প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে সুনকের হুঙ্কার ছিল, ‘‘ক্ষমতায় এলে ব্রিটেনের ৩০টি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটকে বন্ধ করে দেব।’’ বস্তুত, বিশ্বে সুনকের দেশেই সবচেয়ে বেশি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট রয়েছে। গত জুলাইয়ে কনজ়ারভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী পদে নিজের প্রচারে নেমে সুনক বলেছিলেন, ‘‘ব্রিটেন তথা বিশ্বের সুরক্ষা ও সমৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চিন এবং চিনা কমিউনিস্ট পার্টি।’’
সমালোচকদের আরও দাবি, বিদেশের মাটিতে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির হয়েও প্রচার চালায় কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটগুলি। ‘রেডিফরঋষি’ নামে প্রচারের সিংহভাগ জুড়েই ছিল এই প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে সুনকের ‘সুর চড়ানো’ মন্তব্য। ব্রিটেন ছাড়াও বিশ্বের বহু দেশই চিনের এই প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। কিন্তু কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটগুলির বিরুদ্ধে বিশ্ব জুড়ে শোরগোল কেন?
আমেরিকার মেধাস্বত্বে দখলদারি করা ছাড়াও সে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বেজিংয়ের আগ্রাসনের অভিযোগও উঠেছে। আরও অভিযোগ, এ সবের পিছনে মাধ্যম হিসাবে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। গত বছর আমেরিকার সেনেটের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড গভর্মেন্টাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, এই ইনস্টিটিউটগুলির মাধ্যমে ১,৫৪০ কোটি ডলার সরাসরি আমেরিকায় পাঠানো হয়েছিল।
চিনের অতিমারি পরিস্থিতি বিগড়ে যাওয়ার পর পর তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটগুলির বিরুদ্ধে। চিনে করোনার উপরূপ বিএফ.৭-এ সংক্রমণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। লন্ডনের এয়ারফিনিটি লিমিটেড নামে বিশ্লেষক সংস্থার দাবি, জানুয়ারিতে চিনে ৩০ লক্ষেরও বেশি দৈনিক সংক্রমণ হতে পারে। যা মার্চে বেড়ে ৪০ লক্ষে পৌঁছনোর আশঙ্কা রয়েছে। যদিও অতিমারির এই ভয়াবহতাকে খাটো করে দেখানোর কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটগুলিকে কাজে লাগানো হতে পারে বলে দক্ষিণপন্থীদের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy