কিন্তু এই লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছিল ‘এফ-৩৫ লাইটনিং টু’। এ ব্যাপারে আমেরিকা ও কানাডার মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি হওয়ার পর অসন্তোষ প্রকাশ করে সুইডিশ সংস্থা ‘সাব’। ওয়েবসাইটে যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থাটি লেখে, ‘‘কানাডার জলবায়ুর কথা ভেবে গ্রিপেনের নকশায় অনেক বদল আনা হয়েছিল। অন্যায় ভাবে এই দৌড় থেকে আমাদের ছিটকে দেওয়া হয়েছে।’’
তবে মুখে বললেও কানাডার পক্ষে ‘এফ-৩৫ লাইটনিং টু’র চুক্তি বাতিল করা মোটেই সহজ নয়। সম্প্রতি তার কারণ ব্যাখ্যা করছেন টরন্টোর ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক মার্টিন চ্যডউইক। তাঁর কথায়, ‘‘গ্রিপেন এবং ইউরোফাইটারের ইঞ্জিন-সহ একাধিক যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে আমেরিকা। চুক্তি বাতিল হলে অবশ্যই সেটা বন্ধ রাখবে ওয়াশিংটন।’’
ফরাসি জেট রাফালের ক্ষেত্রে অবশ্য এই সমস্যা প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু এই যুদ্ধবিমানটি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্য সমস্যা রয়েছে। রাফালের রাডার এবং অস্ত্র উত্তর আমেরিকার আকাশসীমাকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নয়। দ্বিতীয়ত, পরিকাঠামোগত ঘাটতি থাকায় এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিপুল টাকা খরচ করতে হতে পারে কানাডাকে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীরা প্রথম বিদেশ সফর হিসাবে সাধারণত আমেরিকাকে বেছে নেন। কিন্তু সেই রাস্তায় হাঁটেননি মার্ক কার্নি। শপথ নিয়ে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সে যান তিনি। প্যারিসে দীর্ঘ সময় ধরে প্রেসিডেন্ট মাকরেঁর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে কার্নি বলেন, ‘‘ফ্রান্সের মতো নির্ভরযোগ্য বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে হবে।’’
লকহিড মার্টিন অবশ্য জার্মানির এই ‘কিল সুইচ’-এর দাবিকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু, তার পরও এই নিয়ে ধোঁয়াশা যে পুরোপুরি কেটে গিয়েছে এমনটা নয়। এফ-৩৫ থেকে কানাডার মুখ ফেরানোর এটাও একটা কারণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ইউরোপীয় দেশগুলি সামনে চলে আসবে মোটা দাঁও মারার সুযোগ, বলছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy