Advertisement
০২ মে ২০২৪
Love Story

পাক তরুণীকে বিয়ের জন্য পাগল ভারতীয় যুবক, ফেঁসে গেলেন আইএসআইয়ের ষড়যন্ত্রে

সমাজমাধ্যমে পাকিস্তানের এক তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন পুণের যুবক। প্রেমের জন্য ধর্ম বদলানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরিণতি হল মারাত্মক।

সংবাদ সংস্থা
পুণে শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৩ ১৩:৫০
Share: Save:
০১ ২৪
representative photo of couple

প্রেমে পড়ে অন্ধ হয়ে যাওয়া কাকে বলে, তা এই ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। সমাজমাধ্যমে এক পাকিস্তানি তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন ভারতীয় যুবক। যত দিন গড়িয়েছে, ততই গাঢ় হয়েছে সেই প্রেমের সম্পর্ক। তবে প্রেমে ‘মধুরেণ সমাপয়েৎ’ ঘটেনি। ঠিক উল্টোটাই হয়েছে। পাক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ওই যুবকের জীবনে ঝড় বয়ে গিয়েছে। গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িয়ে হাতকড়া পরতে হয়েছিল ওই যুবককে।

ছবি সংগৃহীত।

০২ ২৪
representative photo of lovestory

ঝাড়খণ্ডের এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান বিশাল। ২০০৪ সালে পড়াশোনার জন্য পুণেতে যান তিনি। সেখানকার একটি কলেজে ভর্তি হন।

প্রতীকী ছবি।

০৩ ২৪
representative photo of lovestory

ঝাড়খণ্ড থেকে পুণেতে গিয়েই বিশালের জীবন বদলে যায়। ২০০৫ সালে ‘ইয়াহু মেসেঞ্জার’-এ এক পাক তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় বিশালের। করাচির বাসিন্দা ওই তরুণীর নাম ফতিমা সাল্লাহউদ্দিন শাহ।

প্রতীকী ছবি।

০৪ ২৪
representative photo of chat

অল্প কয়েক দিনের আলাপের মধ্যেই চ্যাটে বিশালের সঙ্গে ফতিমার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ফতিমার সঙ্গে চ্যাট করতে সাইবার ক্যাফেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাতেন বিশাল।

প্রতীকী ছবি।

০৫ ২৪
representative photo of lovestory

চ্যাটে দু’জন দু’জনের সম্পর্কে নানা কথা ভাগ করে নিতেন। কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে ঠিক যেমনটা হয়ে থাকে। ফতিমা জানিয়েছিলেন যে, তাঁর বাবা পাকিস্তানের অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক।

প্রতীকী ছবি।

০৬ ২৪
representative photo of lovestory

এর পর পরই ফতিমার প্রেমে পড়েন বিশাল। তাঁকে বিয়ের প্রস্তাবও দেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণও করেন ফতিমা। এর পর আরও কাছাকাছি আসেন বিশাল এবং ফতিমা। নিজের একটি ব্যক্তিগত ফোন নম্বর (যেটি পাকিস্তানের নম্বর) বিশালকে দেন ফতিমা।

প্রতীকী ছবি।

০৭ ২৪
representative photo of STD Booth

স্থানীয় এসটিডি বুথ থেকে ফতিমার ওই নম্বরে ফোন করতেন বিশাল। চ্যাট থেকে এ ভাবেই তাঁদের কথোপকথন শুরু হয় ফোনে। এসটিডি বুথ থেকে ফতিমাকে ফোন করতে গিয়ে বিশালের বিল হয়েছিল দেড় লক্ষ টাকার। তবে মাত্র ৪০ হাজার টাকা বিশাল মিটিয়েছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছিলেন ওই বুথের মালিক।

প্রতীকী ছবি।

০৮ ২৪
representative photo of lovestory

ফোনে ফতিমার বাবা-মায়ের সঙ্গেও কথা বলতেন বিশাল। শুরুতে বিশালের বাবা-মা এই সম্পর্ক মেনে নেননি। পরে একটি শর্তে রাজি হন তাঁরা। শর্তটি ছিল, বিশালকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে। এই প্রস্তাবে রাজিও হয়েছিলেন বিশাল।

প্রতীকী ছবি।

০৯ ২৪
representative photo of lovestory

এর পরই বিশালকে পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ফতিমা এবং তাঁর বাবা। শুধু তা-ই নয়, বিয়ের পর ফতিমা এবং বিশাল লন্ডনে থাকবেন এবং সেখানে ব্যবসা সামলাবেন, এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন ফতিমার বাবা।

প্রতীকী ছবি।

১০ ২৪
representative photo of lovestory

ফতিমার বাবার কথা শুনে স্বাভাবিক ভাবেই আনন্দে ছিলেন বিশাল। প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী বানানোর জন্য তখন মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি। পাকিস্তানের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন বাতিল হয়ে যায়।

প্রতীকী ছবি।

১১ ২৪
photo of Pakistan High Commision

এর পর ফতিমার বাবা সাল্লাহউদ্দিন নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্মীর ফোন নম্বর দেন বিশালকে। ওই কর্মীর নাম সৈয়দ এস হুসেন তিরমিজি। সেই মতো তিরমিজির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বিশাল।

ছবি সংগৃহীত।

১২ ২৪
representative photo of lovestory

পুলিশ জানিয়েছিল, পাক ভিসা পাওয়ার জন্য নিজের বিভিন্ন নথি তিরমিজির হাতে তুলে দিয়েছিলেন বিশাল। সেই সময় দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকায় একটি লজে থাকতেন বিশাল। ফতিমা এবং তাঁর বাবার কাছ থেকে টাকাও পেয়েছিলেন তিনি।

প্রতীকী ছবি।

১৩ ২৪
representative photo of lovestory

বিশালকে পাকিস্তানের ভিসা জোগাড় করে দেওয়ার কাজে তিরমিজির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পাক হাইকমিশনের আরও এক কর্মী জাভেদ ওরফে আব্দুল লতিফ। তাঁরাই বিশালকে ভিসার ব্যবস্থা করে দেন।

প্রতীকী ছবি।

১৪ ২৪
photo of Pakistan's flag

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছিল যে, ওই ভিসা নিয়ে দু’বার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন বিশাল। ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে ৪ দিনের জন্য পাকিস্তানে ছিলেন তিনি। এর পর, ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে ২ সপ্তাহের বেশি সে দেশে ছিলেন বিশাল।

ছবি সংগৃহীত।

১৫ ২৪
representative photo of arrest

২০০৭ সালের ৮ এপ্রিল পুণে সিটি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন বিশাল। চরবৃত্তির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পাকিস্তান থেকে বিশাল যখন ফিরেছিলেন, সেই সময় তাঁর কাছ থেকে পুণের বিভিন্ন এলাকায় সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় স্থানের ছবি এবং গোপন নথি উদ্ধার করা হয়েছিল।

প্রতীকী ছবি।

১৬ ২৪
representative photo of arrest

পুলিশ জানিয়েছিল, ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি, বম্বে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ, সাদার্ন কমান্ড-সহ ভারতীয় সেনার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছবি উদ্ধার করা হয়েছিল বিশালের কাছ থেকে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান, পুণেতে আরএসএসের সদর দফতরের ছবিও উদ্ধার করা হয়েছিল বিশালের কাছ থেকে।

প্রতীকী ছবি।

১৭ ২৪
representative photo of lovestory

শুধু তা-ই নয়, ভারতীয় সেনা আধিকারিকদের ফোন নম্বরের প্রতিলিপি, ফতিমার ছবি, সালাহউদ্দিনের উদ্দেশে লেখা একটি খামও পাওয়া গিয়েছিল বিশালের কাছ থেকে।

প্রতীকী ছবি।

১৮ ২৪
representative photo of crime

পুণের ডেকান থানায় বিশালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি ধারা এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়।

প্রতীকী ছবি।

১৯ ২৪
representative photo of mobile

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে, পুণেতে ভারতীয় সেনার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় স্থানের ছবি তুলে বিশালকে পাঠাতে বলেছিলেন সালাহউদ্দিন। পাকিস্তান থেকে পুণেতে ফিরে সেই মতো কাজ করেছিলেন বিশাল। তার পর তথ্য সংগ্রহ করে ছবি তুলে তা পাকিস্তানে পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

প্রতীকী ছবি।

২০ ২৪
representative photo of lovestory

ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য পুণেতে মৌলবিদের সঙ্গে বিশাল যোগাযোগ করেছিলেন বলে দাবি করেছিল পুলিশ। পুণের এক মৌলবি পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে, সালাহউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছিল এবং সালাহউদ্দিন জানিয়েছিলেন যে, বিশাল ইতিমধ্যেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে বিলাল।

প্রতীকী ছবি।

২১ ২৪
representative photo of lovestory

এই ঘটনায় পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখার জন্য বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছিল পুণে সিটি পুলিশ। কিন্তু ‘ভিয়েনা কনভেনশন’-এর নিয়ম মোতাবেক তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারেনি তারা।

প্রতীকী ছবি।

২২ ২৪
representative photo of lovestory

২০০৭ সালের জুলাই মাসে বিশালের বিরুদ্ধে পুণে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। চরবৃত্তির অভিযোগ অস্বীকার করেন বিশাল। তিনি দাবি করেন যে, প্রেমের সম্পর্কের কারণেই দু’বার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। তথ্যপ্রমাণ দেখে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল যে, ‘গভীর ষড়যন্ত্রে’ জড়িয়ে পড়েছিলেন বিশাল।

প্রতীকী ছবি।

২৩ ২৪
representative photo of court order

২০১১ সালের ২৯ মার্চ বিশালকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। মেয়াদ শেষ হলে তিনি মুক্তি পান।

প্রতীকী ছবি।

২৪ ২৪
representative photo of lovestory

এত বছর পর পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এজেন্ট সাল্লাহউদ্দিন শাহ এবং তাঁর কন্যা ফতিমা এখনও ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় রয়েছেন।

প্রতীকী ছবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE