গত ষোলো বছর ধরেই ‘ঝালাপালা’ নাট্যগোষ্ঠী ছোটদের জন্য নাটক করে চলেছে। সম্প্রতি ঝালাপালা ছোটদের জন্য আয়োজন করল তিন দিনের এক নাট্যমেলা। প্রথম দিন রবীন্দ্রসদনে অনুষ্ঠিত হল সুকুমার রায়ের ষোলোটি কবিতা নিয়ে নাটক ‘আবোল তাবোল’। আমাদের স্বাভাবিক বড়দের পৃথিবী থেকে পালিয়ে যায় একটি ছোট্ট ছেলে। সুকুমার রায়ের পৃথিবী তাকে ডেকে নেয় অসম্ভবের রাজ্যে। ঝালাপালার ঝলমলে প্রযোজনা আর ছোটদের অভিনয় প্রশংসার দাবি রাখে। পোশাক পরিকল্পনা অসাধারণ। নির্দেশক শান্তনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
দ্বিতীয় দিন তৃপ্তি মিত্র সভাঘরে শান্তনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্পপাঠ আর নাটক ‘তা সে যতই ছোট হোক’। নাচে, গানে ভরপুর এক সপ্রতিভ প্রযোজনা। বড়দের পৃথিবী আর অতি ক্ষুদ্রদের পৃথিবী এই নিয়েই নাটক। নির্দেশনায় ছিলেন অংশুমান দাস। তৃতীয় দিনের নাটক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর গল্প থেকে ‘টাগের গল্প’। অনুষ্ঠিত হয় শিশির মঞ্চে। এক বোকা তাঁতি ছেলের বায়নায় অতিষ্ঠ হয়ে মাত্র বাষট্টি টাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ঘোড়া কিনতে। তার পথ চলার সঙ্গে গড়াতে থাকে নাটক। নানা রঙের চরিত্র আর তাদের নানা কাণ্ডকারখানায় ভরপুর এই নাটক বেশ মজাদার।
পরিপূর্ণ শ্যামা
শ্যামা নৃত্যনাট্যর প্রধান দু’টি চরিত্রের গানে অলক রায়চৌধুরী ও সুছন্দা ঘোষ চমৎকার গেয়েছেন। নাট্যরস দানা বেঁধেছে ওদের গানে। সমান মানানসই ছিলেন তড়িৎ ভট্টাচার্য। নৃত্যাংশে দীপ্তাংশু পাল ও গার্গী নিয়োগী ওঁদের সুনাম ধরে রেখেছেন। পাশাপাশি উত্তীয় চরিত্রে রাহুল দে নজরকাড়া। মল্লারের এই নিবেদনের আগে মুম্বই-এর নৃত্যসুধা স্বাতী গুহ রায়ের পরিচালনায় ইংরেজিতে পরিবেশন করেন ‘তোতাকাহিনি’। সু-অনুশীলিত, দৃষ্টিনন্দন প্রযোজনা এটি। অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল রবিছন্দমের ‘সীমার মাঝে অসীম তুমি’ গীতিআলেখ্য দিয়ে। রজত বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠস্নিগ্ধ সে উপস্থাপনায় সঙ্গীতাংশে মুগ্ধ করেন রাজশ্রী ভট্টাচার্য ও আশিস সরকার। পরিচালনায় ছিলেন অলক রায়চৌধুরী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy