এ যেন এক জোড়া তরুণ-তরুণীর মাখো মাখো প্রেম। কী নেই তাতে! নৈশাহারের আমন্ত্রণ থেকে শুরু করে বাক্সভর্তি বিরল খনিজ উপহার। শুধু তা-ই নয়, এই ভালবাসায় লুকিয়ে আছে আস্ত একটা বন্দর নির্মাণের প্রস্তাবও। সব কিছু যখন হিসাবমতো চলছে, তখনই ছন্দপতন। এক জনের দিক থেকে হঠাৎ উড়ে এল ছুরির ঘা, যাকে কেন্দ্র করে যাবতীয় সম্পর্কে চিড় ধরার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একাংশ।
আমেরিকা ও পাকিস্তান। চলতি বছরের মে মাসের পর থেকে এই দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা যে ভাবে বেড়েছে, তাতে হতবাক কূটনৈতিক মহল। এর ১৬ আনা কৃতিত্ব অবশ্যই বর্ষীয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। পাশাপাশি অবশ্যই বলতে হবে ইসলামাবাদের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের কথা। কিন্তু, ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদের এই প্রেমে জল ঢেলেছে ‘তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান’ (টিএলপি) নামের এক কট্টরপন্থী রাজনৈতিক দল। যুক্তরাষ্ট্রকে পাক ভূমি ছাড়া করতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা।