ইউরোপীয় ইউনিয়নও ওয়াগনার বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেন, সিরিয়া, লিবিয়া, সুদান এবং মোজাম্বিকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২২ ১০:৫১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
রুশ আগ্রাসনের মুখে পড়ে বিপর্যস্ত ইউক্রেন। শীঘ্রই কিভের দখল নেওয়ার রাশিয়ার ইচ্ছায় বাধ সেধেছে ইউক্রেন সেনা এবং তাদের যুদ্ধের কৈাশল। কিভ দখলের অদম্য ইচ্ছায় তাই আরও এক ধাপ এগিয়ে পদক্ষেপ করল রাশিয়া।
০২১৮
কিভকে আরও বিপদের মুখে ফেলতে মাঠে নামছে কুখ্যাত ‘ওয়াগনার গ্রুপ’, যা ‘পুতিনের নিজস্ব সেনা’ নামেও পরিচিত। ওয়াগনার গ্রুপ একটি স্বনিয়ন্ত্রিত সামরিক বাহিনী। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব জুড়ে ধর্ষণ, ডাকাতি, খুন এবং যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
০৩১৮
ওয়াগনার বাহিনীকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এবং ক্লিটসকো ভ্রাতৃদ্বয়-সহ অন্য বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
০৪১৮
দীর্ঘ দিন ধরে ক্রেমলিনের সঙ্গে ওয়াগনার বাহিনীর ৬০০ ভাড়াটে খুনির সম্পর্কের জল্পনা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। তবে পশ্চিমী দুনিয়ার দাবি, রাশিয়ার বিভিন্ন গোপন কা়জ উদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া আছে এই বাহিনীর উপর।
০৫১৮
দীর্ঘ দিন ধরে এও দাবি করা হয়েছে যে ওয়াগনার গ্রুপ পুতিনের ব্যক্তিগত বাহিনী যারা কেবলমাত্র পুতিনের নির্দেশই অক্ষরে অক্ষরে পালন করে।
০৬১৮
ইউরোপীয় ইউনিয়নও ওয়াগনার বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেন, সিরিয়া, লিবিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, সুদান এবং মোজাম্বিকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।
০৭১৮
পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে অস্ত্র সরবরাহ এবং সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য এই বাহিনীকে কাজে লাগানো হত বলেও জানা গিয়েছে।
০৮১৮
অলিগার্চ ইয়েভজেনি প্রিগোজিন এই ওয়াগনার বাহিনীতে নতুন সদস্য নিয়োগের দায়িত্বে আছেন। অলিগার্চ পুতিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তিনি ক্রেমলিনের বিশেষ বিশেষ কাজ দেখাশোনার কাজেও যুক্ত। তাঁর কেটারিংয়ের ব্যবসাও আছে। সেই কারণে অলিগার্চ ‘পুতিনের রাঁধুনী’ বলেও পরিচিত।
০৯১৮
জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগেই তাঁকে ক্রেমলিনে তলব করা হয়। কয়েক সপ্তাহ আগেই তিনি ইউক্রেনে উড়ে যান এবং ওয়াগনার বাহিনীকে বিশেষ অভিযান চালানোর জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রস্তাব দেন।
১০১৮
এর আগে বিশেষ অভিযান চালানোর জন্য এই বাহিনীকে পূর্ব আফ্রিকায় মোতায়েন করে ক্রেমলিন। যদিও এর দায় বরাবরই এড়িয়ে গিয়েছে রাশিয়া।
১১১৮
এই বাহিনীর অস্তিত্ব নিয়ে বহু জল্পনা থাকলেও ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে এই গোষ্ঠীর কার্যকলাপ প্রথম প্রকাশ্যে নজরে আসে।
১২১৮
প্রাথমিক ভাবে, রাশিয়ার কয়েকশো অভিজ্ঞ সেনা নিয়ে এই বাহিনী গঠিত হয়েছিল। শোনা যায়, ডনবাসের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা ক্রেমলিনের নির্দেশ মানতে অস্বীকার করলে তাঁদের হত্যা করার জন্য এই বাহিনীকে পাঠানো হয়।
১৩১৮
তবে ওয়াগনার নয়, এই হত্যাকাণ্ডের দায় চাপে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর উপরই।
১৪১৮
ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা দিমিত্রি উটকিন, রাশিয়ার বিশেষ বাহিনী স্পেটসনাজ-এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল ছিলেন।
১৫১৮
পুতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সিরিয়ার আন্দোলকারীদের দমন করতেও তিনি এই ওয়াগনার বাহিনীকে কাজে লাগিয়েছিলেন।
১৬১৮
শোনা যায়, একসময় ওয়াগনার বাহিনী এতটাই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে যে রুশ সরকারও তাঁদের অর্থ দিতে অস্বীকার করে।
১৭১৮
এর পরে পুতিন অলিগার্চকে এই গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণে নিযুক্ত করেন।
১৮১৮
তবে অনেকের মতে ক্রেমলিনের সঙ্গে ওয়াগনার বাহিনীর যোগসূত্র নিছকই কল্পনা। কারণ উটকিন-সহ ওয়াগনার সৈন্যদের সঙ্গে ক্রেমলিনের অনুষ্ঠানে পুতিনের ছবি আছে।