুম ঝুমরা নাচ’, ‘প্রিয় যাই যাই বল না’ প্রভৃতি।

সব গানেই

গান ও পাঠে

রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুল থেকে আধুনিক-প্রায় সব গানই গাইলেন পম্পা রায় বসু। ভজন ও রাগপ্রধানও শোনালেন সব শেষে। এ দিনের উল্লেখযোগ্য গানগুলির মধ্যে রয়েছে ‘যদি নদীর শরীরে’, ‘আমার এই একতারা’, ‘তোমার কাছে’। আধুনিক ‘ভাল করে তুমি’ গানটি শিল্পীর কণ্ঠে অন্য মাত্রা পেয়েছে।

বিড়লা অ্যাকাডেমিতে ছোটদের সঙ্গীত ও আবৃত্তি দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা। এ দিন সোনারতরী কলাকেন্দ্রের অনুষ্ঠানে ছিলেন আবৃত্তিতে ঈশিতা দাস অধিকারী, দীপক মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। দীপকের আবৃত্তি অনুষ্ঠানে অন্য মাত্রা এনে দেয়। এ ছাড়াও গানের অনুষ্ঠানে সুব্রত সেনগুপ্তের তিনটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শ্রোতাদের বহু দিন মনে থাকবে। শ্রীকুমার দীক্ষিতের ‘আমার যেদিন ভেসে গেছে’ শুনতে বেশ ভাল লাগে। এর পরে অন্যান্য শিল্পীরা শোনালেন রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন পর্যায়ের গানগুলি। অনুষ্ঠান সংযোজনায় ছিলেন দেবাশিস মিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

patrika anandabazar music
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE