একটি ডাচ টেকনিক্যাল স্কুলে কিছু দিন পড়াশোনা করেছিলেন স্লুট। কিন্তু মাঝপথে স্কুল ছেড়ে দেন তিনি। স্কুল ছেড়ে একটি রেডিয়ো স্টেশনে চাকরি নেন। এক সময় ফিলিপ্স ইলেকট্রনিক্স সংস্থায় কাজ করতেন স্লুট। দেড় বছর ফিলিপ্সে চাকরি করার পর একটি অডিয়ো-ভিডিয়ো স্টোরে চাকরি নিয়ে চলে যান। এরও কয়েক বছর পর অন্য শহরে গিয়ে স্লুট নিজস্ব একটি সংস্থা চালু করেছিলেন, যেখানে টেলিভিশন এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি সারাই করা হত। এখান থেকেই বিপ্লবের শুরু।
১৯৮৪ সালের পর থেকে কম্পিউটার প্রযুক্তিতে মনোনিবেশ করেন স্লুট। ফিলিপস পি ২০০০, কমোডোর ৬৪, আইবিএম পিসি এক্সটি, এটি-র মতো কম্পিউটার নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতেন তিনি। তা করতে করতেই দেশব্যাপী মেরামত পরিষেবার একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে ফেলেছিলেন স্লুট। তার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘রেপাবেস’। এতে সমস্ত মেরামতির কাজের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব রাখা হত। সেই সূত্রেই তথ্য সংরক্ষণের একটি বিকল্প কৌশল আবিষ্কার করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন তিনি।
তথ্য বা ডেটা সংরক্ষণের প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে বেরিয়ে নতুন আবিষ্কারের কথা ভেবেছিলেন স্লুট। যাতে তুলনামূলক কম জায়গা লাগে। ১৯৯৫ সালে স্লুট দাবি করেন, তিনি একটি ডেটা এনকোডিং কৌশল তৈরি করেছেন, যার সাহায্যে আস্ত একটি সিনেমা মাত্র ৮ কিলোবাইটের মধ্যে সংগ্রহ করা যাবে। এর নাম দেওয়া হয় স্লুট ডিজিটাল কোডিং সিস্টেম (এসডিসিএস)।
বিনিয়োগকারীরা স্লুটের এই এনকোডিং সিস্টেমে লাভের সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছিলেন। অনেকেই তা কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। ফিলিপ্সের প্রাক্তন কর্তা রোয়েল পিপার স্লুট আবিষ্কৃত এই ব্যবস্থাপনার কথা জানতে পারেন। ১৯৯৯ সালের মে মাসে ফিলিপ্স ত্যাগ করে স্লুটের সংস্থায় সিইও হিসাবে যোগদান করেছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy