যে সংগঠনগুলিকে জঙ্গিগোষ্ঠী হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল, যা একটি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংস্থা। এই সংস্থার প্রধান লক্ষ হল শিখ ধর্মালম্বীদের জন্য স্বতন্ত্র খালিস্তান তৈরি করা। এই তালিকায় রয়েছে খালিস্তান কমান্ডো ফোর্স, খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স এবং ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশন, খালিস্তান লিবারেশন ফোর্স-এর নামও।
তালিকায় রয়েছে, লস্কর-ই-তৈবা ওরফে পাসবান-ই-আহলে হাদিস, জঈশ-ই-মহম্মদ ওরফে তেহরিক-ই-ফুরকান, হিজবুল মুজাহিদিন ওরফে হিজবুল মুজাহিদিন পীর পাঞ্জাল রেজিমেন্ট, হরকত-উল-মুজাহিদিন ওরফে হরকত-উল-আনসার ওরফে হরকত-উল-জেহাদ-ই-ইসলামি ওরফে আনসার-উল-উম্মাহ, আল-উমর-মুজাহিদিন সংগঠন এবং জম্মুও কাশ্মীর ইসলামিক ফ্রন্টের নাম।
জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম (আলফা), মণিপুর পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (এমপিএলএফ), ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড (খাপলাং), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অব বোড়োল্যান্ড, পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ), ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (ইউএনএলএফ), পিপলস্ লিবারেশন পার্টি অব কাংলেইপাক, কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (কেসিপি), কাংলেই ইয়াওল কানবা লুপ (কেওয়াইকেএল) এবং এদের সমস্ত সহযোগীদের।
ত্রিপুরার চরমপন্থী সংগঠন অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স এবং ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব ত্রিপুরাকেও নিষিদ্ধ করা হল। ত্রিপুরায় দীর্ঘ দিন ধরে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ রয়েছে এই দু’টি সংগঠনের বিরুদ্ধে। ভারতের পার্বত্য এলাকার সক্রিয় সংগঠনগুলির মধ্যে নিষিদ্ধের তালিকায় রয়েছে অখিল ভারত নেপালি একতা সমাজ, গারো ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন-এর সমস্ত সংগঠনগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy