Advertisement
০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
Japan Changing Nuclear Doctrine

চিন-কোরিয়ার দৌরাত্ম্য, দোসর ‘অস্থির’ ট্রাম্প! ‘আর নয় হিরোশিমা’ স্লোগান ভুলে পরমাণু বোমা বানাতে কোমর বাঁধছে জাপান?

পরমাণু অস্ত্রের ক্ষেত্রে নীতি বদলাচ্ছে জাপান। ‘আর নয় হিরোশিমা’ স্লোগান ভুলে এ বার ওই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ তৈরির দিকে নজর দিতে পারে টোকিয়ো। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটির এই পরিকল্পনার নেপথ্যে মার্কিন উদাসীনতা, না কি চিনা দৌরাত্ম্য? উঠছে প্রশ্ন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৫ ০৯:৫৪
Share: Save:
০১ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

ফের জাগছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রের ‘ঘুমন্ত সিংহ’রা। জোড়া পরমাণু হামলা সহ্য করে গত আট দশকে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। তাই ‘আর নয় হিরোশিমা’ স্লোগান ভুলে এ বার আণবিক বোমা তৈরিতে মন দিতে পারেন ‘উদীয়মান সূর্যের দেশ’টির তাবড় প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা অবশ্য এর জন্য দুষছেন ‘সুপার পাওয়ার’ আমেরিকাকেই। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে জাপান পরমাণু বোমা তৈরি করলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার ‘শক্তির ভরকেন্দ্র’ যে উল্টে যাবে, তা বলাই বাহুল্য।

০২ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

১৯৪৫ সালের ৬ ও ৯ অগস্ট। জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে প্রথম বার পরমাণু হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ফেলা বোমা দু’টির নাম ছিল ‘লিট্‌ল বয়’ এবং ‘ফ্যাট ম্যান’। আমেরিকার এই আণবিক আক্রমণে তাৎক্ষণিক ভাবে প্রাণ হারান ২.১৪ লক্ষের বেশি মানুষ। এর পরই নিঃশর্তে ওয়াশিংটনের কাছে আত্মসমর্পণ করে টোকিয়ো। শেষ হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। লড়াই থামার পর ‘শত্রু’ আমেরিকার সঙ্গেই একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সেরে ফেলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ওই দ্বীপরাষ্ট্র।

০৩ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের জেরে পূর্ব এশিয়ায় জাপানি সাম্রাজ্য রাতারাতি ছোট হয়ে গিয়েছিল। টোকিয়োর হাতছাড়া হয় কোরীয় উপদ্বীপ এবং মাঞ্চুরিয়া। স্বাধীনতা লাভ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশও। ওই সময়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটির অর্থনীতির অবস্থা ছিল বেহাল। ফলে ১৯৫১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তিতে আবদ্ধ হয় ‘উদীয়মান সূর্যের দেশ’। আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোতে হওয়া ওই সমঝোতা অনুযায়ী জাপানের যাবতীয় নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করে ওয়াশিংটন।

০৪ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

সান ফ্রান্সিসকো চুক্তির শর্ত মেনে পরবর্তী দশকগুলিতে দেশের মধ্যে মার্কিন ফৌজকে একাধিক সামরিক ঘাঁটি তৈরির অনুমতি দেয় টোকিয়ো। শুধু তা-ই নয়, সেনাবাহিনীর খরচ অনেকটা কমিয়ে আর্থিক উন্নতির দিকে নজর দেয় জাপানি সরকার। ফলে আণবিক আক্রমণের ঘা সহ্য করেও খুব অল্প দিনের মধ্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে দুনিয়াকে নেতৃত্ব দিতে থাকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ওই দ্বীপরাষ্ট্র। বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম থেকে শুরু করে বুলেট ট্রেন, একাধিক চমকে দেওয়ার মতো পরিষেবা চালু করতে সক্ষম হয় তারা।

০৫ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

কিন্তু, তাল কাটে চিনের উত্থানে। ২০১০ সালের পর থেকে জাপানি দ্বীপগুলিতে ‘দৌরাত্ম্য’ শুরু করে আগ্রাসী বেজিঙের ‘পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএ নৌবাহিনী। সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জকে নিজের বলে দাবি করে বসে তারা। নাম বদলে ড্রাগন ওই এলাকাকে বলে ‘দিয়াওউ তাই’। টোকিয়োর অভিযোগ, বর্তমানে ঘন ঘন তাদের জলসীমায় ঢুকছে চিনা রণতরী। জাপান সাগরের ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ বা ইইজ়েডের (এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জ়োন) সম্পদ কব্জা করার দিকে নজর রয়েছে তাদের। সব জেনেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আমেরিকা ‘নিশ্চুপ’ থাকায় ক্ষোভ বেড়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ওই দ্বীপরাষ্ট্রের।

০৬ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

চিনের পাশাপাশি জাপানের দ্বিতীয় উদ্বেগের জায়গা হল ‘ডেমোক্র্যাটিক পিপল্‌স রিপাবলিক অফ কোরিয়া’ বা ডিপিআরকে (পড়ুন উত্তর কোরিয়া)। বেজিঙের মতো পরমাণু হাতিয়ার রয়েছে পিয়ংইয়ঙের হাতেও। বর্তমানে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে নজর দিয়েছেন সেখানকার সুপ্রিম লিডার কিম জং-উন। পাশাপাশি আণবিক অস্ত্রভান্ডারও বাড়াচ্ছেন তিনি। পুঁজিবাদী অর্থনীতির দেশ জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রকে ‘শত্রু’ বলে একরকম ঘোষণাই করে রেখেছেন সমাজতান্ত্রিক কিম। টোকিয়ো এবং ওয়াশিংটনকে বহু বার পরমাণু হামলার হুমকি দিতেও শোনা গিয়েছে তাঁকে।

০৭ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

শেষ পাঁচ বছর পরমাণু হাতিয়ার বহনে সক্ষম অন্তত ৭০০ দূরপাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছেন কিম। সেগুলির কোনওটা আছড়ে পড়েছে জাপান সাগরে, তো কোনওটা আবার প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটির আকাশসীমা লঙ্ঘন করে টপকে গিয়ে পড়েছে সমুদ্রে। এতে আতঙ্কিত টোকিয়ো বার বার সুরক্ষার জন্য পাল্টা আণবিক হাতিয়ার মোতায়েনের জন্য চাপ দেয় আমেরিকাকে। কিন্তু, তাতে তেমন গা করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

০৮ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

১৯৭০ সালে ‘পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি’ বা এনপিটিতে (নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি) সই করে জাপান। ফলে আণবিক অস্ত্রের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের উপরে টোকিয়োর নির্ভরশীলতা আরও বেড়ে যায়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটি কখনওই ভয়ঙ্কর ওই মারণাস্ত্র তৈরির রাস্তায় হাঁটবে না বলে মনে করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের দাবি, বর্তমানে ধীরে ধীরে সেই অবস্থান থেকে সরছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রের সরকার। নিরাপত্তার স্বার্থে ওই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ তৈরির প্রয়োজন রয়েছে বলে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে সেখানে।

০৯ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

বিশেষজ্ঞদের বড় অংশই মনে করেন, জাপানের পরমাণু শক্তিধর হয়ে ওঠার ইচ্ছার নেপথ্যে অনুঘটকের ভূমিকা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় বারের জন্য কুর্সিতে বসে তিনি হঠাৎই সান ফ্রান্সিসকো চুক্তির কথা অস্বীকার করে বসেন। প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘অন্য দেশকে রক্ষার জন্য কেন প্রাণ দেবে আমাদের দেশের সেনা? এর জন্য কোটি কোটি ডলার খরচ করতে হচ্ছে। এই ধরনের চুক্তি একমাত্র নির্বোধরাই করতে পারেন।’’

১০ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

ট্রাম্পের ওই মন্তব্যের পর রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় জাপানের। আমেরিকার নীতি নিয়ে টোকিয়োর মনে দানা বাঁধে সন্দেহ। রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইজ়রায়েল-ইরান যুদ্ধে এই সন্দেহ আরও পোক্ত হয়েছে। প্রথমটির ক্ষেত্রে লড়াইয়ের গোড়ায় মস্কোর বাহিনীকে রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে বিপুল হাতিয়ার পেয়েছিল কিভ। কিন্তু ক্ষমতায় এসে সেটা বন্ধ করেন ট্রাম্প। পরে ফের ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর মধ্যে আবার সংঘাত থামাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠকে বসছেন তিনি। ইউক্রেনকে ব্রাত্য রেখেই হবে ওই আলোচনা।

১১ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

ইজ়রায়েল-ইরান সংঘাতের ক্ষেত্রে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের সময়ে মার্কিন বায়ুসেনাকে কাজে লাগাননি ট্রাম্প। ফলে ইহুদি ভূমির একাধিক শহরকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র (শব্দের পাঁচ গুণের চেয়ে বেশি গতিশীল) দিয়ে নিশানা করতে সক্ষম হয় শিয়া ফৌজ। লড়াইয়ের একেবারে শেষ লগ্নে মঞ্চে অবতীর্ণ হয় আমেরিকার বিমানবাহিনী। তেহরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলিকে ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমায় নিশানা করে তারা।

১২ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

ইরানে মার্কিন বায়ুসেনার অভিযান শেষ হতে না হতেই একতরফা ভাবে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করে দেন ট্রাম্প। ফলে তেহরান যে আর কখনওই পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে না, এমনটা নয়। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, শান্তি স্থাপনের নামে ইজ়রায়েলের নিরাপত্তাকে একরকম নিলামেই চড়িয়েছেন বর্ষীয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই সব ঘটনাই জাপানকে পরমাণু শক্তিধর হতে উৎসাহিত করছে বলে স্পষ্ট করেছেন তাঁরা।

১৩ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় এই ইস্যুতে মুখ খোলেন জাপানি প্রতিনিধি। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাপী পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নীতি গ্রহণ করা যে অবাস্তব, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তাই আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে পারে বড় বদল। এর থেকে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলির চোখ ফিরিয়ে নেওয়া উচিত নয়। তাদের থেকে সুরক্ষা পাব, এটা আশা রাখি। কিন্তু, পরিস্থিতি যে ভাবে খারাপ হচ্ছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন।

১৪ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

জাপানের খুব কাছের তিন প্রতিবেশীর হাতে রয়েছে পরমাণু হাতিয়ার। চিন ও উত্তর কোরিয়া ছাড়া সেই তালিকায় রয়েছে রাশিয়া। ১৯০৪ সাল থেকে মস্কোর সঙ্গেও একাধিক সংঘাতে জড়িয়েছে টোকিয়ো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীনও যুযুধান দু’পক্ষের মধ্যে কম লড়াই হয়নি। ইউক্রেনের রণাঙ্গনে সরাসরি সেনাবাহিনী পাঠিয়ে ক্রেমলিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে পিয়ংইয়ং। ফলে মার্কিন নির্ভরশীলতা কাটিয়ে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে শুরু করেছে ‘উদীয়মান সূর্যের দেশ’।

১৫ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার জমানায় প্রথম বার প্রতিরক্ষা খরচ বৃদ্ধি করে জাপান। বর্তমানে চতুঃশক্তিজোট বা কোয়াডের সদস্যপদ রয়েছে টোকিয়োর। এর অন্যতম সদস্যরাষ্ট্র হল ভারত। ফলে নয়াদিল্লির সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক বাড়ানোর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ওই দ্বীপরাষ্ট্র। পাশাপাশি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং অত্যাধুনিক ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ বা এয়ার ডিফেন্স তৈরির দিকেও নজর রয়েছে তাদের।

১৬ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

ভারতকে বাদ দিলে সামরিক শক্তিবৃদ্ধিতে ‘রিপাবলিক অফ কোরিয়া’ বা আরওকের (পড়ুন দক্ষিণ কোরিয়া) সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে জাপান। সোলের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যৌথ ফৌজি মহড়া শুরু করেছে টোকিও। সর্বশেষ ‘জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল’-এ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটি জানিয়েছে, সমমনভাবাপন্ন দেশগুলিকে সঙ্গে নিয়ে একটি ‘বহুস্তরীয় নেটওয়ার্ক’ গড়ে তোলা হবে। পরমাণু হামলার প্রতিরোধ ক্ষমতা অবশ্য গত পাঁচ-সাত বছরে দ্বিগুণ করেছে টোকিও।

১৭ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

বিশ্লেষকেরা অবশ্য মনে করেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নতির শিখরে থাকায় খুব দ্রুতই আণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারবে জাপান। একাধিক পরমাণু বিদ্যুৎচুল্লি থাকার কারণে টোকিয়োর কাছে ‘বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম’ (এনরিচ্‌ড ইউরেনিয়াম) কম নেই। তবে নৌশক্তিতে চিনকে চ্যালেঞ্জ দিতে সময় লাগবে তাদের। বর্তমানে বিমানবাহী রণতরী, ছোট-বড় যুদ্ধজাহাজ এবং ডুবোজাহাজ তৈরির পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রের।

১৮ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

২০১০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে ‘এক্সটেন্ডেড ডেটারেন্স ডায়লগ’ কর্মসূচি শুরু করে জাপান। এর মূল উদ্দেশ্য দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি যুক্তরাষ্ট্রের সামনে তুলে ধরা। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে টোকিয়ো ও ওয়াশিংটনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ে শুরু হয়েছে নিয়মিত বৈঠক। সেখানেও সুরক্ষার ব্যাপারে আমেরিকার উপর নানা ধরনের চাপ তৈরি করছে ‘উদীয়মান সূর্যের দেশ’।

১৯ ১৯
Japan wants to nuclear weapon for its military amid US coldness in Chinese aggression in Pacific Ocean

তবে জাপানের পরমাণু হাতিয়ার তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হল এনপিটি। আণবিক অস্ত্র তৈরি করতে হলে টোকিয়োকে সংশ্লিষ্ট চুক্তি ভাঙতে হবে। এই কাজ আমেরিকা কখনও নেবে না। কারণ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে একমাত্র জাপানই হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের পার্ল হারবারে মার্কিন নৌঘাঁটিতে আক্রমণের সাহস দেখিয়েছিল। ফলে এ ব্যাপারে জাপান অনড় মনোভাব দেখালে দু’দেশের সম্পর্কে ফের ফাটল ধরতে পারে, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy