Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Auction Items

মেরিলিন না মার্সিডিজ, হিটলার না অলড্রিন, এ বছর কে বেশি দামি? ১০ মিনিটে স্থির হয় এই বাজারে

মেরিলিন মনরো নাকি পঞ্চাশের দশকের মার্সিডিজ, হিটলার নাকি অলড্রিন, কে বেশি দামি? মিনিট দশেকেই স্থির হয়ে যায় এই বাজারে।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:১৫
Share: Save:
০১ ১৬
একটা ছবি বা হয়তো একটা ঘামে ভেজা টি-শার্ট, একটা অতি পুরনো ঘড়ি বা জ্যাকেট— পুরনো জিনিস, আপাত ভাবে অবাঞ্ছিত মনে হলেও এ সবই বিক্রি হয়েছে কোটি কোটি টাকায়। নিলামে দর কষাকষি চলেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কারণ, এগুলির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস, কখনও বা স্মৃতিও। বছর শেষে তালিকায় কী কী রয়েছে তা জানলে বেশ চমকে যেতে হয়।

একটা ছবি বা হয়তো একটা ঘামে ভেজা টি-শার্ট, একটা অতি পুরনো ঘড়ি বা জ্যাকেট— পুরনো জিনিস, আপাত ভাবে অবাঞ্ছিত মনে হলেও এ সবই বিক্রি হয়েছে কোটি কোটি টাকায়। নিলামে দর কষাকষি চলেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কারণ, এগুলির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস, কখনও বা স্মৃতিও। বছর শেষে তালিকায় কী কী রয়েছে তা জানলে বেশ চমকে যেতে হয়।

ছবি: সংগৃহীত।

০২ ১৬
মেরিলিন মনরোর মৃত্যুর পর ৬০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তবু তাঁর মোহ বা আবেদনে এতটুকু ভাটা পড়েনি। চলতি বছর তাঁর একটি পোর্ট্রেট যে দামে বিকিয়েছে, শুনলে বিস্মিত হতে হয়। ‘শট সেজ ব্লু মেরিলিন’ ছবিটি বিক্রি হয়েছে ১৯৫ মিলিয়ন ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা!

মেরিলিন মনরোর মৃত্যুর পর ৬০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তবু তাঁর মোহ বা আবেদনে এতটুকু ভাটা পড়েনি। চলতি বছর তাঁর একটি পোর্ট্রেট যে দামে বিকিয়েছে, শুনলে বিস্মিত হতে হয়। ‘শট সেজ ব্লু মেরিলিন’ ছবিটি বিক্রি হয়েছে ১৯৫ মিলিয়ন ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা!

ছবি: সংগৃহীত।

০৩ ১৬
নিউ ইয়র্কের ক্রিস্টির অকশন হাউসে ছবিটি নিলাম হয়েছে। এর আগে এই অকশন হাউসে এত দামে বিশ শতকের কোনও জিনিস বিক্রি হয়নি। ছবিতে সোনালি চুলের মেরিলিনের চোখের পাতায় নীল রঙের আইশ্যাডো। প্রেক্ষাপটও নীল। সে কারণেই ছবির নাম ‘শট সেজ ব্লু মেরিলিন’!

নিউ ইয়র্কের ক্রিস্টির অকশন হাউসে ছবিটি নিলাম হয়েছে। এর আগে এই অকশন হাউসে এত দামে বিশ শতকের কোনও জিনিস বিক্রি হয়নি। ছবিতে সোনালি চুলের মেরিলিনের চোখের পাতায় নীল রঙের আইশ্যাডো। প্রেক্ষাপটও নীল। সে কারণেই ছবির নাম ‘শট সেজ ব্লু মেরিলিন’!

ছবি: সংগৃহীত।

০৪ ১৬
এ বছরই ১৯৫৫ সালের একটি মার্সিডিজ গাড়ি বিক্রি হয়েছে ১৪৩ মিলিয়ন ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম প্রায় ১ হাজার ১৮৩ কোটি ৬৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫৭১ টাকা! এখনও পর্যন্ত এটাই পৃথিবীর সব থেকে দামি গাড়ি!

এ বছরই ১৯৫৫ সালের একটি মার্সিডিজ গাড়ি বিক্রি হয়েছে ১৪৩ মিলিয়ন ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম প্রায় ১ হাজার ১৮৩ কোটি ৬৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫৭১ টাকা! এখনও পর্যন্ত এটাই পৃথিবীর সব থেকে দামি গাড়ি!

ছবি: সংগৃহীত।

০৫ ১৬
জার্মানির মার্সিডিজ বেঞ্জ জাদুঘরে হয়েছিল এই নিলাম। আয়োজক বিখ্যাত নিলাম সংস্থা আরএম সদবি। নিলামের শুরুতেই ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড দর হাঁকা হয়। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৪৩৯ কোটি ৯ লক্ষ টাকারও বেশি। এটাও রেকর্ড।

জার্মানির মার্সিডিজ বেঞ্জ জাদুঘরে হয়েছিল এই নিলাম। আয়োজক বিখ্যাত নিলাম সংস্থা আরএম সদবি। নিলামের শুরুতেই ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড দর হাঁকা হয়। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৪৩৯ কোটি ৯ লক্ষ টাকারও বেশি। এটাও রেকর্ড।

ছবি: সংগৃহীত।

০৬ ১৬
এ বছর রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে ১৯৫৫ সালের ফেরারি ৪১০ স্পোর্ট স্পাইডার। দু’কোটি ২০ লক্ষ ডলারে বিক্রি হয়েছে সেই লাল গাড়ি। ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম প্রায় ১৮১ কোটি ৭৬ লক্ষ ১৭ হাজার ৪০১ টাকা।

এ বছর রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে ১৯৫৫ সালের ফেরারি ৪১০ স্পোর্ট স্পাইডার। দু’কোটি ২০ লক্ষ ডলারে বিক্রি হয়েছে সেই লাল গাড়ি। ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম প্রায় ১৮১ কোটি ৭৬ লক্ষ ১৭ হাজার ৪০১ টাকা।

ছবি: সংগৃহীত।

০৭ ১৬
ফুটবল ভক্তদের কাছে দিয়েগো মারাদোনা বৈগ্রহিক। তাঁর হাত ধরে ১৯৮৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ‘হ্যান্ড অব গড’— তাঁর সেই গোল আজও অবিস্মরণীয়। যে নীল-সাদা জার্সি পরে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছিলেন মারাদোনা, সেটি নিলামে উঠেছিল এ বছর।

ফুটবল ভক্তদের কাছে দিয়েগো মারাদোনা বৈগ্রহিক। তাঁর হাত ধরে ১৯৮৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ‘হ্যান্ড অব গড’— তাঁর সেই গোল আজও অবিস্মরণীয়। যে নীল-সাদা জার্সি পরে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছিলেন মারাদোনা, সেটি নিলামে উঠেছিল এ বছর।

ছবি: সংগৃহীত।

০৮ ১৬
মারাদোনার সেই ঘামে ভেজা জার্সি বিক্রি হয়েছে ৮.৯৫ মিলিয়ন ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৭৩ কোটি ৮৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫২৫ টাকা। এর আগে কোনও ফুটবলারের কোনও জিনিস বা ফুটবল খেলার কোনও সামগ্রী এত দামে বিক্রি হয়নি।

মারাদোনার সেই ঘামে ভেজা জার্সি বিক্রি হয়েছে ৮.৯৫ মিলিয়ন ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৭৩ কোটি ৮৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫২৫ টাকা। এর আগে কোনও ফুটবলারের কোনও জিনিস বা ফুটবল খেলার কোনও সামগ্রী এত দামে বিক্রি হয়নি।

ছবি: সংগৃহীত।

০৯ ১৬
আপাত ভাবে দেখে মনে হবে সাধারণ একটি পোকেমন কার্ড। সেই কার্ডই গত অগস্টে নিলাম হয়েছে ৫.২ মিলিয়ন ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৪৩ কোটি চার লক্ষ ১৯ হাজার টাকা। কেন এত দাম? কার্ডগুলি পিকাচু ইলাস্ট্রেটরের তৈরি, যা গোটা দুনিয়ায় খুবই বিরল।

আপাত ভাবে দেখে মনে হবে সাধারণ একটি পোকেমন কার্ড। সেই কার্ডই গত অগস্টে নিলাম হয়েছে ৫.২ মিলিয়ন ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৪৩ কোটি চার লক্ষ ১৯ হাজার টাকা। কেন এত দাম? কার্ডগুলি পিকাচু ইলাস্ট্রেটরের তৈরি, যা গোটা দুনিয়ায় খুবই বিরল।

ছবি: সংগৃহীত।

১০ ১৬
১৯৬৯ সালে প্রথম বার যে জ্যাকেট পরে চাঁদে গিয়েছিলেন ই অলড্রিন, সেই জ্যাকেট এ বার নিলাম হয়েছে। লন্ডনের সদবিতেই। দাম উঠেছিল ২.৮ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ কোটি ১৪ লক্ষ ৫১ হাজার ৬৬ টাকা।

১৯৬৯ সালে প্রথম বার যে জ্যাকেট পরে চাঁদে গিয়েছিলেন ই অলড্রিন, সেই জ্যাকেট এ বার নিলাম হয়েছে। লন্ডনের সদবিতেই। দাম উঠেছিল ২.৮ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ কোটি ১৪ লক্ষ ৫১ হাজার ৬৬ টাকা।

ছবি: সংগৃহীত।

১১ ১৬
জ্যাকেটের উপর লেখা রয়েছে অলড্রিনের নাম। মাত্র ১০ মিনিটের দর কষাকষিতেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে ঐতিহাসিক সেই জ্যাকেট, রেকর্ড দামে।

জ্যাকেটের উপর লেখা রয়েছে অলড্রিনের নাম। মাত্র ১০ মিনিটের দর কষাকষিতেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে ঐতিহাসিক সেই জ্যাকেট, রেকর্ড দামে।

ছবি: সংগৃহীত।

১২ ১৬
মনে করা হয়েছিল, ২০ থেকে ৪০ লক্ষ ডলারে বিক্রি হবে সেই ঘড়ি। যদিও শেষ পর্যন্ত ঘড়িটি বিক্রি হয়েছিল ১১ লক্ষ ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৯ কোটি ৯ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। ঘড়িটির মালিক কে ছিলেন? অ্যাডল্ফ হিটলার।

মনে করা হয়েছিল, ২০ থেকে ৪০ লক্ষ ডলারে বিক্রি হবে সেই ঘড়ি। যদিও শেষ পর্যন্ত ঘড়িটি বিক্রি হয়েছিল ১১ লক্ষ ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৯ কোটি ৯ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। ঘড়িটির মালিক কে ছিলেন? অ্যাডল্ফ হিটলার।

ছবি: সংগৃহীত।

১৩ ১৬
আমেরিকার ভার্জিনিয়ার চেসাপিয়াক শহরের একটি অকশন সেন্টারে নিলাম হয়েছে সেই ঘড়ি। ঘড়ির উপর রয়েছে নাৎসি প্রতীক। ঘড়িটি যাতে নিলামে তোলা না হয়, সে কারণে চিঠি লিখে অকশন সেন্টারের প্রধানকে আবেদন জানিয়েছিলেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত নিলামে ঘড়িটি কিনেছেন ইউরোপের এক ইহুদি, অতীতে যাঁদের নিধন করতেই উঠেপড়ে লেগেছিলেন হিটলার।

আমেরিকার ভার্জিনিয়ার চেসাপিয়াক শহরের একটি অকশন সেন্টারে নিলাম হয়েছে সেই ঘড়ি। ঘড়ির উপর রয়েছে নাৎসি প্রতীক। ঘড়িটি যাতে নিলামে তোলা না হয়, সে কারণে চিঠি লিখে অকশন সেন্টারের প্রধানকে আবেদন জানিয়েছিলেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত নিলামে ঘড়িটি কিনেছেন ইউরোপের এক ইহুদি, অতীতে যাঁদের নিধন করতেই উঠেপড়ে লেগেছিলেন হিটলার।

ছবি: সংগৃহীত।

১৪ ১৬
এমনিতে পেশাদার বেসবল খেলোয়াড়দের ছবি দেওয়া কার্ড অনেক দামেই নিলামে ওঠে। বেব রুথ, মিকি ম্যান্টেলদের কার্ডও হয়েছে। কিন্তু যাঁর বেসবল কার্ড রেকর্ড দামে বিক্রি হল, তিনি কোনও পেশাদার খেলোয়াড় নন— মেটা কর্তা মার্ক জাকারবার্গ। ওই কার্ডটি বিক্রি হয়েছে এক লক্ষ পাঁচ হাজার ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৮ কোটি ৬৭ লক্ষ ৯ হাজার ৭৭২ টাকা। কার্ডে ছবি রয়েছে খুদে জাকারবার্গের। অপটু হাতের একটি সইও রয়েছে সেখানে।

এমনিতে পেশাদার বেসবল খেলোয়াড়দের ছবি দেওয়া কার্ড অনেক দামেই নিলামে ওঠে। বেব রুথ, মিকি ম্যান্টেলদের কার্ডও হয়েছে। কিন্তু যাঁর বেসবল কার্ড রেকর্ড দামে বিক্রি হল, তিনি কোনও পেশাদার খেলোয়াড় নন— মেটা কর্তা মার্ক জাকারবার্গ। ওই কার্ডটি বিক্রি হয়েছে এক লক্ষ পাঁচ হাজার ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৮ কোটি ৬৭ লক্ষ ৯ হাজার ৭৭২ টাকা। কার্ডে ছবি রয়েছে খুদে জাকারবার্গের। অপটু হাতের একটি সইও রয়েছে সেখানে।

ছবি: সংগৃহীত।

১৫ ১৬
এমনিতে হার্মেস বার্কিনের ব্যাগ বেশ দামিই হয়। টিকটিকি থেকে কুমির— বিভিন্ন প্রাণীর চামড়া দিয়ে তৈরি হয় এই ব্র্যান্ডের ব্যাগ। ২০২১ সালে হার্মেস বার্কিন ৩০–এর একটি ব্যাগ নিলাম হল রেকর্ড দামে। বাদামি রঙের ওই ব্যাগটি ঘড়িয়ালের চামড়া দিয়ে তৈরি। তাতে আবার সোনার কাজ করা!

এমনিতে হার্মেস বার্কিনের ব্যাগ বেশ দামিই হয়। টিকটিকি থেকে কুমির— বিভিন্ন প্রাণীর চামড়া দিয়ে তৈরি হয় এই ব্র্যান্ডের ব্যাগ। ২০২১ সালে হার্মেস বার্কিন ৩০–এর একটি ব্যাগ নিলাম হল রেকর্ড দামে। বাদামি রঙের ওই ব্যাগটি ঘড়িয়ালের চামড়া দিয়ে তৈরি। তাতে আবার সোনার কাজ করা!

ছবি: সংগৃহীত।

১৬ ১৬
জুলাই মাসে হংকংয়ে নিলাম হয়েছে সেই ব্যাগ। নিলাম সংস্থা সদবির ব্যাগ বিভাগের মাধ্যমে। দর উঠেছিল ৯৬ হাজার ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৭৯ লক্ষ ৩৯ হাজার ১৫২ টাকা।

জুলাই মাসে হংকংয়ে নিলাম হয়েছে সেই ব্যাগ। নিলাম সংস্থা সদবির ব্যাগ বিভাগের মাধ্যমে। দর উঠেছিল ৯৬ হাজার ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৭৯ লক্ষ ৩৯ হাজার ১৫২ টাকা।

ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE