Know about television actress Mona Ambegaonkar and her alleged affair with CID co-actor Dayanand Shetty dgtl
Mona Ambegaonkar
সহ-অভিনেতার সঙ্গে পরকীয়া, পিতৃপরিচয় গোপন করে মা হন! সন্তানের জন্মের পর গৃহহীন হন ছোটপর্দার বড় অভিনেত্রী
কাজের সূত্রে কখনও পুণে, কখনও কলকাতা, কখনও আবার মুম্বই ছুটতে হত নায়িকাকে। সন্তানকে নিয়ে এত ছোটাছুটি করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠছিল না। তাই এক আত্মীয়ের বাড়িতে সন্তানকে রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন অভিনেত্রী।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৫ ১১:৩১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
আমির খান, রানি মুখোপাধ্যায়ের মতো বলি তারকাদের সঙ্গে বড় পর্দায় অভিনয় করেছেন। তবে ছোট পর্দার নায়িকা হিসাবেই তিনি অধিক পরিচিতি পেয়েছেন। পিতৃপরিচয় গোপন করে কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য টেলি অভিনেত্রী মোনা আম্বেগাঁওকরকে নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি।
০২১৯
১৯৭০ সালের মার্চ মাসে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে জন্ম মোনার। তাঁর বাবা বায়ুসেনার প্রাক্তন আধিকারিক। অভিনয়জগতের সঙ্গে নিজের নাম জড়িয়ে ফেলার ইচ্ছা ছিল মোনার। বলি অভিনেতা জালাল আঘার সহকারী হিসাবে কাজ করতেন তিনি। কয়েক বছর পর অভিনেতার মুখ্য সহকারী হিসাবে কাজ করা শুরু করেছিলেন মোনা।
০৩১৯
১৯৮৭ সালে শেখর কপূরের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’। যে ছবি অনিল কপূরের কেরিয়ারে একটি মাইলফলক গড়ে তুলেছিল, সেই ছবির মুখ্য সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন মোনা।
০৪১৯
শেখরের সঙ্গে কাজ করে পরিচালনার কাজকর্ম করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর কাছ থেকে কটু কথাও শুনতে হয়েছিল মোনাকে। ২০২০ সালে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, মোনার উদ্দেশে নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করেছিলেন শেখর।
০৫১৯
মোনার কথায়, শেখর তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘বুদ্ধিমতী অভিনেত্রীরা আকর্ষণীয় হন না। নায়িকাদের মাথায় এত বুদ্ধি থাকা উচিতও নয়। তাই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে চাইলে বাড়িতে বুদ্ধিসুদ্ধিগুলো রেখে আসবে।’’
০৬১৯
১৯৯০ সালে ‘জ়খমি জ়মিন’ নামের একটি হিন্দি ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রেখেছিলেন মোনা। তিন-চার বছরের মধ্যে ছোট পর্দার ধারাবাহিকেও অভিনয় করতে শুরু করেছিলেন তিনি।
০৭১৯
২০০৪ সালে ‘সিআইডি’ নামের জনপ্রিয় হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন মোনা। এই ধারাবাহিকে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অঞ্জলিকা দেশমুখের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল মোনাকে। কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে যে, এই ধারাবাহিকের এক সহ-অভিনেতার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মোনা।
০৮১৯
‘সিআইডি’তে ইনস্পেক্টর দয়ার চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন দয়ানন্দ চন্দ্রশেখর শেট্টি। ধারাবাহিকের মাধ্যমেই দয়ানন্দের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল মোনার। এই ধারাবাহিকে মোনার সঙ্গে দয়ানন্দের বেশ ভাল সম্পর্ক ছিল। শোনা যায়, সেই সম্পর্ক থেকে এক কন্যাসন্তানেরও জন্ম দিয়েছিলেন মোনা।
০৯১৯
‘সিআইডি’ ধারাবাহিক চলাকালীন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন মোনা। ২০০৫ সালে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি ছিলেন অবিবাহিতা। সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল মোনাকে।
১০১৯
সন্তানের পিতৃপরিচয় কোনও ভাবেই প্রকাশ্যে আনতে চাননি মোনা। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘‘আমার সন্তান হয়েছে সে বিষয় নিয়ে জানাজানি হতেই পারে। কিন্তু আমি ওর পিতৃপরিচয় নিয়ে কোনও রকম আলোচনা করতে চাই না। ওর বাবা চাইলে নিজে থেকেই সেই পরিচয় স্বীকার করবে।’’
১১১৯
কন্যাসন্তানের জন্মের পর মোনার সঙ্গে দয়ানন্দের পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা হতে শুরু করেছিল। ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, এই ধারাবাহিক থেকে দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক। মোনাও নাকি তাঁর ঘনিষ্ঠমহলে স্বীকার করেছিলেন যে, দয়ানন্দ তাঁর সন্তানের পিতা। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে কিছুই জানাননি অভিনেত্রী।
১২১৯
অন্য দিকে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে থাকার অভিযোগ উঠলে তা অস্বীকার করেছিলেন দয়ানন্দ। সাক্ষাৎকারে তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘আমার সঙ্গে মোনার নাম জড়িয়ে নানা রকম কথা ছড়িয়ে পড়ছে। ওর সঙ্গে কাজ ছাড়া আর কোনও সম্পর্ক ছিল না আমার। তা ছাড়া আমি বিবাহিত।’’
১৩১৯
স্মিতা শেট্টি নামে এক তরুণীকে বিয়ে করেছেন দয়ানন্দ। তাঁদের এক কন্যাসন্তানও রয়েছে। বর্তমানে ‘সিঙ্গল মাদার’ মোনা। ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে এখনও রাজি নন অভিনেত্রী। তাঁর কন্যার পিতা আসলে কে, তা রহস্যই রয়ে গিয়েছে।
১৪১৯
মোনা জানিয়েছিলেন, সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর ঘরছাড়া হয়েছিলেন তিনি। সাত মাস মাথার উপর কোনও ছাদ ছিল না তাঁর। সন্তানকে আগলে রাখার পাশাপাশি ছোট পর্দা এবং নাটকের মঞ্চে অভিনয় চালিয়ে গিয়েছিলেন মোনা।
১৫১৯
কাজের সূত্রে কখনও পুণে, কখনও কলকাতা, কখনও আবার মুম্বই ছুটতে হত মোনাকে। সন্তানকে নিয়ে এত ছোটাছুটি করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠছিল না। নাসিকে মোনার এক আত্মীয় থাকতেন। তাঁর বাড়িতেই মোনা তাঁর সন্তানকে রেখেছিলেন। কাজের ফাঁকে সময় পেলেই আত্মীয়ের বাড়ি গিয়ে সন্তানের সঙ্গে দেখা করতেন তিনি।
১৬১৯
সন্তানের জন্মের সাত মাস পর নিজের বাড়ি কিনেছিলেন মোনা। পুণের প্রখ্যাত ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এফটিটিআই)-এ কিছু দিন শিক্ষকতাও করেছিলেন মোনা।
১৭১৯
হিন্দির পাশাপাশি মরাঠি নাটকেও অভিনয় করেছেন মোনা। বেশ কিছু নামী সংস্থার বিজ্ঞাপনে অভিনয়ও করেছেন তিনি। এমনকি, আন্তর্জাতিক কিছু চ্যানেলের তরফে হিন্দি ভাষায় ডাবিংও করেছেন।
১৮১৯
বর্তমানে লেখালিখির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মোনা। মানবাধিকারের পাশাপাশি সমকামী, উভকামী এবং রূপান্তরকামীদের, অর্থাৎ এলজিবিটি সম্প্রদায়ের অধিকার নিয়েও সরব হতে দেখা যায় নায়িকাকে।
১৯১৯
রানি মুখোপাধ্যায়ের ‘মরদানি’, আমির খানের ‘সিক্রেট সুপারস্টার’-এর মতো একাধিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন মোনা। ২০২২ সালে ‘তারা ভার্সেস বিলাল’ ছবিতে শেষ দেখা গিয়েছিল তাঁকে।