Connection between Donald Trump, Pakistan Crypto Council, and the India-Pakistan War dgtl
Trump Pakistan crypto deal
পাকিস্তানের সঙ্গে পারিবারিক সংস্থার ক্রিপ্টো চুক্তি! স্বার্থরক্ষার তাগিদেই কি বার বার আসরে ‘ব্যাপারী’ ট্রাম্প?
নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের দ্বন্দ্বে হঠাৎ কেন উদ্বিগ্ন হলেন ‘সুপার পাওয়ার’ দেশের প্রেসিডেন্ট? নেপথ্যে পরমাণু যুদ্ধের আতঙ্ক, না কি স্বার্থসিদ্ধি? বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, ভারত-পাক ‘যুদ্ধ’ চলতে থাকলে ট্রাম্পের ব্যবসায়িক স্বার্থসিদ্ধির ক্ষেত্রে তা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াত।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৫ ১২:৩৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২৩
‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের বিষয়টি নিয়ে তিনিই নাকি মধ্যস্থতা করেছেন। দুই যুযুধান ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে শান্তির সওদা করেছেন, এমনটাই দাবি তুলেছিলেন আমেরিকার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক-আধ বার নয়, পর পর সাত বার সমাজমাধ্যমে দাবি তুলেছিলেন তিনি। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কের যে ভাবে অবনতি ঘটছিল, তা দেখে নাকি প্রমাদ গোনেন ট্রাম্প।
০২২৩
ট্রাম্পের এই দাবি ঘিরে নয়াদিল্লি সরাসরি ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে কোনও বিবৃতি না দিয়ে পরোক্ষ ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ভাবেই সংঘর্ষবিরতি হয়েছে। তৃতীয় রাষ্ট্রের এখানে কোনও ভূমিকা ছিল না। তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে সংঘর্ষবিরতিতে ট্রাম্পের ‘ক্ষীর খাওয়ার চেষ্টা’র নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে।
০৩২৩
নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের দ্বন্দ্বে হঠাৎ কেন উদ্বিগ্ন হলেন ‘সুপার পাওয়ার’ দেশের প্রেসিডেন্ট? নেপথ্যে পরমাণু যুদ্ধের আতঙ্ক, না কি স্বার্থসিদ্ধি? বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, ভারত-পাক ‘যুদ্ধ’ চলতে থাকলে ট্রাম্পের ব্যবসায়িক স্বার্থসিদ্ধির ক্ষেত্রে তা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াত। লড়াই থামিয়ে পাকিস্তানের রক্ষাকর্তা হিসাবে নিজেকে তুলে ধরে নাম কেনাই ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসল লক্ষ্য। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকের একাংশের মতে, আপাতত পাকিস্তানকে ‘যত্ন’ করতে উদ্যোগী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
০৪২৩
এই পদক্ষেপের পিছনে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে ‘ব্যাপারী’ ট্রাম্পের। ট্রাম্প-বিরোধীদের দাবি, তিনি ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক লাভের অঙ্ককে সব কিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে ভালবাসেন। তাঁর রাষ্ট্রনায়ক সত্তাকেও ছাড়িয়ে যায় উদ্যোগপতি সত্তাটি। আপাদমস্তক বাণিজ্যিক মনোভাব নিয়েই প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন এই বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা।
০৫২৩
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী শিবিরে ভারতের আক্রমণের ফলে পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের সামরিক ও অসামরিক এলাকায় আক্রমণ চালায়। ৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সূচনা থেকে ১০ মে যুদ্ধবিরতির মাঝের দিনগুলিতে পাল্টা ঘাত-প্রতিঘাতে ক্রমেই বাড়ছিল ভারত-পাক উত্তেজনা। টানা কয়েক দিনের সংঘাতের পর শেষমেশ ১০ মে দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। আর তার ঠিক ১০ দিন আগেই পাকিস্তানে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কাগজের কালি শুকোনোর আগেই শুরু হয় ভারত-পাক সংঘর্ষ।
০৬২৩
এই ক্রিপ্টো চুক্তিটি সম্পাদিত হয়েছিল ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল নামের একটি সংস্থা ও পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিল (পিসিসি)-এর মধ্যে। ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল (ডব্লিউএলএফ) কোনও সাধারণ ফিনটেক স্টার্টআপ নয়। কারণ সংস্থাটি চালান ট্রাম্পের পরিবারের সদস্যেরা।
০৭২৩
সংস্থাটির ৬০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে ট্রাম্পের দুই ছেলে এরিক ট্রাম্প ও জুনিয়র ট্রাম্প এবং জামাতা জেরেড কুশনারের হাতে। ক্রিপ্টো মুদ্রা কেনাবেচা করার এই সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা জ্যাকারি উইটকফ -- ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ, আস্থাভাজন সহযোগী স্টিভ উইটকফের ছেলে।
০৮২৩
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন-এর একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৬ এপ্রিল, ইসলামাবাদে পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল, মার্কিন এই বেসরকারি বাণিজ্যিক সংস্থার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানানোর জন্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরও! ডব্লিউএলএফ প্রতিনিধিদলের সদস্য ছিলেন জ্যাকারি ফোকম্যান, চেজ হেরো এবং ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের ছেলে জ্যাকারি উইটকফ। এঁরা প্রত্যেকেই ট্রাম্প ও তাঁর পরিবারের একেবারে ঘনিষ্ঠ বৃত্তের বলে পরিচিত।
০৯২৩
এত দেশ থাকতে পাকিস্তানের সঙ্গেই কেন ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে লেনদেনের চুক্তিতে হাঁটতে চাইছে ট্রাম্পদের সংস্থা? দ্বিতীয় বারের জন্য কুর্সিতে বসার পর পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করেন। সেটির নাম ‘মিম কয়েন’। বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে নেয় এই ডিজিটাল মুদ্রাটি। একক মুদ্রার মূল্য এক দিনের মধ্যে ৭৫ ডলার পর্যন্ত বেড়ে যায়। কয়েন মার্কেট ক্যাপের মূল্যায়ন বলছে, পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ২৫টি ক্রিপ্টোমুদ্রার মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ট্রাম্পের এই মুদ্রা। এই মুদ্রার মোট দাম ৮০০ কোটি ডলার।
১০২৩
ক্রিপ্টো মুদ্রার প্রবল সমর্থক ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারেও বিটকয়েন রিজ়ার্ভের কথা বলেছিলেন। নভেম্বরে দ্বিতীয় বারের জন্য তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিশেষ এই ডিজিটাল মুদ্রাটির দর হু হু করে বাড়তে থাকে। জনপ্রিয় এই ক্রিপ্টো মুদ্রার ‘কৌশলগত ভান্ডার’ (স্ট্র্যাটেজিক রিজার্ভ) গড়ে তুলতে চাইছেন তিনি।
১১২৩
ট্রাম্পের যুক্তি, ‘‘চিনের সঙ্গে ক্রমশ কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। আর তাই বিটকয়েনের ভান্ডার তৈরি করা খুবই জরুরি। এতে আগামী দিনে ক্রিপ্টো বাজারে একাধিপত্য তৈরি করতে সক্ষম হবে আমেরিকা।’’
১২২৩
মুখে সরকারি ভাবে বিটকয়েনের ভান্ডার ভরানোর কথা বললেও আসলে নিজের ও পরিবারের ব্যবসায়িক মুনাফার স্বার্থই দেখছেন মার্কিন প্রেসিডন্ট। তেমনটাই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আর তাঁর নিজের ক্রিপ্টোমুদ্রা বা পারিবারিক মালিকানার সংস্থার মুনাফার জন্য এমন একটি দেশের প্রয়োজন যার সরকার চলে আমেরিকার অঙ্গুলিহেলনে। এমন একটি দেশ যে অর্থনৈতিক ভাবে আমেরিকার উপর নির্ভরশীল। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের মতো ভঙ্গুর অর্থনীতি খুব কম দেশেই আছে।
১৩২৩
নিদারুণ আর্থিক সঙ্কটে থাকা পাকিস্তানের ত্রাতা হয়ে দাঁড়াতে পারে ক্রিপ্টো মুদ্রা। এমনটাই শাহবাজ় শরিফের সরকারকে বুঝিয়েছে আমেরিকা। সে কারণে দীর্ঘ দিনের অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে পাকিস্তান সরকার ক্রিপ্টো মু্দ্রার বেচাকেনাকে বৈধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কয়েক বছর ধরেই দেশটি নজিরবিহীন আর্থিক সঙ্কট মোকাবিলা করে চলেছে। লক্ষণীয় ভাবে কমেছে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি। ধীরে ধীরে কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ও।
১৪২৩
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ক্রিপ্টো-বান্ধব নীতির দিকে ঝুঁকে পড়া পাকিস্তানকে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাণিজ্যকে বৈধ করার দিকে এগিয়ে যেতে বাধ্য করেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। ক্রিপ্টো নিয়ে লেনদেনের নিরিখে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে পাকিস্তান নবম স্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে ‘চ্যানেলেসিস’ নামের একটি সমীক্ষক সংস্থা। সেই স্থান থেকে পাকিস্তানকে দক্ষিণ এশিয়ার ‘ক্রিপ্টো রাজধানী’তে পরিণত করাই ট্রাম্পের লক্ষ্য।
১৫২৩
এই সংস্থার সমীক্ষা জানাচ্ছে, এই তালিকায় রাশিয়া, চিনকে টপকে প্রথম স্থান দখল করেছে ভারত। বর্তমানে ভারতে ১৫ থেকে ২০ কোটি মানুষ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার মতো ক্রিপ্টো মুদ্রায় বিনিয়োগ করা শুরু করেছেন। যদিও ভারত সরকার এই লেনদেনকে এখনও আইনি বৈধতা দেয়নি। তাই ভারতকে প্রথম থেকেই পছন্দের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১৬২৩
ট্রাম্পের সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার জন্য তড়িঘড়ি তৈরি করা হয় পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিল। সেই সংস্থার সিইও এবং পাক অর্থমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয় বিলাল বিন সাকিবকে। ব্লুমবার্গ টিভির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিলাল জানিয়েছিলেন, ব্লকচেন প্রযুক্তি ও ডিজিটাল সম্পদের গ্রহণযোগ্যতাকে মেনে নিয়ে সেই পথেই হাঁটতে চায় পাকিস্তানের সরকার।
১৭২৩
কাউন্সিলের মূল লক্ষ্য হল আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং ব্লকচেন প্রযুক্তিকে পাক অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা। এ ছাড়াও একটি নিয়ন্ত্রক কাঠামো তৈরি করা, যা ব্লকচেন প্রযুক্তিকে আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করবে। পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিল-এর (পিসিসি) সিইও বিলাল মনে করেন, পাকিস্তানের ৬০ শতাংশ জনসংখ্যা যে হেতু ৩০ বছরের নীচে, তাই সে দেশে ডিজিটাল মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করার বাজার তৈরিই আছে।
১৮২৩
তাঁর দাবি, আনুমানিক দেড় থেকে দুই কোটি পাকিস্তানি ইতিমধ্যেই ডিজিটাল সম্পদের ব্যবসা শুরু করছেন। এই বাজার লক্ষ্য করেই ঝাঁপাতে চান ট্রাম্প ও তাঁর পুত্রের সংস্থাটি। কেন ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি এতটা ভরসা রাখতে চাইছে ইসলামাবাদ? কারণ পাকিস্তানকে দেওয়া ডিজিটাল মু্দ্রা নিয়ে ট্রাম্পের দেওয়া প্রস্তাবে সায় না-দিয়ে উপায় নেই শাহবাজ় শরিফের।
১৯২৩
আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের কাছে বিপুল ঋণের ভার রয়েছে পাকিস্তানের। সে দেশের ফোঁপরা অর্থনীতির রূপটি সারা বিশ্বের কাছে ইতিমধ্যেই প্রকট হয়েছে। আইএমএফের সাহায্য না পেলে দু’মাসেই দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার অবস্থা হবে ইসলামাবাদের। সেই দিক থেকে পাকিস্তানের টিকি বাঁধা আমেরিকার হাতেই। ট্রাম্প না-চাইলে আইএমএফের পক্ষ থেকে কানাকড়িও জুটবে না পাকিস্তানের। ট্রাম্পকে তুষ্ট রাখতে চাইলে পাকিস্তানের রাজি না হয়ে উপায় নেই।
২০২৩
বিলাল জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের কাছে পাকিস্তান আর্জি জানিয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করার জন্য। এর ফলে ঋণ পরিশোধের দিকটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। পাশাপাশি এর ফলে বিদেশি বিনিয়োগ যেমন বেশি আসবে, তেমনই কর পরিশোধও করা যাবে এর সাহায্যে।
২১২৩
পিসিসি এবং ডব্লিউএলএফের সে দিনের সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিলাল-সহ পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারারও। অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজ়েব ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অফ পাকিস্তানের (এসইসিপি) চেয়ারম্যান এবং স্টেট ব্যাঙ্কের গভর্নর উপস্থিত ছিলেন।
২২২৩
ট্রাম্পের সংস্থার একতরফা আগ্রহ ছিল বললে কিছুটা ভুলও বলা হবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞেরা। পাকিস্তানও এই সুযোগের ফয়দা তোলার সুযোগ খুঁজছিল। ট্রাম্পের পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে ডিজিটাল মুদ্রা চুক্তির প্রস্তাব দিয়ে আমেরিকার সর্বময় কর্তাকে নিজেদের পক্ষে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল। সেই পরিকল্পনা সফলও হয় শরিফের সরকার।
২৩২৩
তবে কি কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার জন্য ট্রাম্পের প্রস্তাব তাঁর পারিবারিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়ালের পাকিস্তানে ক্রিপ্টো চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত? একটি ‘হাই-প্রোফাইল’ ক্রিপ্টো চুক্তি, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত অচলাবস্থার পর পাকিস্তানের প্রতি ট্রাম্পের আকস্মিক সুর পরিবর্তন দেখে দু’য়ে দু’য়ে চার করার চেষ্টা করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা।