America urging Japan and Australia to clarify their roles if war trigger between US and China over Taiwan dgtl
US China Conflict Over Taiwan
ট্রাম্পের অতি চালাকিতে বিরক্ত ‘বন্ধু’রা বাড়াচ্ছে দূরত্ব! তাইওয়ানকে নিয়ে চিনের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে ‘একা কুম্ভ’ আমেরিকা?
তাইওয়ান সংঘাতকে কেন্দ্র করে চিন ও আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধ বাধলে কোন কোন ‘বন্ধু’কে পাশে পাওয়া যাবে, তা আগাম বুঝে নিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। সেটা জানতে গিয়ে আমেরিকা জোরালো ধাক্কা খেয়েছে বলে জানিয়েছে সে দেশের একাধিক গণমাধ্যম।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৫ ১৪:২৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
তাইওয়ান রক্ষায় চিনের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে পাশে থাকবে কোন কোন ‘বন্ধু’? সংঘাত-শঙ্কায় আগাম তা জানতে গিয়ে প্রবল অস্বস্তির মুখে পড়ল আমেরিকা। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে খোলাখুলি ভাবে সাহায্য করার গরজ দেখাচ্ছে না কেউই। উল্টে ‘বন্ধু’দের কারও কারও মধ্যে উথলে উঠেছে ‘ড্রাগন-প্রেম’! ফলে ক্রমাগত রক্তচাপ বাড়ছে ওয়াশিংটনের। এর জন্য অবশ্য মার্কিন নীতিকেই দুষেছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশ।
০২২০
ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় আমেরিকার তিন কৌশলগত মিত্র রয়েছে। তারা হল জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত। মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের কর্তাব্যক্তিরা মনে করেন চিনের সঙ্গে যুদ্ধে এই তিন সহযোগীর ‘নিঃশর্ত’ সাহায্য না পেলে বেজিংকে চট করে কাবু করা সম্ভব হবে না। আর তাই সম্প্রতি তিন ‘বন্ধু’র মধ্যে দু’জনকে ডেকে নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নীতি বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি এলব্রিজ কলবি। সূত্রের খবর, সেখানে হতাশ হতে হয় তাঁকে।
০৩২০
মার্কিন গণমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট বৈঠকে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চিনের সঙ্গে আসন্ন যুদ্ধে আমেরিকাকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে কোনও রকমের প্রতিশ্রুতি দেয়নি টোকিয়ো বা ক্যানবেরা। উল্টে বর্তমান পরিস্থিতিতে বেজিঙের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষপাতী অসি প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ়। অন্য দিকে, এ ব্যাপারে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের উপরে নির্ভরশীল না থেকে তারা যে নিজস্ব শক্তিবৃদ্ধির দিকে যত্নবান হচ্ছে, তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে জাপান।
০৪২০
টোকিয়ো ও ক্যানবেরার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কের চিড় ধরার নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে চুক্তি করে জাপানের নিরাপত্তার দেখভালের দায়িত্ব নেয় আমেরিকা। ১৯৫২ সাল থেকে এই ব্যবস্থা চলে আসছে। এর জন্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রে একাধিক সামরিক ঘাঁটি আছে যুক্তরাষ্ট্রের। ‘সূর্যোদয়ের দেশ’টির অভিযোগ, তা সত্ত্বেও চিনা আগ্রাসনের সময়ে আশ্চর্য ভাবে নিশ্চুপ থাকছে মার্কিন ফৌজ।
০৫২০
গত কয়েক বছর ধরেই জাপানের একাধিক দ্বীপের উপর দাবি জানিয়ে আসছে বেজিং। পাশাপাশি, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ড্রাগনের ‘পিপল্স লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএ-র নৌবাহিনীর ‘দৌরাত্ম্য’ সহ্য করতে হচ্ছে টোকিয়োকে। ‘সূর্যোদয়ের দেশ’টির ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ বা ইইজ়েডে (এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জ়োন) রণতরী নিয়ে ঢুকে পড়া থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক জাহাজ আটকে দেওয়ার মতো অভিযোগও রয়েছে মান্দারিনভাষী জলযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে।
০৬২০
বিশ্লেষকদের দাবি, এই পরিস্থিতিতে ‘আগ্রাসী’ ড্রাগনের বিষদাঁত ভেঙে দিতে মার্কিন নৌবাহিনীর উপস্থিতি ওই এলাকায় বাড়বে বলে আশা করেছিল জাপান। কিন্তু, বাস্তবে দেখা গিয়েছে উল্টো চিত্র। ফলে ‘ঘুমন্ত’ আমেরিকাকে জাগিয়ে তুলতে একটা সময়ে মরিয়া হয়ে ওঠে টোকিয়ো। যুক্তরাষ্ট্রকে দ্রুত পরমাণু হাতিয়ার মোতায়েনের অনুরোধও জানিয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ওই দ্বীপরাষ্ট্র। তাতেও ওয়াশিংটন কান না দেওয়ায় সেখানকার সরকার ও জনগণের মধ্যে বাড়তে থাকে ক্ষোভ।
০৭২০
চলতি বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয় বারের জন্য শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যেই জাপানের সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত চুক্তিটিকে ‘ঐতিহাসিক ভুল’ বলে মন্তব্য করে বসেন। শুধু তা-ই নয়, ‘বন্ধু’ দেশ হওয়া সত্ত্বেও টোকিয়োর উপরে উচ্চ হারে শুল্ক চাপাতে দ্বিধা করেননি তিনি। এতে মোটা লোকসানের মুখে পড়েন সেখানকার ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা। ধাক্কা খায় দ্বীপরাষ্ট্রটির অর্থনীতি। এর পরেই ধীরে ধীরে ওয়াশিংটনের থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করে ‘উদীয়মান সূর্যের দেশ’।
০৮২০
গত ১০ জুলাই একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে নাম না করে আমেরিকাকে নিশানা করেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের উপর থেকে সব রকমের নির্ভরশীলতা কাটিয়ে ফেলার আহ্বান জানান তিনি। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, তাইওয়ান দখল হয়ে গেলে চিনের পরবর্তী নজর যাবে জাপানের দিকে। এত দিনে সেটা ভালই বুঝে গিয়েছে টোকিয়ো। আর তাই দ্রুত গতিতে নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ওই দ্বীপরাষ্ট্র।
০৯২০
আমেরিকার উপরে অসিদের রাগ আবার অন্য জায়গায়। চিনকে চাপে রাখতে ২০২১ সালে ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘অকাস’ নামের একটি নিরাপত্তা চুক্তি করে ক্যানবেরা। ঠিক হয়, অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণু ডুবোজাহাজ বানিয়ে দেবে ওই দুই দেশ। কিন্তু, কুর্সি পাওয়ার পরেই গোটা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। ফলে আপাতত আণবিক ডুবোজাহাজ হাতে পাচ্ছে না অসি নৌবাহিনী। এতে দেশের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ায় ওয়াশিংটনের উপরে অসন্তোষ বেড়েছে অ্যালবানিজ়ের।
১০২০
এই অবস্থায় গত ১২ জুলাই ড্রাগনভূমিতে যান অসি প্রধানমন্ত্রী। সাংহাইয়ে দাঁড়িয়ে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। বলেন, ‘‘চিনের সঙ্গে নিবিড় বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী ক্যানবেরা।’’ রফতানির ক্ষেত্রে বেজিংকে ‘সর্ববৃহৎ অংশীদার’ বলে উল্লেখ করতেও শোনা যায় তাঁকে। আগামী ১৮ জুলাই তাঁর বেজিং সফর শেষ করার আগে দুই দেশের মধ্যে একাধিক বাণিজ্যচুক্তি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
১১২০
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নীতি বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার শিল্পমন্ত্রী প্যাট কনরয়। তিনি বলেছেন, ‘‘চিনের তাইওয়ান আক্রমণের বিষয়টি অনুমান নির্ভর। এর উপর ভিত্তি করে কোনও আগাম সিদ্ধান্ত বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া সম্ভব নয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি দেখে ওই লড়াইয়ে সৈন্য পাঠানো হবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।’’ বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, ক্যানবেরা যে সংঘাত থেকে দূরে থাকবে, এই মন্তব্যে সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
১২২০
ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনের ‘দাদাগিরি’ বন্ধ করতে ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া তৈরি করেছে চতুঃশক্তি জোট বা কোয়াড। এর অন্যতম সদস্য নয়াদিল্লির সঙ্গে অবশ্য তাইওয়ান সংঘাত নিয়ে কোনও আলোচনা করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনের ভারতের থেকে সাহায্য পাওয়ার আশা অনেকটাই কম। কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের সমর্থন অনেকটাই ঝুঁকে রয়েছে ভারতের ‘চিরশত্রু’ পাকিস্তানের দিকে।
১৩২০
দ্বিতীয়ত, ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি রয়েছে আমেরিকার। মস্কোর থেকে সস্তা দরে খনিজ তেল কেনার জন্য বার বার নয়াদিল্লির উপর শুল্ক চাপানোর হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন রাজনীতিকদের একাংশ। পাশাপাশি, ভারত ‘ব্রিকস’-এর সদস্য হওয়ায় প্রকাশ্যে এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ফলে তাইওয়ান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতীয় ফৌজ লড়বে, এই আশা করছেন না প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের কেউই।
১৪২০
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেনের আমল থেকে চিনা আগ্রাসনের হাত থেকে তাইওয়ানকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে আমেরিকা। কিন্তু, এ ব্যাপারে কোনও ‘ফাঁকা চেক’ লিখে দিতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র। আর তাই ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় তার ‘বন্ধু’রাও অনেকটাই নিষ্প্রভ। এতে তাইপের যে বিপদ বাড়ল, তা বলাই বাহুল্য।
১৫২০
যদিও বিষয়টিকে এতটা সরলীকৃত করে দেখা উচিত নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকদের একাংশ। তাঁদের কথায়, পিএলএ নৌসেনা তাইওয়ান আক্রমণ করলে জাপানের পক্ষে চুপ করে বসে থাকা সম্ভব হবে না। অন্য দিকে ‘পঞ্চনেত্র’ (ফাইভ আইজ়) গোয়েন্দা সংগঠনের সদস্য হওয়ায় বেজিঙের ‘হাঁড়ির খবর’ যুক্তরাষ্ট্রকে সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে অস্ট্রেলিয়া।
১৬২০
ভারতের সঙ্গে চিনের ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা’ বা এলএসিতে (লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল) লম্বা সময় ধরে বিবাদ রয়েছে। লাদাখের উত্তরের ‘আকসাই চিন’ এলাকাটি ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর থেকে দখলে রেখেছে বেজিং। এ ছাড়া নয়াদিল্লিকে চাপে রাখতে সব সময়ে পাকিস্তানকে নানা ভাবে মদত দিয়ে চলেছে ড্রাগন সরকার ও সেনা। উত্তর ও উত্তর-পূর্বের প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক ঘাটতিও দিন দিন বাড়ছে।
১৭২০
এ ছাড়া তিব্বত নিয়ে নতুন করে নয়াদিল্লির সঙ্গে সংঘাত দেখা দিয়েছে চিনের। ১৯৫০ সালে ‘পৃথিবীর ছাদ’ দখল করে বেজিং। ওই সময়ে সেখান থেকে সিকিমের রাস্তায় ভারতে পালিয়ে আসেন তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামা। তাঁকে আশ্রয় দিতে দ্বিতীয় বার ভাবেনি কেন্দ্র। ড্রাগনের অভিযোগ, ভারতের মদতে লাসায় জোরালো হচ্ছে স্বাধীনতার দাবি, যেটা তাদের সার্বভৌমত্বের পক্ষে ক্ষতিকর।
১৮২০
বিশেষজ্ঞদের কথায়, চিন-ভারত সীমান্ত সংঘাত আরও তীব্র হলে নয়াদিল্লি তাইওয়ান তাস খেলবে কি না, সেটা বলা কঠিন। আগামী দিনে কোয়াডের বৈঠকে এই চতুঃশক্তি জোটকে সৈন্যচুক্তিতে বদলে ফেলার জন্য চাপ দিতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অন্য দিকে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে টোকিয়োর ভারতের কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৯২০
জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নীতি বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি কলবি। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলে শান্তি বজায় রাখতে চাইছেন ট্রাম্প। সেই কারণে ‘বন্ধু’দের প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়বৃদ্ধির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আমরা চিনের বিস্তারবাদী নীতির বিরোধী। এই অবস্থানের কোনও নড়চড় হবে না।’’
২০২০
বেজিং অবশ্য এই ধরনের বৈঠককে গুরুত্ব দিতে নারাজ। ‘এক চিন’ নীতিতে বিশ্বাসী হওয়ায় তাইওয়ানকে আলাদা দেশ হিসাবে মানতে নারাজ ড্রাগন। একে মূল চিনের অংশ বলে মনে করে তারা। আর তাই প্রশান্ত মহাসাগরের ওই দ্বীপরাষ্ট্রটি কব্জা করার ছক দীর্ঘ দিন ধরেই কষছেন সেখানকার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এই সংঘাতের জল কোন দিকে গড়ায় সেটাই এখন দেখার।