Advertisement
০৭ মে ২০২৪

স্মৃতি-শ্রুতির আনন্দে

সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে ‘স্মৃতি-শ্রুতি’র সূচনা হল সৃ-শিক্ষা নিবেদিত সমবেত সঙ্গীত দিয়ে। একক আবৃত্তি, সম্মেলক আবৃত্তি, শ্রুতিনাটক ও গানের জলসা কিছুই বাদ যায়নি। কাজল সুরের পরিচালনায় প্রতিটি পর্বই উপভোগ্য হয়ে ওঠে। সম্মেলক আবৃত্তিতে প্রথমে ছড়ার মজা। তারপর ক্রমে ‘কোনখানে রাখব প্রণাম’ ও ‘আয় আরও বেঁধে’। পরবর্তী পর্বে ছিল উষসী সেনগুপ্তের একক আবৃত্তি নিবেদন।

সুলগ্না বসু
শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৪ ০০:০০
Share: Save:

সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে ‘স্মৃতি-শ্রুতি’র সূচনা হল সৃ-শিক্ষা নিবেদিত সমবেত সঙ্গীত দিয়ে। একক আবৃত্তি, সম্মেলক আবৃত্তি, শ্রুতিনাটক ও গানের জলসা কিছুই বাদ যায়নি। কাজল সুরের পরিচালনায় প্রতিটি পর্বই উপভোগ্য হয়ে ওঠে। সম্মেলক আবৃত্তিতে প্রথমে ছড়ার মজা। তারপর ক্রমে ‘কোনখানে রাখব প্রণাম’ ও ‘আয় আরও বেঁধে’। পরবর্তী পর্বে ছিল উষসী সেনগুপ্তের একক আবৃত্তি নিবেদন। স্বামী বিবেকানন্দের লেখা দিয়ে শুরু করে শিল্পী আধুনিক পর্বে পৌঁছলেন। উষসীর ঋজু বাচনভঙ্গি, নিয়ন্ত্রিত স্বরক্ষেপণ ও কবিতার নির্বাচন বৈচিত্র প্রশংসনীয়। তুলনায় শ্রুতিনাটক পর্বে তাঁকে কিছুটা অতি-নাটকীয় শুনতে লাগে। সংলাপ উচ্চারণে আবেগের নিয়ন্ত্রণ ও চর্চার প্রয়োজন। ‘ডোভার লেন’ শ্রুতিনাটকে কাজল সুরের চরিত্রটি খুবই উপভোগ্য হয় অভিনয়ের গুণে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে গানে ছিলেন চন্দ্রাবলী রুদ্র দত্ত ও সুছন্দা ঘোষ। সুছন্দা ঘোষের কণ্ঠে ঋজুতা, মাধুর্য ও ভাবের সমন্বয় গানের অবয়বটিকে যেন মূর্ত করে তোলে ‘আমি তোমারই সঙ্গে’ গানটিতে। চন্দ্রাবলীর সমৃদ্ধ কণ্ঠ এবং কথা ও ভাবের যথাযথ মেলবন্ধন তাঁর গানে নিয়ে আসে এক অনন্য মাত্রা যা খুঁজে পাওয়া গেল ‘এ কি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ’, ‘ছিল চাঁদ’ ইত্যাদি গানে।

নৃত্যে সপ্ততাণ্ডব

শতরূপা চক্রবর্তী

সম্প্রতি রবীন্দ্র সদনে নৃত্যানুষ্ঠানে কেরলের পালারিপাট্টুর আঙ্গিকে নৃত্য পরিবেশন করে জেলার ছেলেমেয়েরা। পরে রাজ্যের বারোটি দল পরিবেশন করে বিভিন্ন ঘরানার নৃত্য। শেষে ব্যান্ডেলের ‘শুভাঙ্গিক’-এর নৃত্য মনকে ছুঁয়ে যায়। তাঁরা মহাদেবের সাতটি তাণ্ডব নৃত্যের মিলিত রূপ ‘সপ্ততাণ্ডব’ পরিবেশন করেন। নৃত্য পরিচালক শুভজিৎ দাস। আয়োজক ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডান্স ফেডারেশন’।

তাঁকে মনে রেখে

গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের জন্মদিন উপলক্ষে সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে আয়োজন করা হয়েছিল এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। আয়োজনে গৌরীপ্রসন্ন স্মৃতিসংসদ। সৈকত মিত্র গাইলেন ‘জীবন খাতার প্রতি পাতায়’। শম্পা কুণ্ডু ‘নিশি রাত বাঁকা চাঁদ’। শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় শোনালেন ‘ফুলে গন্ধ নেই’। এ ছাড়াও গান শোনালেন অর্জুন চক্রবর্তী, স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত, মনোময় ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানের শেষ শিল্পী সুধীন সরকার গাইলেন গৌরীপ্রসন্ন রচিত তাঁরই গাওয়া একটি চলচ্চিত্রের গান ‘সে কথা কেউ রাখে না’। দ্বিতীয় পর্বে গান শোনালেন প্রমিত সেন, দেবমাল্য চট্টোপাধ্যায়, পরিমল ভট্টাচার্য, রাজ্যশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, সঙ্গীতা ভট্টাচার্য, রূপরেখা চট্টোপাধ্যায় ও আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে যন্ত্র সহযোগিতায় ছিলেন দীপঙ্কর আচার্য, সিদ্ধার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম চৌধুরী।

গতানুগতিক নয়

সম্প্রতি গিরিশমঞ্চে অনুষ্ঠিত হল সঙ্গীতম ও শিবরঞ্জনীর উদ্যোগে ‘নৃত্য-উৎসব ২০১৪’। পরে মঞ্চস্থ হয় ‘বাল্মীকি প্রতিভা’ এবং ‘ভুশন্ডির মাঠে। নৃত্য পরিচালনায় রীনা মুখোপাধ্যায়। গতানুগতিক নৃত্যনাট্যের বিষয়বস্তু থেকে সরে গিয়ে এক ভিন্ন স্বাদের, ভিন্ন দৃষ্টির প্রযোজনা-যা শ্রোতাদের মন্দ লাগেনি। মুখ্য চরিত্রে বাল্মীকির ভূমিকায় রীনা মুখোপাধ্যায়। দস্যু রাজন্যা মুখোপাধ্যায় এবং শিবু ভট্টাচার্য প্রশংসার দাবি রাখেন। প্রায় চারশোর মতো নৃত্যশিল্পী এই নৃত্য উৎসবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE