Baishakhi Bandyopadhyay posted pictures taken with Shovon Chatterjee on social media dgtl
URL Copied
চিত্র সংবাদ
Sovan-Baisakhi: বিচ্ছেদে মুক্তি, মুক্তিতে আনন্দ, ফেসবুকে যুগলে একের পর এক ছবি পোস্ট বৈশাখীর
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ০৬ এপ্রিল ২০২২ ২৩:১৭
Advertisement
১ / ১৩
আইনি লড়াই শেষে বুধবার পুরনো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বৈশাখীর বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছে আলিপুর আদালত।
২ / ১৩
কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী এত দিন তাঁর স্বামী মনোজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা লড়ছিলেন। মনোজিৎ অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন, এমন দাবি করে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বৈশাখী। বুধবার ওই মামলার শেষ শুনানি ছিল। শুনানি শেষে আপস-বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দিয়েছে আদালত।
Advertisement
Advertisement
৩ / ১৩
আদালতের রায়ের পর শোভন ও কন্যা মেহুলের সঙ্গে তোলা তাঁর বেশ কয়েকটি ছবি বুধবার রাতে নেটমাধ্যমে পোস্ট করেন বৈশাখী। কোনও ফ্রেমে শুধু শোভন আর বৈশাখী, কোনওটায় আবার শোভন, বৈশাখী ও মেহুল তিন জনেই। রয়েছে শুধু মেয়ের সঙ্গে তোলা ছবিও।
৪ / ১৩
ছবির বিবরণীতে বৈশাখী লিখেছেন, ‘অতীতের কান্না আর দীর্ঘশ্বাস এখন শুধুই স্মৃতি। ভালবাসা চিরন্তন। আর বিদায় জানানোর কিছু নেই।’
Advertisement
৫ / ১৩
বিবাহবিচ্ছেদের পক্ষে আদালত রায় দেওয়ার পরে শোভন বলেন, ‘‘বৈশাখী যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল, তার অবসান হল। অনেক অসত্য কথা বলা হয়েছিল। চক্রান্তও হয়েছিল। আমি একটা কথা বলতে পারি— যে কোনও পরিস্থিতিতে দায়িত্ববোধ নিয়ে সচেতন আমি।’’
৬ / ১৩
শোভন আরও বলেন, ‘‘বৈশাখীর সঙ্গে আমার এত দিনের পরিচয়ে এই প্রথম বৈশাখীকে মুক্তির স্বাদ পেতে দেখলাম। আমিও এই মুক্তির স্বাদের অপেক্ষায় আছি। আজ থেকে চার বছর আগেও বলেছিলাম, আবারও বলছি, যেখানে বুক দেখাই, সেখানে পিঠ দেখাই না।’’
৭ / ১৩
শোভনের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা এখনও ঝুলছে আদালতে। যদিও তাঁর স্ত্রী তথা রাজ্যের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, তিনি অত সহজে শোভনকে বিবাহবিচ্ছেদ দেবেন না।
৮ / ১৩
নিজের সীমিত ক্ষমতার মধ্যে থেকে ভবিষ্যতে বৈশাখী ও তাঁর মেয়ে মেহুলের দায়িত্ব নিতে তিনি প্রস্তুত বলেই জানিয়েছেন শোভন। তিনি জানান, খারাপ সময়ে বৈশাখী যে ভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তা তিনি ভুলে যাননি। তাঁর কথায়, ‘‘বৈশাখীর ঋণ আমি কোনও দিন শোধ করতে পারব না। ভবিষ্যতে বৈশাখী একটা সুস্থ জীবনধারণের জায়গায় রয়েছে। আমায় এখানে দায়িত্ব নিতে হবে। এই দায়িত্ব থেকে আমি পিছপা হব না।’’
৯ / ১৩
কন্যা মেহুলের জীবনে শোভনের কতটা অবদান রয়েছে, তা ব্যক্ত করেছেন বৈশাখীও। তিনিও আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমার সন্তানের জীবনে আমার মা আর শোভন ছাড়া কারও অবদান নেই।’’
১০ / ১৩
বৈশাখী জানান, মেয়ের ভরণপোষণের জন্য তিনি কারও উপর নির্ভরশীল নন। মনোজিতের থেকে কোনও অর্থ দাবি করেননি তিনি।
১১ / ১৩
বৈশাখীর কথায়, ‘‘আমি যখন (কলেজের চাকরি থেকে) সাসপেনশনে ছিলাম, তখনও মেয়ে আমারই দায়িত্বে ছিল। এখনও আমারই দায়িত্বে থাকবে। শোভন এসে অনেক দায়িত্ব নিয়েছে। আমি মনোজিতের থেকে কোনও টাকা চাইনি। মেয়ের জন্য টাকা নেওয়া আত্মসম্মানে লাগে। কিন্তু বিচারকের উপর কথা বলতে পারি না।’’
১২ / ১৩
চলতি মাসের শুরুতেই কাশ্মীর ঘুরতে গিয়েছিলেন শোভন ও বৈশাখী। সঙ্গে গিয়েছিল বৈশাখীর মেয়ে মেহুলও। নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল ভূস্বর্গে তাঁদের বেড়ানোর ছবি।
১৩ / ১৩
নেটমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে বরফ ছোড়াছুড়ির খেলায় মাততে দেখা গিয়েছিল যুগলকে। গুলমার্গেরও বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছিলেন বৈশাখী। ফেসবুকে সেই ছবির বিবরণীতে তিনি লিখেছেন ‘কাশ্মীর ফাইল্স’। সেখান থেকে ফিরে আসার পরে এই বিবাহবিচ্ছেদের পক্ষে রায় পেলেন বৈশাখী।