সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে আলাস্কার অ্যাঙ্কারেজ়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ‘দাবার চালে’ কে কাকে মাত দিলেন, তারই চুলচেরা বিশ্লেষণে মেতেছেন বিশ্লেষকেরা।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৫ ১২:০৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
আমেরিকার মাটি থেকে ‘জয় ছিনিয়ে’ ঘরে ফিরেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর রাশভারী ব্যক্তিত্বের সামনে নিমেষে ‘চুপসে’ যান রাতদিন হম্বিতম্বি করে বেড়ানো যুক্তরাষ্ট্রের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ডোনাল্ড ট্রাম্প। মুখে কথাটি পর্যন্ত সরেনি তাঁর। আলাস্কায় দুই ‘মহাশক্তি’র রাষ্ট্রনেতাদের বৈঠককে এই ভাষাতেই বর্ণনা করছেন দুনিয়ার তাবড় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের দাবি, স্নায়ুর লড়াইয়ে পুতিনের কাছে গোহারা হেরেছেন ট্রাম্প।
০২২০
গত ১৫ অগস্ট ইউক্রেন যুদ্ধে রাশ টানতে আলাস্কার অ্যাঙ্কারেজ়ে মুখোমুখি বৈঠক করেন রুশ ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সেখানে তাঁর নির্দেশ মেনে পুতিন শান্তি সমঝোতায় রাজি হবেন বলে আশাবাদী ছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু, বাস্তবে তা হয়নি। দুনিয়ার সব কিছু যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইচ্ছামতো চলবে না, ওই বৈঠকে সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ১৮৬৭ সালে মাত্র ৭২ লক্ষ ডলারে মস্কোর থেকেই আলাস্কা কিনেছিল ওয়াশিংটন।
০৩২০
বিশ্লেষকদের দাবি, ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন আমেরিকার ৪৯তম প্রদেশে আলোচনার টেবলে বসতে রাজি হওয়ায় একে নিজের জয় হিসাবেই দেখছিলেন ট্রাম্প। বৈঠকের ঠিক দু’দিন আগে মস্কোকে চরম হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, ‘‘কিভের শান্তি বিঘ্নিত হলে গুরুতর পরিণাম ভুগতে হবে ক্রেমলিনকে।’’ আলাস্কার বৈঠকে পুতিনের উপরে বাড়তি চাপ তৈরি করতে তিনি এই কৌশল অবলম্বন করেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
০৪২০
কিন্তু, পুতিনের আলাস্কা সফর এগিয়ে আসতেই ট্রাম্পের আত্মবিশ্বাসে ‘চিড়’ ধরে। অ্যাঙ্কারেজ়ের সামরিক ঘাঁটিতে রুশ প্রেসিডেন্টকে নিজে অভ্যর্থনা জানান তিনি। লাল গালিচার উপর দিয়ে হেঁটে এসে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তাঁর সঙ্গে করমর্দন করেন পুতিন। ট্রাম্পের মুখোমুখি হয়ে ‘প্রতিবেশী’ বলে তাঁকে অভিবাদন জানান রুশ প্রেসিডেন্ট। পাল্টা তাঁর বাহুতে ট্রাম্প হাত রাখলেও মুখে কিছুই বলতে পারেননি তিনি। এর পর সুনির্দিষ্ট মঞ্চের দিকে হাঁটতে শুরু করেন দুই ‘সুপার পাওয়ার’ রাষ্ট্রনেতা।
০৫২০
ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিন যখন লাল গালিচার উপর দিয়ে হাঁটছেন, ঠিক তখনই তাঁর মাথার উপরে বিকট শব্দ করে উড়ে যায় মার্কিন বায়ুসেনার গর্বের ‘বি-২ স্পিরিট’ বোমারু বিমান। সঙ্গে ছিল আরও কয়েকটি লড়াকু জেট। ঘাড় উঁচিয়ে যুদ্ধবিমানের আকাশ চিরে চলে যাওয়ার দৃশ্য দেখেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার বদলে তাঁর শরীরী ভাষায় চলে আসে অন্য আত্মবিশ্বাস, যা প্রত্যক্ষ করে ধীরে ধীরে চোয়াল শক্ত হয় ট্রাম্পের।
০৬২০
বৈঠক শুরুর আগে ছবি তোলার জন্য একটি মঞ্চে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাশে দাঁড়ান পুতিন। সেই সময়ে গণমাধ্যমের এক জন চিৎকার করে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘আপনি কবে ইউক্রেনে সংঘর্ষবিরতি করবেন? কবে নিরীহদের হত্যা করা বন্ধ করবে রুশ সেনা?’’ কাঁধ ঝাঁকিয়ে একগাল হাসিতে এর প্রত্যুত্তর দেন পুতিন। কানে আঙুল দিয়ে কিছু শুনতে পাচ্ছেন না বলে ইঙ্গিতও করেন তিনি। এর পর সংবাদমাধ্যমকে কোনও রকম পাত্তা না দিয়ে সেখান থেকে বৈঠকস্থলে চলে যান মস্কোর দণ্ডমুণ্ডের কর্তা।
০৭২০
বৈঠকের জায়গায় পৌঁছোতে দুই প্রেসিডেন্টের জন্য আলাদা আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু, ট্রাম্পের গাড়িতে সেখানে যান পুতিন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পিছনের আসনে বসেছিলেন তিনি। সব সময় ঠোঁটের কোণে হাসি লেগে ছিল তাঁর। অন্য দিকে, ট্রাম্পের শরীরী ভাষায় কোথাও খুশি ঝরে পড়েনি। আগাগোড়া পুতিনকে সমীহ করে চলছিলেন তিনি।
০৮২০
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ছয় থেকে সাত ঘণ্টা স্থায়ী হবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু, মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন দুই ‘মহাশক্তিধর’ রাষ্ট্রনেতা। এর পরই শুরু হয় যৌথ সাংবাদিক বৈঠক। সেখানে ৭০ শতাংশ কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। প্রায় ১২ মিনিট ৫০ সেকেন্ড ধরে বক্তব্য রাখেন তিনি। অন্য দিকে, মাত্র ৮ মিনিটের সামান্য বেশি সময় ধরে বিবৃতি দেন ট্রাম্প। দুই ‘সুপার পাওয়ার’ প্রেসিডেন্টের কেউই সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্ন গ্রহণ করেননি।
০৯২০
অতীতে কোনও রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে সাক্ষাতে ট্রাম্পকে এতটা ‘নিষ্প্রভ’ দেখা যায়নি। উল্টে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতেই তিনি বেশি ভালবাসেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানী ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। সেখানে প্রকাশ্যে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে ‘অপমান’ করতে ছাড়েননি তিনি। গত মে মাসে একই রকমের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। তাঁকেও নিজের ওভাল অফিসে ডেকে এনে দু’কথা শুনিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট।
১০২০
আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি। কিন্তু আলোচনা শেষে এই নিয়ে একটি শব্দও ব্যবহার করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উল্টে তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনও সমাধানসূত্রে পৌঁছোতে পারিনি। তবে শান্তি প্রতিষ্ঠার রাস্তায় কিছুটা অগ্রসর হতে পেরেছি।’’ এই বৈঠকের বিষয় নিয়ে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ইউরোপীয় শক্তি জোট ‘উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা’ বা নেটো (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজ়েশন) এবং ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলার আশ্বাস দেন তিনি।
১১২০
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে বিশেষ সেনা অভিযান (স্পেশ্যাল মিলিটারি অপারেশন) শুরু করে রুশ সেনা। গত সাড়ে তিন বছরে পূর্ব ইউরোপের দেশটির অনেকটা জমি দখল করে ফেলেছে মস্কো। সেখান থেকে পিছু হটতে নারাজ ক্রেমলিন। বৈঠক শেষে এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘‘যুদ্ধ থামাতে জমি ভাগাভাগির বিষয়টি পুরোপুরি কিভের উপর নির্ভর করবে।’’ বিশ্লেষকদের দাবি, এ কথা বলে একরকম রুশ আধিপত্য স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
১২২০
অন্য দিকে, যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে পুতিন বলেন, ‘‘যুদ্ধের মূল কারণ বুঝে নিয়ে তার সমাধান করতে হবে। নইলে লড়াই বন্ধ করা অসম্ভব।’’ তবে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনাকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি, পরবর্তী বৈঠক মস্কোয় হবে বলেও জানিয়ে দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বৈঠক শেষে আগাগোড়া বিবৃতি নিজের মাতৃভাষায় দিলেও মস্কোয় পরবর্তী আলোচনার কথাটি ইংরেজিতে বলেন পুতিন। এই ঘটনাকে তাঁর ‘মাস্টারস্ট্রোক’ বলে উল্লেখ করেছেন দুনিয়ার দুঁদে কূটনীতিকেরা।
১৩২০
আলাস্কার বৈঠকে ট্রাম্পের ‘পরাজয়’-এর খতিয়ান দিতে বিশ্লেষকেরা একাধিক যুক্তি সামনে এনেছেন। প্রথমত, বিশ্বনেতা হিসাবে পুতিনকে গ্রহণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার মতো অভিযোগ এবং আন্তর্জাতিক স্তরের গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও তাঁর গায়ে আঁচড়টি পর্যন্ত কাটতে পারেননি তিনি। উল্টে পুতিনকে আগাগোড়া তোয়াজ করে চলেছেন ট্রাম্প।
১৪২০
দ্বিতীয়ত, যুদ্ধ শেষ করতে রুশ প্রেসিডেন্ট যে মূল কারণের কথা বলছেন, তা হল নেটোর সম্প্রসারণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুতিনের দাবি মেনে ওই সংগঠনে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি নাকচ হলে, তা মানতে অস্বীকার করতে পারে একাধিক ইউরোপীয় দেশ। সেই তালিকায় একেবারে উপরের দিকে থাকবে ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং জার্মানি। ইতিমধ্যেই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য জ়েলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়েছে তারা।
১৫২০
সে ক্ষেত্রে, ইউক্রেনে শান্তি স্থাপনকে কেন্দ্র করে নেটোয় অন্তর্দ্বন্দ্ব তৈরি করতে সক্ষম হবেন পুতিন। ক্ষুব্ধ ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত ওই সংগঠন ত্যাগ করলে ইউরোপে কমবে আমেরিকার প্রভাব। এর ফলে আগামী দিনে রাশিয়া আরও আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে। কারণ পুরনো সোভিয়েত ইউনিয়নকে ফের গড়ে তোলার স্বপ্ন রয়েছে মস্কোর। সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে তারা।
১৬২০
তৃতীয়ত, পরবর্তী বৈঠকের জন্য পুতিনের ডাকে সাড়া দিয়ে মস্কো সফরে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁর যে কোনও আপত্তি নেই, তা স্পষ্ট করেছেন ট্রাম্প। দুই ‘সুপার পাওয়ার’ নেতার গলাতেই শোনা গিয়েছে বাণিজ্য বৃদ্ধির কথা। কিন্তু, যুদ্ধের জন্য বর্তমানে রাশিয়ার উপরে ১৬ হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ব্যবসায়িক লেনদেন বাড়াতে হলে সেটা তুলতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। সেখানেও জয় আসবে রুশ প্রেসিডেন্টের ঘরেই।
১৭২০
চতুর্থত, বৈঠক চলাকালীন ৮৫টি ড্রোন এবং একগুচ্ছ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের অন্তত চারটি জায়গায় হামলা চালায় রুশ ফৌজ। মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে সেখানেও ট্রাম্পের জন্য পুতিন এগিয়ে ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। আলোচনায় বসেও ক্রেমলিনের শীর্ষকর্তা এটা বুঝিয়ে দেন যে, যত ক্ষণ না তাঁর শর্ত মানা হচ্ছে, তত ক্ষণ সংঘর্ষ বন্ধ করবেন না তিনি।
১৮২০
জীবনের প্রথম দিকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের গুপ্তচরবাহিনী কেজিবির এজেন্ট হিসাবে কাজ করতেন পুতিন। অন্য দিকে, ট্রাম্প হলেন একজন খাঁটি ব্যবসায়ী। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দর কষাকষি কী ভাবে করতে হয়, তা মার্কিন প্রেসিডেন্টের থেকে অনেকটাই বেশি জানেন রুশ প্রেসিডেন্ট। আর তাই তাঁর চালে ‘চেকমেট’ হওয়া ছা়ড়া ট্রাম্পের সামনে অন্য রাস্তা ছিল না, বলছেন বিশ্লেষকেরা।
১৯২০
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত থামাতে এ বার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির মধ্যে মুখোমুখি বৈঠক চাইছেন ট্রাম্প। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে চাইছেন তিনি নিজেও। ত্রিপাক্ষিক এই বৈঠক কবে হবে, তা-ও প্রাথমিক ভাবে জানিয়ে রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার ‘অ্যাক্সিওস’ ওয়েব পোর্টালের খবর উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘তাস’।
২০২০
আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পরেই জ়েলেনস্কিকে ফোন করেন ট্রাম্প। এ ছাড়া ব্রিটেন, জার্মানি এবং ফ্রান্স— এই তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গেও ফোনে কথা হয় তাঁর। তখনই নাকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁদের জানান, তিনি ২২ অগস্ট পুতিন এবং জ়েলেনস্কিকে নিয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করতে চাইছেন। অবশ্য এই বৈঠক কোথায়, কখন হতে পারে, তা উল্লেখ করা হয়নি ‘অ্যাক্সিওস’-এর প্রতিবেদনে। আদৌ এই বৈঠকে পুতিন এবং জ়েলেনস্কিকে ট্রাম্প শামিল করতে পারবেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।