বাদুড় বোমা: ১৯৪২ সালের গোড়ার দিকে পেনসিলভ্যানিয়ার এক জন চিকিৎসক লিটল এস অ্যাডামস আমেরিকার হোয়াইট হাউসে একটি চিঠি পাঠান। সেখানে তিনি জাপানে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে এমন একটি অস্ত্রের ধারণা দিয়েছিলেন। অ্যাডামসের প্রস্তাব ছিল, বাদুড়ের সঙ্গে অগ্নিসংযোগকারী যন্ত্র সংযুক্ত করা হোক এবং বিমান থেকে ডানাযুক্ত সেই অস্ত্র নিক্ষেপ করা হোক।
কুকুর: বোমা শনাক্ত করতে যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যবহৃত হয় কুকুর। অতি উপকারী প্রাণীর ইন্দ্রিয় প্রখরতা ও শক্তিতে অনুপ্রাণিত হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য অস্ত্র হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল কুকুরকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুর দিকে সোভিয়েতরা একটি অভিনব ও একই সঙ্গে অমানবিক একটি অস্ত্র নির্মাণ করে। প্রশিক্ষিত কুকুরদের আত্মঘাতী বোমারু হিসাবে ব্যবহার করে তারা।
সোভিয়েত কুকুরগুলিকে জার্মান ট্যাঙ্ক লক্ষ্য করে আক্রমণ করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তাদের পিঠের থলিতে কয়েক পাউন্ড বিস্ফোরক ভরে দেওয়া হত। ৪০ হাজারেরও বেশি কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খুব কম সংখ্যকই লক্ষ্যে হানা দিতে সক্ষম হয়। নাৎসিরা যুদ্ধক্ষেত্রে যে কোনও কুকুরকে দেখলেই গুলি করে মেরে ফেলত।
পায়রাবাহিত ক্ষেপণাস্ত্র: এই ক্ষেপণাস্ত্রের ধারণাটি প্রথমে ১৯৪০-এর দশকে আমেরিকার সামরিক বাহিনীর মাথায় আসে। ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল, লক্ষ্যবস্তুতে সঠিক ভাবে আঘাত করা। তখন প্রযুক্তি খুবই সীমিত ছিল। কার্যসিদ্ধি করতে তাই বিজ্ঞানীরা এক অদ্ভুত ধারণা নিয়ে আসেন। ঠিক করা হয়, ব্যবহার করা হবে পায়রা।
বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পায়রাকে রাখা হত ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে। পায়রা নিজে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে সক্ষম ছিল এবং একটি ক্যামেরা বা সেন্সরের মাধ্যমে সে তার গতিপথ অনুযায়ী ক্ষেপণাস্ত্রকে পরিচালিত করত। ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষ অংশগুলো পায়রার দৃষ্টি অনুযায়ী তার গতিপথ পরিবর্তন করতে থাকত, যাতে এটি সঠিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে, পায়রাবাহিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়।
গুস্তাভ গান: বিশ্বের ‘সবচেয়ে বড়’ কামান গুস্তাভ আবিষ্কার করে জার্মানি। ১৯৩৬ সালে এটি তৈরি করেছিল জার্মান সংস্থা ‘ক্রুপ’। কামানটি ছিল চওড়ায় ৭.১ মিটার এবং দৈর্ঘ্যে ৪৭.৩ মিটার। এটির ওজন ছিল ১৩৫০ টন। কেবল কামানের নলটিরই মাপ ছিল ১০০ ফুট। প্রয়োজনে ৪৬ কিমির বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে সাত টনের গোলা ছুড়তে পারত গুস্তাভ।
এই কামানটির বিশাল দৈর্ঘ্য এবং ওজন জার্মান সেনাকে বিপাকে ফেলেছিল। শত্রুপক্ষের নজর এড়িয়ে কামানটিকে লুকিয়ে রাখাও যেত না। কামানটি চালনা করার খরচ তো বিপুল ছিলই, কেবল সেটিকে সচল রাখার জন্যই কমপক্ষে ২০০০ সেনার প্রয়োজন হত। যুদ্ধক্ষেত্রে এত বিপুল পরিমাণ লোকেপ জোগান অনেক সময়ই দিতে পারেনি জার্মান সেনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy