নব্বইয়ের দশকে এ দেশে আর্থিক সংস্কারের কাণ্ডারি হিসাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিংহ রাওয়ের নাম করা হয়। সেই সঙ্গে নাম উঠে আসে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং টেলিকমমন্ত্রী সুখরামের। তবে আর্থিক সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেও টেলিকম দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় বরাবরের মতো কলঙ্কিত হয়েছিলেন সুখরাম।
সে সময় ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমিউনিকেশনস (ডট)-এর এক আধিকারিক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ফোন করে দাবি করেন, টেলিকম যন্ত্রপাতি সরবরাহ করার জন্য হায়দরাবাদের অ্যাডভান্সড রেডিয়ো মাস্টার্স (আর্ম) নামে এক সংস্থা-সহ ডটকে এক কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা দিয়েছে টেলিকম মন্ত্রক। এবং এ সবই হয়েছে টেলিকমমন্ত্রী সুখরামের আমলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আধিকারিকের আরও দাবি ছিল, নিজের অভিযোগের সমর্থনে প্রমাণ রয়েছে তাঁর কাছে।
১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আর্ম নামে নিজের সংস্থাটি খোলেন তিনি। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯০-’৯১ সালে সাত কোটি টাকার টেলিকম যন্ত্রপাতি বিক্রি করেছিল আর্ম। তার পরের বছর বিক্রি ১৩ গুণ হয়ে ৯০ কোটিতে পৌঁছয়। ’৯৩-এ বিজয়নগর ইন্টিগ্রেটেড স্টিল প্ল্যান্ট গড়ার কথা ঘোষণা করেন। এত কম সময়ের মধ্যে আড়াই হাজার কোটি টাকার ওই বিনিয়োগের তথ্য পেয়ে চমকে যান সিবিআই গোয়েন্দারা।
সুখরামের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল হরিয়ানা টেলিকম লিমিটেড (এইটিএল)-কে টেলিকম চুক্তি পাইয়ে দেওয়ার বদলে তিন লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন তিনি। সরকারি পদের অপব্যবহার করার অভিযোগও উঠেছিল। তার জেরেই ওই সংস্থাটি ৩০ কোটি টাকার কেব্ল পাতার চুক্তি পায়। ওই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে পাঁচ বছরের জেল হয় সুখরামের। তবে সুখরামের বাড়ি থেকে উদ্ধার বাকি কোটি কোটি টাকার উৎস কী? সে জবাব এখনও অজানা সিবিআইয়ের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy