সমস্যা আরও বাড়ে, যখন দেশের অন্যতম বড় শহর ত্রিপোলিতে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহৃত উপকূলীয় জলাধারগুলি ক্রমে দূষিত হয়ে ওঠে এবং এর লবণাক্ত ভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল সে দেশের সরকার। সেই সময়ে হয় এক আশ্চর্য আবিষ্কার। ১৯৫৩ সালে তেলের অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে ভূগর্ভস্থ পানীয় জল আবিষ্কার হয় দেশটিতে।
এই জমা জলের সমুদ্র দিয়ে মরুভূমির দেশে জল সহজলভ্য করার জন্য বিশ্বের বৃহত্তম সেচ প্রকল্পের সূচনা করেন তৎকালীন শাসক মু্য়াম্মর গদ্দাফি। যুগান্তকারী এই প্রকল্প ‘গ্রেট ম্যান-মেড রিভার প্রকল্প’ নামে পরিচিত। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে এর মাধ্যমে গোটা দেশের জলের ঘাটতির সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালায় গদ্দাফি সরকার।
জীবাশ্ম জলকে প্রথমে দু’টি পাইপলাইনের মাধ্যমে আজদাবিয়ায় অবস্থিত একটি জলাধারে সঞ্চয় করা হয়েছিল। ১৯৮৯ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে সেখান থেকে দু’টি দিকে পাইপ দিয়ে জল সরবরাহ করা হয়েছিল, পশ্চিমে উপকূলীয় শহর সুর্টে এবং উত্তরে বেনগাজ়িতে। ১৯৯১ সালে বেনগাজ়িতে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথম ধাপের কাজের সমাপ্তি উদ্যাপন করা হয়েছিল।
‘জিএমআর ২’ বা এই প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ১৯৯৬ সালে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে পানীয় জল সরবরাহ শুরু হয়। জাবাল আল-হাসাউইনাহ অঞ্চলের তিনটি কুয়ো থেকে জল সংগ্রহ করে পাইপলাইনের মাধ্যমে উত্তর এবং পূর্ব দিকের উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ত্রিপোলিতে শেষ হওয়ার আগে মিসুরাতা এবং আল-খুমসের মতো শহরগুলিতে জল সরবরাহ করা হয়।
গোটা প্রকল্পটি শেষ করতে ২৫০০ কোটি ডলার খরচ হয়েছিল। এই প্রকল্পের জল দিয়ে ৬০ লক্ষ মানুষের দৈনন্দিন পানীয় জলের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়েছিল। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার পর লিবিয়ার শাসক গদ্দাফি একে পৃথিবীর ‘অষ্টম আশ্চর্য’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের সফল রূপায়ণের পর আরও তিনটি ধাপের কাজ চলতে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy