From Patton tank to F-16 fighter jets, which deadliest weapons US supplied to Pakistan dgtl
US Weapons for Pakistan
ট্যাঙ্ক, ডুবোজাহাজ থেকে এফ-১৬! বার বার ভয়ঙ্কর অস্ত্র দিয়েছে আমেরিকা, পাকিস্তান ব্যবহার করেছে ভারতের বিরুদ্ধে
গত শতাব্দীর ’৫০-এর দশক থেকে পাকিস্তানকে একের পর এক অত্যাধুনিক হাতিয়ার সরবরাহ করে চলেছে আমেরিকা। সেই তালিকায় রয়েছে প্যাটন ট্যাঙ্ক থেকে শুরু করে গাজ়ি ডুবোজাহাজ এবং এফ-১৬ লড়াকু জেট। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রতিটা মারণাস্ত্রই ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে ইসলামাবাদ।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৫ ১০:০৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
এক দিকে ভারতের সঙ্গে শুল্ক-যুদ্ধ। অন্য দিকে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে মাখামাখি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক দিল্লি-বিরোধী পদক্ষেপে প্রবল অস্বস্তিতে কেন্দ্র। তবে আমেরিকার এই ইসলামাবাদ ‘প্রেম’ কিন্তু নতুন নয়। গত শতাব্দীর ’৫০-এর দশক থেকে রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলদের হাতিয়ার সরবরাহ করে আসছে ওয়াশিংটন। সেই অস্ত্র পাক সেনাশাসকেরা পূর্বের প্রতিবেশী তথা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রিক দেশটির উপরে প্রয়োগ করবে জেনেও এতে পিছপা হয়নি যুক্তরাষ্ট্র।
০২২০
পাকিস্তানকে সরবরাহ করা মার্কিন হাতিয়ারের তালিকায় প্রথমেই আসবে প্যাটন ট্যাঙ্কের কথা। ১৯৬০-এর দশকে হওয়া প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুযায়ী অত্যাধুনিক হাতিয়ারটি হাতে পায় ইসলামাবাদ। যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি সেনা অফিসার জেনারেল জর্জ এস প্যাটনের নামানুসারে তৈরি ওই ট্যাঙ্ককে তৎকালীন সময়ের ‘গেম চেঞ্জার’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। সাবেক সেনাকর্তাদের বড় অংশই মনে করেন, বাহিনীর বহরে প্যাটন শামিল হওয়ার পরেই ভারত আক্রমণের পরিকল্পনা ছকে ফেলে ইসলামাবাদ।
০৩২০
১৯৬৫ সালের যুদ্ধে এ দেশের সেনাকে পর্যুদস্ত করতে প্যাটন ট্যাঙ্ক নিয়ে পঞ্জাবের তরণ তারণে ঢুকে পড়ে পাক সেনা। ইসলামাবাদের এই সামরিক অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন জিব্রাল্টার’। প্রাথমিক ভাবে খেমকরণ এলাকা দখল করতে সমর্থ হন রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলরা। এর পর পঞ্জাবের আসাল উত্তার গ্রামে পাল্টা প্রত্যাঘাত হানে ভারতীয় বাহিনী। সেখানে তিন দিনের লড়াইয়ে হার মানে পাক ফৌজ। এর পরেই দু’পক্ষের লড়াই অন্য দিকে বাঁক নিয়েছিল।
০৪২০
পঞ্জাবের আসাল উত্তারের যুদ্ধে পাকিস্তানের ৭০টি প্যাটন ট্যাঙ্ক ধ্বংস করে ভারতীয় সেনার আর্মড কোর। ওই লড়াইয়ে মাত্র ১২টা ট্যাঙ্ক হারিয়েছিল নয়াদিল্লি। ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও মার্কিন প্যাটন ট্যাঙ্কের উপরে ভরসা রেখেছিল ইসলামাবাদের বাহিনী। রাজস্থান সীমান্তের লঙ্গেওয়ালা দিয়ে এ দেশে জোরালো আক্রমণ শানানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু নয়াদিল্লির স্থলসেনা এবং বিমানবাহিনীর প্রত্যাঘাতে সেখানেও বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে পাকিস্তান।
০৫২০
প্যাটন ট্যাঙ্কের পরে আমেরিকার সরবরাহ করা দ্বিতীয় বড় হাতিয়ারের মধ্যে আসবে ‘এফ-৮৬ স্যাবার’ লড়াকু জেট। ১৯৫৬ সালে ওই যুদ্ধবিমানকে বহরে শামিল করে ইসলামাবাদের বিমানবাহিনী। ’৬৫ সালের যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট জেটগুলি ভারতের রক্তচাপ বাড়িয়েছিল। মাঝ-আকাশের ডগফাইটে নয়াদিল্লির ৬০টির বেশি লড়াকু জেটকে ধ্বংস করে পাক বায়ুসেনার ‘এফ-৮৬ স্যাবার’। উল্টো দিকে ভারতের প্রত্যাঘাতে ভূপতিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অন্তত ২০টি যুদ্ধবিমান।
০৬২০
’৬৫-র যুদ্ধে পাকিস্তানের অন্যতম বড় সমস্যা ছিল লড়াকু জেটের সংখ্যা। ওই সময়ে মুখোমুখি সংঘাতে বাহিনীর বহরে থাকা প্রায় সব ক’টি ‘এফ-৮৬ স্যাবার’ হারিয়ে আতান্তরে পড়ে ইসলামাবাদ। অন্য দিকে, সংখ্যায় বেশি যুদ্ধবিমান হারিয়েও আকাশের দখল রাখতে পেরেছিল নয়াদিল্লি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লড়াইয়ের গতি বদলের ক্ষেত্রে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
০৭২০
১৯৬৩ সালে পাকিস্তানকে ডিজেল-ইলেকট্রিক চালিত হামলাকারী ডুবোজাহাজ ‘ইউএসএস ডায়াব্লো’ লিজ়ে দেয় আমেরিকা। ইসলামাবাদের নৌবাহিনী এর নতুন নামকরণ করে ‘পিএনএস গাজ়ি’। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ যুদ্ধের সময়ে ভারতের বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’কে ডোবাতে সংশ্লিষ্ট ডুবোজাহাজটিকে বঙ্গোপসাগরে পাঠান রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তারা। কিন্তু, ৪ ডিসেম্বর বিশাখাপত্তনমের কাছে রহস্যজনক ভাবে ‘গাজ়ি’র সলিলসমাধি ঘটে। ডুবোজাহাজটির ধ্বংসের কারণ নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
০৮২০
পাকিস্তানের দাবি, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ‘পিএনএস গাজ়ি’র ভিতরে বিষাক্ত গ্যাস জমা হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই সমুদ্রের গভীরে ওই ডুবোজাহাজে বিস্ফোরণ ঘটে। অন্য দিকে ভারত জানায়, ‘আইএনএস রাজপুত’ নামের একটি ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ থেকে ‘গাজ়ি’কে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। সেই আক্রমণেই ধ্বংস হয় ওই সময়কার অত্যাধুনিক মার্কিন ডুবোজাহাজ।
০৯২০
’৭১ সালের যুদ্ধের পর অবশ্য পরমাণু অস্ত্রের গবেষণাকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও পাকিস্তানের সম্পর্কে চিড় ধরে। ওই সময়ে আণবিক হাতিয়ার তৈরির কর্মসূচি শুরু করেন ইসলামাবাদের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টো। এতে প্রমাদ গোনে যুক্তরাষ্ট্র। বার বার সেনাশাসনে চলে যাওয়া ভারতের পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটির হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকুক, তা চায়নি ওয়াশিংটন। ফলে ১৯৭৪ সালে ওই কর্মসূচি বন্ধ করতে পাক সরকারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন প্রশাসন।
১০২০
১৯৭৯ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান আক্রমণ করলে ফের কাছাকাছি চলে আসে আমেরিকা ও পাকিস্তান। হিন্দুকুশের কোলের দেশটি থেকে মস্কোর ফৌজকে তাড়াতে ‘অপারেশন সাইক্লোন’ শুরু করে মার্কিন গুপ্তচরবাহিনী সিআইএ (সেন্ট্রাল ইনটেলিজ়েন্স এজেন্সি)। এর জন্য ইসলামাবাদের খোলা সমর্থন পেয়েছিল ওয়াশিংটন। বিনিময়ে অধিকাংশ নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেয় আমেরিকা। ফলে পরমাণু হাতিয়ার তৈরির কর্মসূচিতে গতি আনতে সক্ষম হন তৎকালীন সেনাশাসক পাক প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়া-উল-হক।
১১২০
১৯৯৮ সালে বালোচিস্তানের পাহাড়ে পরমাণু বোমার সফল পরীক্ষা চালায় পাকিস্তান। এর জেরে আবারও যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসলামাবাদের সম্পর্কে আসে শীতলতা। ওই সময়ে আমেরিকার কড়া নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়ে পাক সরকার। কিন্তু ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার বুকে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলা চালায় ‘আল-কায়দা’। সঙ্গে সঙ্গেই আফগানিস্তান আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। ফলে ফের এক বার কপাল খোলে ইসলামাবাদের।
১২২০
পাকিস্তানের গদিতে তখন আর এক সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ় মুশারফ। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যাবতীয় দূরত্ব মিটিয়ে ফেলে আফগানিস্তান হামলার জন্য মার্কিন সেনাকে রাস্তা দিতে রাজি হয়ে যান তিনি। ওই সময়ে ইসলামাবাদের নৌসেনা ও বায়ুসেনা ঘাঁটি যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার করেছিল আমেরিকা। ফলে ৮০ ও ৯০-এর দশকে ওয়াশিংটনের অস্ত্র পেতে রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলদের তেমন কোনও সমস্যা হয়নি।
১৩২০
১৯৮৩ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা লকহিড মার্টিনের তৈরি ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমান হাতে পায় পাক বায়ুসেনা। পরবর্তী কালে হামলাকারী কোবরা হেলিকপ্টার, মালবাহী সামরিক বিমান ‘সি-১৩০জে হারকিউলিস’ এবং শত্রুর লড়াকু জেটের সঙ্গে ডগফাইটের জন্য প্রয়োজনীয় ‘অ্যামরন’ ক্ষেপণাস্ত্রও ইসলামাবাদকে সরবরাহ করে আমেরিকা। তবে সেখানে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
১৪২০
২১ শতকের গোড়া থেকেই চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় ইসলামাবাদ। এতে বেজায় ক্ষুব্ধ হয় আমেরিকা। ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে কমান্ডো পাঠিয়ে ৯/১১ হামলার মূল চক্রী তথা ‘আল কায়দা’র শীর্ষনেতা ওসামা বিন-লাদেনকে নিকেশ করে যুক্তরাষ্ট্র। পরবর্তী দশকগুলিতে রাওয়ালপিন্ডিকে হাতিয়ার সরবরাহ কমিয়ে দেয় মার্কিন প্রশাসন।
১৫২০
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে বিস্ফোরকবোঝাই গাড়িতে ফিদায়েঁ হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদের এক জঙ্গি। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান আধা সেনার ৪০ জওয়ান। এর পরই প্রতিশোধ নিয়ে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার বালাকোটে জইশের ক্যাম্পে বোমাবর্ষণ করে ভারতীয় বায়ুসেনা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা প্রত্যাঘাত শানানোর চেষ্টা করে ইসলামাবাদের বিমানবাহিনী।
১৬২০
ওই সময়ে মাঝ-আকাশের লড়াইয়ে পাকিস্তানের একটি ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করেন রাশিয়ার তৈরি অনেক পুরনো ‘মিগ-২১ বাইসন’ লড়াকু জেটে থাকা ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। কিন্তু, ওই সংঘাতে তাঁর নিজের বিমানটিও নষ্ট হয়ে যায়। এর জন্য আকাশ থেকে আকাশের ‘অ্যামরন’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল ইসলামাবাদ।
১৭২০
পাক বায়ুসেনাকে ‘এফ-১৬’ সরবরাহ করার সময় আমেরিকার শর্ত ছিল, কেবলমাত্র জঙ্গি দমনে এটি ব্যবহার করতে পারবে ইসলামাবাদ। ফলে বালাকোট-পরবর্তী দুই দেশের আকাশযুদ্ধের খবর প্রকাশ্যে আসার পর প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছরের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন সরকার।
১৮২০
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ঠিক এক মাসের মাথায় (পড়ুন ফেব্রুয়ারি) ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পাকিস্তানকে প্রায় ৪০ কোটি ডলার অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে ইসলামাবাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উপর থেকে এখনও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি আমেরিকা।
১৯২০
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা অবশ্য মনে করেন, কিছুটা দায়ে পড়েই পাকিস্তানকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শতাব্দীর ৫০-এর দশকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ঠান্ডা যুদ্ধে জড়িয়েছিল আমেরিকা। ওই সময়ে এশিয়ায় মস্কোর প্রভাব ঠেকাতে ১৯৫৫ সালে ‘কেন্দ্রীয় চুক্তি সংস্থা’ বা সেন্টো (সেন্ট্রাল ট্টিটি অর্গানাইজ়েশন) এবং ১৯৫৪ সালে ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া চুক্তি সংস্থা’ বা সিয়োটা (সাউথ-ইস্ট এশিয়া ট্রিটি অর্গানাইজ়েশন) তৈরি করে মার্কিন সরকার।
২০২০
আমেরিকার নেতৃত্বাধীন এই দুই সামরিক জোটের সদস্য ছিল পাকিস্তান। ফলে ইসলামাবাদকে অত্যাধুনিক হাতিয়ার সরবরাহে একরকম বাধ্য ছিল ওয়াশিংটন। গত ৫ অগস্ট পুরনো সংবাদপত্রের ছবি দিয়ে এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করে ভারতীয় সেনার ‘ইস্টার্ন কমান্ড’। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে ২০০ কোটি ডলারের মার্কিন অস্ত্র পাকিস্তানকে সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে।