Current State of Kolkata’s Iconic Writers' Building After 13 Years of Closure dgtl
Kolkata Writers' Building
এক যুগ অতিক্রান্ত, কী অবস্থা মুখ্যমন্ত্রীর ঘর, প্রেস কর্নারের? কাজ এগোল কতটা? লালবাড়িকে কি ভুলতে বসেছে রাজ্য?
রাজ্য প্রশাসনের মুখ্য দফতরের কৌলীন্য হারানোর পর ব্যস্ততা আর চোখ পড়ে না। মহাকরণের গমগমে ভাব পুরোটাই উধাও। একতলা, দোতলার সারি সারি ঘরগুলি তালাবন্ধ। খাঁ-খাঁ করছে করিডর, বারান্দাগুলি।
নমামি চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৫ ০৮:০১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২৬
সাম্রাজ্য যত বাড়ছিল, ততই দরকার হয়ে পড়ছিল কাজ করার লোকের। তাই করণিকদের কাজ করার জন্য স্বতন্ত্র একটি বিশাল ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ১৭৭৬ সালে টমাস লিয়নের পরিকল্পনায় আজকের লাল দিঘির পাড়ে গড়ে ওঠে লাল ইটের বাড়িটি। সেখানে আগে ছিল কলকাতায় ব্রিটিশদের তৈরি প্রথম উপাসনাস্থল। সেই পরিত্যক্ত গির্জার জমিতে গড়ে ওঠে করণিকদের কর্মস্থলটি।
০২২৬
করণিকদের কাজ ছিল মূলত লেখালিখির। কলম পেষার কাজ থেকেই কোম্পানির নিচুতলার এই কর্মীদের পরিচয় ছিল ‘রাইটার’। তাঁরা যে বাড়িতে বসে কাজ করেন, সেটার নাম হয় ‘রাইটার্স বিল্ডিং’। ৩৭,৮৫০ বর্গফুট জুড়ে তৈরি হয়েছিল ভবনের মূল অংশ। কলকাতায় এটাই নাকি প্রথম তিনতলা বাড়ি। রাইটার্স বিল্ডিংয়ে প্রথমে ১৯টি থাকার ভবন ছিল।
০৩২৬
স্বাধীনতার পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রশাসনিক সদর দফতর হয়ে ওঠে এই ভবন। ইতিমধ্যে গঙ্গা দিয়ে জল গড়িয়েছে অনেক। রাজ্যে ক্ষমতা বদল হয়ে মহাকরণের দখল নেয় তৃণমূল। ২০১৩ সালে তৃণমূল সরকার মহাকরণের আমূল সংস্কারের জন্য সচিবালয় সরিয়ে নিয়ে যায় গঙ্গার ও পারে। শুরু হয় সংস্কারের কাজও।
০৪২৬
মহাকরণ ছাড়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ছ’মাসের মধ্যেই ফিরে আসছেন। দিনটা ছিল ২০১৩-এর ৫ অক্টোবর। তার পরে কেটে গিয়েছে এক দশকের বেশি সময়। গত কয়েক বছর ধরেই চলছে সংস্কারের কাজ। বহিরঙ্গ ও অন্দরমহলে সারাইয়ে হাত পড়লেও কাজ সে ভাবে এগোয়নি। কতটা বদল হয়েছে হেরিটেজ ভবনটিতে? ঘুরে দেখল আনন্দবাজার ডট কম।
০৫২৬
২০১৩ সালের অক্টোবরে শুরু হয় মহাকরণের সংস্কার পর্ব। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়-সহ সব দফতর স্থানান্তরিত হয় হাওড়ার ‘নবান্ন’ ভবনে। স্থানান্তরের আগে পর্যন্ত এই ভবনে রাজ্য সরকারের ৩৪টি দফতর ছিল। সব মিলিয়ে কর্মরত ছিলেন প্রায় ছ’হাজার কর্মী। তাঁরা স্থানান্তরিত হন নতুন কার্যালয় নবান্নে। মহাকরণ সূত্রে খবর, বর্তমানে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও সংখ্যালঘু দফতরের মন্ত্রীর কার্যালয়টি এখনও এখানেই রয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু দফতরের আধিকারিক ও কর্মীদের নিত্য হাজিরা দিতে হয় এখানেই।
০৬২৬
রাজ্য প্রশাসনের মুখ্য দফতরের কৌলীন্য হারানোর পর এখানে সেই ব্যস্ততা আর চোখে পড়ে না। মহাকরণের গমগমে ভাব পুরোটাই উধাও। একতলা, দোতলার সারি সারি ঘরগুলি তালাবন্ধ। খাঁ-খাঁ করছে করিডর, বারান্দাগুলি। মহাকরণ সংস্কারের মূল দায়িত্ব রাজ্যের পূর্ত দফতরের। লালবাড়ির মাঝের বেশ কিছু অংশ পুরোপুরি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সংস্কার কী ভাবে করা হবে সেই নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থপতি বিভাগের প্রধান মধুমিতা রায়কে।
০৭২৬
সংস্কারের কাজে হাত দেওয়ার পর বিশেষজ্ঞেরা মত দিয়েছিলেন ইট-সুরকির কাঠামোর পরীক্ষা-নিরীক্ষাতেই অনেকটা সময় লেগেছে। তাঁদের কথায়, প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো ওই ভবন যে ভিতরে ভিতরে এত জীর্ণ হয়েছে তা খালি চোখে ধরা পড়েনি। তাই খুব সাবধানে দেওয়ালের পলেস্তারা খসিয়ে সংস্কারের কাজ এগোচ্ছে।
০৮২৬
মেঝের পুরনো নকশাদার টালি চটিয়ে নতুন করে ঢালাইয়ের কাজ চলছে প্রতিটি তলায়। ভিন্রাজ্য থেকে টালিগুলি নতুন করে আনানোর বিপুল খরচ। তাই মেঝের সমস্ত টালি চটিয়ে হালফ্যাশনের টালি বসানোর কাজ চলছে। মূল ব্লকের তিনটি তলার সেই কাজ বেশ কিছুটা এগিয়েছে। ক্রিমরঙা টালিতে সেজে উঠছে টানা বারান্দার মেঝে। মন্ত্রীদের ঘরগুলিতে বসেছে কাঠের নতুন দরজাও।
০৯২৬
সরকারি আধিকারিকদের জন্য স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় মহাকরণের ছাদে তৈরি হয় সারি সারি ঘর। সে সব ঘরের আজ কোনও অস্তিত্ব নেই। ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মহাকরণ এখন যে রূপ নিয়েছে, এত দিন যাঁরা সেখানে যাতায়াত করেছেন, তাঁরা সে চেহারা দেখলে চিনতেই পারবেন না। ছাদের বাইরের কিয়দংশে পলেস্তারা চটিয়ে তা মেরামতের কাজ এগিয়েছে।
১০২৬
মহাকরণের মূল ব্লক সংস্কারের কাজ এখনও বাকি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ঘরটিতে বসতেন, বা তাঁর কার্যালয় (সিএমও) যেখানে ছিল, সেটি বর্তমানে ত্রিপল দিয়ে ঢাকা। সংস্কারের কাজ চলছে পুরোদমে। তাই সেখানে বর্তমানে কী অবস্থা তা জানা সম্ভব হয়নি। সেখানে সাধারণ মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্লকের তিনটি তলার যে সব ঘরে সরকারি আধিকারিকেরা বসতেন, সেগুলির অধিকাংশই তালাবন্ধ। কোথাও ডাঁই করে রাখা আবর্জনা ও আসবাব।
১১২৬
গ্রিক ও রোমান স্থাপত্যের সঙ্গে রাইটার্স বিল্ডিংয়ের নির্মাণশৈলীতে মিশে গিয়েছে ফরাসি প্রভাবও। ঐতিহ্যশালী এই ভবনের মাথায় রয়েছে প্রাচীন রোমান সভ্যতার জ্ঞান, যুদ্ধ ও ন্যায়ের দেবী মিনার্ভার মূর্তি। এ ছাড়াও এই ভবনে আছে প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার দেব-দেবীদের মূর্তি।
১২২৬
ভবনের শীর্ষে থাকা সেই মূর্তিগুলিতে অযত্নের ছাপ স্পষ্ট। এক দশকের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই মূর্তির গা থেকে মুছে গিয়েছে সাদা রং। বিবর্ণ হয়ে পড়েছে মূর্তিগুলি। অবহেলার কারণে মূর্তির গায়ে জন্মেছে বট-অশ্বত্থের চারা। বহু দিন তাদের গায়ে পড়েনি রঙের পোঁচ।
১৩২৬
স্বাধীনতার পর বিধানচন্দ্র রায়ের আমল থেকে মহাকরণের মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় তৈরি হয়েছে নতুন আরও চারটি ভবন। ওই চারটি ভবন ভেঙে ফেলার কথা বলা হয়েছে। তার বদলে পিছনের ব্লকগুলিকে আরও চওড়া করে মহাকরণকে একটি সার্বিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।
১৪২৬
সেই ফাঁকা অংশে একতলা ভবন তৈরি করে তা জুড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে মেন ব্লক এবং পিছনের ব্লকের সঙ্গে। ওই ভবনগুলিতে পার্কিং, ভিআইপি-লাউঞ্জ, ক্যান্টিন, রেস্তরাঁ ইত্যাদি রাখার প্রস্তাব রয়েছে। উপরের ছাদে তৈরি হবে বাগান। একটি অংশে একটি জাদুঘর তৈরির পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। মহাকরণের একতলার ক্যান্টিনগুলি অবশ্য এখনও চলছে বহাল তবিয়তে। সকাল থেকেই অল্প অল্প ভিড় জমে খাবার জায়গাগুলিতে।
১৫২৬
২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর দোতলায় সিঁড়ি দিয়ে উঠে ডান দিকের অংশে নতুন করে প্রেস কর্নারটি তৈরি করা হয়। তার আগে মহাকরণের প্রেস কর্নার ভেঙে দিয়েছিল বাম সরকার। সংস্কারের ঠেলায় সরে গিয়েছে সাংবাদিকদের বসার জায়গাটিও। সচিবালয় নবান্নে স্থানান্তরিত হওয়ার পর সেই প্রেস কর্নারটিকেও এক তলার একটি ঘুপচি ঘরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
১৬২৬
রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সঙ্গে নাম জড়িয়ে রয়েছে এক রক্তক্ষয়ী পর্বের। বিশেষ উপলক্ষ ছাড়া শহরবাসী সেই দিনের কথা বিস্মৃত হলেও রাইটার্স বিল্ডিংয়ের গথিক বারান্দা কিন্তু মনে রেখেছে ১৯৩০ সালের ৮ ডিসেম্বরের কথা। রাইটার্সের অলিন্দে ব্রিটিশ পুলিশবাহিনীর সঙ্গে চলেছিল এক অসম যুদ্ধ। অত্যাচারী শাসকের হাতে ধরা দিতে চাননি বলে বাদল গুপ্ত আত্মঘাতী হন পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে। বিনয় এবং দীনেশ নিজেদের বন্দুক থেকে নিজেদের গুলি করেন। ১৩ ডিসেম্বর হাসপাতালে মৃত্যু হয় বিনয়ের।
১৭২৬
মহাকরণের অলিন্দযুদ্ধের স্মৃতিতে যে ফলকটি রয়েছে সেটি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু উন্মোচন করেছিলেন। ২০১৩ সালের আগে সেখানে মন্ত্রীদের ঘরের সামনে ভিড় করতেন সাক্ষাৎপ্রার্থীরা। সেই ঐতিহাসিক যুদ্ধের ফলকটি যথাস্থানে রয়েছে। তবে সেখানে আর ভিড় জমান না কেউ। শূন্য করিডরের ধারে রাখা ফাঁকা লোহার সারি সারি আসন।
১৮২৬
মহাকরণের প্রাচীন লিফ্টিগুলির এখনও দিব্যি কর্মক্ষম। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মহাকরণে এসে লিফ্টে করে উঠে পড়তেন উপরে এবং করিডর দিয়ে হেঁটে ঢুকতেন নিজের ঘরে। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কার্যভার নেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওঠানামার জন্য সিঁড়ি ও লিফ্ট দুই-ই ব্যবহার করতেন। বিভিন্ন ব্লকে বসানো পুরনো সেই লিফ্টগুলির আয়ুও ফুরোনোর পথে। ইতিমধ্যেই ভিআইপি লিফ্টটিকে (মুখ্যমন্ত্রী যেটি ব্যবহার করেন) সরিয়ে স্বয়ংক্রিয় আধুনিক লিফ্ট জায়গা করে নিয়েছে। ধীরে ধীরে বাকি লিফ্টও বদলে ফেলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
১৯২৬
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের একটি আবক্ষ মূর্তি রয়েছে মহাকরণে। মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের উল্টো দিকে। জ্যোতি বসুর আমল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সেটি মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের কাছেই রাখা থাকত। সংস্কারের ঠেলায় সেই মূর্তিকেও ঠাঁইনাড়া হতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের বিপরীত দিকের বিশাল ফাঁকা করিডরের এক প্রান্তে সরিয়ে রাখা হয়েছে মূর্তিটি। সেখানেও অবহেলার ছাপ স্পষ্ট।
২০২৬
মহাকরণের সামনের বাড়িটির তিনতলার উপরে, নিচু ছাদে ব্রিটিশ আমলের একটি বিশাল ঘরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলেই। ২ হাজার বর্গফুটের সেই ঘরে তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল সরকারি পুরনো মামলার স্তূপীকৃত কাগজ ও ফাইলপত্র। সে সব কাগজে হাত পড়ত না।
২১২৬
২০১৮ সালে ছাদে সংস্কারের কাজ করার সময়ে সেই ঘরটি খোলা হয়। সেই কাজ করতে গিয়ে পূর্ত দফতরের কর্তারা জানতে পারেন, এটি ছিল ব্রিটিশ আমলের একটি নাচঘর। তখন এর উপরের তলায় থাকতেন বিলেত থেকে আসা সাহেবরা। সরকারি কর্তাদের ধারণা, তাঁদের বিনোদনের জন্যই তৈরি করা হয়েছিল এই নাচঘর। ধুলোয় ঢেকে গিয়েছিল ঘরের কাঠের মেঝে। সেই ঘরেরও আমূল সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২২২৬
ওই নাচঘরকে ‘কনফারেন্স রুম’-এ পরিণত করার বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ত দফতর। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য আলাদা লিফ্ট বসানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। ছাদে ছোট ছোট খুপরির মতো ঘরে সরকারি আধিকারিকদের বসার জন্য যে ঘরগুলি ছিল সেগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
২৩২৬
সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে কাঠ ও প্লাইউডের অস্থায়ী ঘরগুলোও ভাঙা হয়েছে। বাম জমানায় বিভিন্ন দফতরকে জায়গা দিতে মহাকরণের অন্দরে বাড়তি কিছু ঘর তৈরি হয়েছিল। লালবাড়ি সংস্কারের তাগিদে সেগুলিকেও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
২৪২৬
কলকাতা থেকে সাগর ডিঙিয়ে কালাপানি পার হওয়া যাত্রীদের তালিকা, বিশ শতক থেকে সরকার অধিগৃহীত যাবতীয় জমির নথি, হাওড়া ব্রিজের মূল নকশা, প্রথম দিন থেকে প্রকাশিত ক্যালকাটা গেজেট, ব্রিটিশ আমলে স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিবিধ সরকার-বিরোধী খবরের ইংরেজি অনুবাদ, এমনকি ১৯৫২ সাল থেকে পরের ৫০ বছরে রাজ্যের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা, এ সবই মজুত ছিল মহাকরণে রাজ্য লেখ্যাগার বা মহাফেজখানার ভাঁড়ারে।
২৫২৬
মহাকরণের স্থাপত্যের ঐতিহ্য বাঁচাতে এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি স্থানান্তরিত করা হয়েছিল ২০১৪ সালেই।
২৬২৬
১০ বছর আগে ২০১৫ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি কমিটি রিপোর্ট দেয় বর্তমান সরকারকে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সরকার অভিজ্ঞ সংস্থা বাছাই করে। তার পর মহাকরণ সংস্কারের ‘আসল কাজ’ শুরু হয়। সেই কাজ শেষ হতে হতে বছর দুয়েক লাগবে, এমনটাই মনে করা হয়েছিল। দশক পার করেও ‘আসল কাজের’ চার ভাগের এক ভাগও শেষ করতে পারেনি ভারপ্রাপ্ত সংস্থা। সাবেক রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতরের সংস্কার কবে শেষ হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।