All need to know about AIM-260 Missile, secret Lockheed Martin missile that American Air Force and Navy wants dgtl
AIM-260 Missile
পূরণ হতে চলেছে আমেরিকার আট বছরের স্বপ্ন? যুদ্ধবিমান থেকে শত্রুদের নাকানিচোবানি খাওয়াতে আসছে গোপন মারণাস্ত্র!
‘এআইএম-২৬০’ ক্ষেপণাস্ত্রটি মূলত এফ-২২ এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জন্য তৈরি করা হয়েছে। তবে এটি এফ-১৫ এবং এফ-১৬ যুদ্ধবিমানেও ব্যবহার করা যাবে।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:১৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে রুখতে চিনের তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল পাক বায়ুসেনা। ওই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের অত্যাধুনিক সংস্করণ মার্কিন বিমান ও নৌসেনার বহরে শীঘ্রই যুক্ত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। গত আট বছর ধরে এই অস্ত্র নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে লকহিড মার্টিন।
০২১৭
সূত্রের খবর, আট বছরের অপেক্ষার পর সেই ভয়ঙ্কর অস্ত্র আসতে পারে তাদের হাতে। জনপ্রিয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থা লকহিড মার্টিন ‘এআইএম-২৬০’ ক্ষেপণাস্ত্রটি নাকি তৈরি করে ফেলেছে, যা বায়ু এবং নৌসেনাকে সরবরাহও করবে সংস্থা।
০৩১৭
‘এআইএম-২৬০’ ক্ষেপণাস্ত্রটি মূলত এফ-২২ এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জন্য তৈরি করা হয়েছে। তবে এটি এফ-১৫ এবং এফ-১৬ যুদ্ধবিমানেও ব্যবহার করা যাবে।
০৪১৭
আমেরিকার প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান জেনারেল চার্লস ব্রাউন ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির প্যানেলকে জানিয়েছিলেন, মানববিহীন যুদ্ধবিমান তৈরির যে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, সেখানেও ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যবহার করা যাবে।
০৫১৭
ক্ষেপণাস্ত্রটি এক বার কাজ করা শুরু করলে, তা আমেরিকার সবচেয়ে উন্নত আকাশ থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রে পরিণত হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আমেরিকার হাতে থাকা সবচেয়ে উন্নত আকাশ থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র হল ‘এআইএম-১২০’।
০৬১৭
বাজেট নথি এবং একটি পরিষেবা বিবৃতি অনুযায়ী, আগামী অর্থবর্ষে যাতে ওই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি শুরু করা যায় তার জন্য প্রায় ১০০ কোটি ডলার চাওয়া হয়েছে।
০৭১৭
লকহিড মার্টিনের তৈরি ‘এআইএম-২৬০’ জয়েন্ট অ্যাডভান্সড ট্যাকটিক্যাল ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎপাদন শুরু করার জন্য ওই টাকা চেয়েছে মার্কিন বায়ুসেনা এবং নৌসেনা। ২০২৬ অর্থবর্ষের জন্য ১০০ কোটি ডলারের আবেদন জানিয়েছে তারা।
০৮১৭
পুরো বিষয়টির নেতৃত্বে রয়েছে মার্কিন বায়ুসেনা। ক্ষেপণাস্ত্রটির প্রাথমিক উৎপাদনের জন্য ৩৬.৮ কোটি ডলার-সহ অতিরিক্ত ৩০ কোটি ডলার চাওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, নৌবাহিনী ৩০.১ কোটি ডলারের আবেদন জানিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
০৯১৭
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, উৎপাদনের পরিমাণের উপর নির্ভর করে ‘এআইএম-২৬০’ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে মোট খরচ হতে পারে ৩০০০ কোটি ডলার। লকহিড মার্টিনের জন্যও প্রকল্পটি বিপুল লাভ এনে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
১০১৭
তবে দূরপাল্লার অস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি লোকসান কমানো লকহিডের জন্য বর্তমানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
১১১৭
আমেরিকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থার রাজস্বের বৃহত্তম উৎস এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ওই যুদ্ধবিমানই তৈরি করছে সংস্থাটি।
১২১৭
সংস্থাটি সমরাস্ত্র তৈরির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সম্প্রতি হারিয়েওছে। এর মধ্যে অন্যতম এফ-৪৭ যুদ্ধবিমান তৈরির চুক্তি। ওই যুদ্ধবিমান তৈরির বরাত পেয়েছে বোয়িং।
১৩১৭
উন্নত অস্ত্রের ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী চাহিদার মধ্যে ‘এআইএম-২৬০’ ক্ষেপণাস্ত্রটি লকহিডের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
১৪১৭
স্বাধীন গবেষণা, তথ্য বিশ্লেষণ এবং বিনিয়োগ সংস্থা মেলিয়াস রিসার্চের গবেষক স্কট মিকাস সংস্থাটি সম্পর্কে বলেছেন, “লকহিড মার্টিনের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র ও অগ্নি নিয়ন্ত্রণ বিভাগে লাভ করা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’
১৫১৭
স্কট আরও বলেছেন, ‘‘চুক্তিটি লকহিডের জন্য ফলপ্রসূ হতে পারে। ক্ষেপণাস্ত্রটি যদি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা তৈরি করতে পারে তা হলে তা সংস্থার জন্য লাভজনক হবে।”
১৬১৭
তবে ‘এআইএম-২৬০’ ক্ষেপণাস্ত্রটি কবে বাজারে আসতে চলেছে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। মার্কিন বায়ুসেনার সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, আমেরিকার হাতে বর্তমানে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি রয়েছে, তার থেকে ‘এআইএম-২৬০’-এর পাল্লা বেশি হবে।
১৭১৭
মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রের তালিকায় নবতম সংযোজন হতে চলেছে ‘এআইএম-২৬০’। এ ছাড়াও আমেরিকার হাতে রয়েছে এআইএম-৯ সাইডওয়াইন্ডার (ইনফ্রারেড-হোমিং), এআইএম-৭ স্প্যারো, এআইএম-১২০-র মতো ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র।